আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী প্রচার শুরুর আগে আজ বুধবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করবেন। এরপর টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ার বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তিনি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকায় ফেরার পথে সাতটি স্থানে নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে পথসভায় বক্তব্য রাখবেন শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বি এম মোজাম্মেল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ। শেখ হাসিনার সফর সফল করতে গতকাল টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, বি এম মোজাম্মেল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ও যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। আবদুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ১৩ ডিসেম্বর সড়কপথে ঢাকা ফেরার পথে ফরিদপুরের ভাঙ্গা মোড়, ফরিদপুর মোড়, রাজবাড়ী রাস্তার মোড়, পাটুরিয়া ঘাট, মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, ধামরাই রাবেয়া মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল প্রাঙ্গণ ও সাভার বাসস্ট্যান্ডে নির্বাচনী প্রচার কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ অন্যান্য দেশেও দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি রহিত করা হয়েছে। ড. কামাল হোসেনের মতো বিএনপি নেতাকর্মীদের এ বিষয়ে সম্যক ধারণা থাকার পরও খালেদা জিয়ার মতো এতিমের টাকা ‘আত্মসাৎকারী’ দুর্নীতিবাজের পক্ষাবলম্বন করে নির্বাচনে সুযোগ নেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে কলুষিত করতে একজন চিহ্নিত দুর্নীতিবাজের পক্ষে জনগণের সহানুভূতি সৃষ্টির অপকৌশল হিসেবেই বিএনপি এই ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। ড. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ক্ষমতার মোহে তিনি বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের বিরোধিতা করছেন। ১৯৭২ সালের সংবিধানের জন্মলগ্ন থেকেই সংবিধানে অনুচ্ছেদ ৬৬ লেখা রয়েছে। বিএনপি উচ্চ আদালতকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজ খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টির পাঁয়তারা করতে তিনটি রিট পিটিশন করা হয়েছে। হাইকোর্ট বিভাগও এসব আবেদন নাকচ করেছেন। জাতির দুর্ভাগ্য এই যে, হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ নিয়ে বিএনপি তার চিরাচরিত মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের আশ্রয় নিয়েছে।