×

জাতীয়

বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাস বন্ধ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৮:০৭ পিএম

বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাস বন্ধ

বেনাপোল বন্দরে বকেয়া বেতনের দাবিতে দুইদিন ধরে পণ্য লোড-আনলোড বন্ধ করে দিয়েছে বন্দরের ইকুইপমেন্ট শাখার শ্রমিকরা। এতে হঠাৎ স্থবির হয়ে পড়েছে বন্দরের মালামাল খালাস প্রক্রিয়া।

সেই সঙ্গে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পরিশোধ করেও কোনো পণ্য খালাস নিতে পারছেন না আমদানিকারকরা। ভারত থেকে পণ্যবোঝাই শত শত ট্রাক আমদানিকৃত পণ্য খালাসের অপেক্ষা পড়ে আছে। পণ্য আনলোড না হওয়ায় লাখ লাখ টাকা ডেমারেজ দিতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। বিষয়টি বার বার জানানোর পরও বন্দর কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।

বেনাপোল স্থলবন্দরের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সিস লজিস্টিক্যাল সিস্টেম লিমিটেডের প্রতিনিধি সুলতান আহম্মেদ বাবু বলেন, গত জুলাই মাস থেকে বন্দর কর্তৃপক্ষ কোনো বিল পরিশোধ করছে না। বার বার বিল পরিশোধের কথা বলা হলেও কোনো কথা তারা শুনছেন না।

এদিকে আমরা শ্রমিকদের বেতন দিতে পারছি না। বাধ্য হয়ে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। বকেয়া বেতনের দাবিতে এর আগে আমাদের সঙ্গে বেনাপোল বন্দর পরিচালকের বৈঠক হয়। এ সময় বন্দর পরিচালক শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য পাঁচদিনের সময় নিয়েছিলেন। সে কারণে আমরা কাজে যোগ দেই। ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও আমরা টাকা পাইনি। শ্রমিকরা টাকার জন্য আমাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করছেন। বাধ্য হয়ে কর্মবিরতি করা ছাড়া আমাদের উপায় নেই।

বেনাপোল আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক আনু বলেন, ঝামেলা বন্দরের সঙ্গে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের। আর লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। কোনো রকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়া বন্দরে পণ্য খালাস বন্ধ করে দেয়ায় অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমরা।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বলেন, সমস্যা সমাধানের জন্য বিষয়টি স্থলবন্দর চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। শত শত কনসাইনমেন্ট সরকারি শুল্ক পরিশোধ করেও আমরা পণ্য খালাস নিতে পারছি না। এর সম্পূর্ণ দায় দায়িত্ব বন্দর কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে।

বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) প্রদোষ কান্তি দাস বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ইচ্ছাকৃতভাবে বন্দরে গত দুইদিন ধরে ইকুপমেন্ট সাইডের সমস্ত ধরনের পণ্য লোড-আনলোড বন্ধ করে রেখেছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অনেক আগেই স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চুক্তি শেষ হয়েছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বন্দর কর্তৃপক্ষ নতুন করে চুক্তি নবায়ন না করায় বন্দর কর্তৃপক্ষের নামে উচ্চ আদালতে একটি মামলা করে তারা।

উচ্চ আদালত থেকে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বন্দরের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে বলে রায় দেন। এ রায়ের পর বন্দর কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেন মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কোনো বিল পরিশোধ করা হবে না। এখন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মামলা নিষ্পত্তির আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এ কারণে মাঝে মাঝে বেনাপোল বন্দরের পণ্য লোড-আনলোডের কাজে বাধাগ্রস্ত করছে তারা। বিষয়টি নিয়ে উচ্চ মহলে আলোচনা চলছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App