×

মুক্তচিন্তা

সবাইকে আচরণবিধি মানতে হবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৮:২৮ পিএম

প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়েছে। প্রচারণার শুরুতে যেভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সংঘাত ও সহিংসতার খবর আসছে, তাতে আমরা উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত।

জানা গেছে, নির্বাচনী প্রচারণার পথে গত মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে। হামলাকারীরা বহরে থাকা ছয়টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে বলে জানিয়েছে বিএনপি। এ ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছেন। মির্জা ফখরুল ঠাকুরগাঁও-১ আসনের প্রার্থী। ঠাকুরগাঁওয়ে গ্রেপ্তার দলের দুই নেতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে সদর উপজেলার বেগুনবাড়ী ইউনিয়নের দানারহাট এলাকায় গণসংযোগকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এদিকে, নোয়াখালী সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে এওজবালিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ (২৪) নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ফরিদপুর-৩ আসনে প্রতিপক্ষের সমর্থকদের হামলায় নিহত হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের কর্মী ইউসুফ আল মামুন (৪০)।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে আমরা দেখছি, গত সোমবার ও মঙ্গলবার ছয় জেলায় কমবেশি অর্ধশত আহত হয়েছেন। এসব অঘটনের জের ধরে পুলিশ বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখা যতটুকু না প্রশাসনের দায়িত্ব তার চাইতে অনেক বেশি দায়িত্ব প্রার্থী কিংবা সমর্থকদের।

কারণ যত আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়ে থাকে তা কোনো না কোনো প্রার্থীর সমর্থনে অথবা অন্য কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে সংঘটিত হয়ে থাকে। প্রার্থীরা যদি স্বপ্রণোদিত হয়ে নিজেকে ও কর্মী-সমর্থকদের এই আচরণবিধি লঙ্ঘন থেকে বিরত না রাখেন তবে প্রশাসনের পক্ষে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা দুরূহ কাজ হয়ে যাবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচন-পূর্ব সহিংসতার কিছু খবর আসছে।

দেশের প্রধান দুই দলের প্রার্থীদের ক্যাডার বাহিনীর মধ্যে খুনাখুনির অভিযোগ উঠছে। এই অবস্থা সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায়। বিধিলঙ্ঘনের ঘটনা, সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। নির্বাচন ঘিরে যে কোনো সংঘর্ষ ও সংঘাতের ব্যাপারে পুলিশ ও প্রশাসনকে শূন্য-সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ করতে হবে।

উত্তেজনা সৃষ্টিকারীর রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক না কেন, তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। আমরা আশা করব নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর করা তথা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেয়ার স্বার্থে সব প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে নির্বাচনী কার্যক্রম চালাবেন। প্রার্থীরাও বিধিবদ্ধ আচরণ করবেন।

অন্যথায় আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ নির্বাচনকেন্দ্রিক সব ধরনের অপরাধের তাৎক্ষণিক আইনি প্রতিবিধানের ব্যবস্থা করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App