নির্বাচিত হলে সুখী-সমৃদ্ধ এলাকা উপহার দেব : শামা ওবায়েদ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৫:০৮ পিএম
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু। নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা এবং কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী। নির্বাচিত হলে ফরিদপুরবাসীকে একটি সমৃদ্ধ ও সুখী এলাকা উপহার দেয়ার আকাক্সক্ষা তার। ভোরের কাগজের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমানের একমাত্র মেয়ে শামা ওবায়েদ।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে শামা ওবায়েদ কম্পিউটার বিজ্ঞানে ঊচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। আগামী নির্বাচন নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করে ফরিদপুরবাসীকে (নগরকান্দা, শালথা, কৃষ্ণপুর) একটি সমৃদ্ধি ও সুখী এলাকা উপহার দেব। শামা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে হবে এবং হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। আগামী নির্বাচন শুধু নির্বাচনই নয়, এটি হবে দেশের প্রত্যেকটি মানুষের মুক্তির আন্দোলন। ওই দিন এ দেশের মানুষ স্বাধীন হবে।
‘আওয়ামী দুঃশাসনের’ হাত থেকে দেশের জনগণকে রক্ষা করতে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে ঐক্যফ্রন্টকে বিজয়ী করতে হবে এ মন্তব্য করে শামা বলেন, এই নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূয়মিকা পালন করবে মহিলা দল। তিনি আরো বলেন, দেশের অর্ধেক ভোটার মহিলা, তাই মহিলা দলের নেতাকর্মীদের মহিলা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যেতে হবে।
শামা বলেন, আমার বাবা কে এম ওবায়দুর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। বাবার সঙ্গে ছোটবেলায় তার নির্বাচনী এলাকায় যেতাম। তখন থেকেই এলাকার সবার সঙ্গে আমার ভালো একটি সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। আমার বাবা ছিলেন বিএনপির মহাসচিব। ফরিদপুর থেকে তিনি একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ফরিদপুরে বিএনপিকে তিনি নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। সুতরাং ফরিদপুর আওয়ামী লীগের ঘাঁটি এমনটি নয়। আমি ছোটবেলা থেকেই বাবার সুবাদে বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত ছিলাম। নেতাকর্মীদের কাছ থেকে দেখেছি। এটি আমার জন্য কোনো চ্যালেঞ্জ নয়। বিএনপিকে আরো শক্তিশালী ও দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে সব নেতাকর্মীকে নিয়ে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে আমি এমপি নই, তারপরও আমার নিজ এলাকার জনগণ এখনো আমাকে ভালোবাসে। আমিও তাদের বিপদে-আপদে কাছে থাকি।
নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নে কোন বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দেবেন জানতে চাইলে শামা বলেন, গত ১২ বছর আমার এলাকার কোনো উন্নয়ন হয়নি। রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ-গ্যাসের কোনো উন্নয়ন হয়নি, স্কুল-কলেজের অবস্থাও খারাপ। এমনকি স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রেও অগ্রগতি নেই বললেই চলে। আমি এলাকা থেকে নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নে এ বিষয়গুলোতে আগে গুরুত্ব দেব। আমি মনে করি, এলাকার সাধারণ মানুষের উন্নয়নে এসব সংস্কার করা জরুরি। কারণ, রাস্তাঘাট মেরামত হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হবে। এতে এলাকার তরুণ মেধাবীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। ফলে এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে।