×

মুক্তচিন্তা

প্রবাসীদের অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৯:১৯ পিএম

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে জানলাম তাদের প্রত্যাশা দেশে যেন আগামী নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়। দেশের বৃহত্তম বিরোধী দল বিএনপির হাজারো অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তারা এবার নির্বাচনে খালেদা জিয়াবিহীন করছে তাও আনন্দের সংবাদ।

তবে নির্বাচন যদি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় তাহলে বিএনপির বিজয় কেউ আটকিয়ে রাখতে পারবে না বলে যুক্তরাষ্ট্রের বিএনপির নেতাদের অভিপ্রায়। আর আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের আশা আগামী নির্বাচনে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসতে না পারলে দেশের দৃশ্যমান উন্নয়ন ভেস্তে যাবে। পিছিয়ে যাবে বাংলাদেশ ও দেশের জনগণের ভাগ্যোন্নয়ন। বিঘ্নিত হবে দেশের শান্তি ও সৌহার্দ্য। তারপরও উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে আগামী নির্বাচন যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে।

অনেক প্রবাসীও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখতে চান। নিউইয়র্কে বাংলা ভাষাভাষীর এত পত্রিকা রয়েছে যার অন্ত নেই। বন্ধু সাংবাদিক শামীম আল আমিন এখন নিউইয়র্কে দেশ-বিদেশের মিডিয়ার সঙ্গে জড়িত। তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বললেন দেশে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কোনো না কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপি টিকে না থাকলে রাজনীতিতে আবারো ভুল করার সম্ভাবনা থাকবে। মনে হয় এ কাজটি ভুলেও তারা করবে না।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসীদের এক বিরাট অংশ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তারা জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে বর্তমান সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। নির্বাচন এলে আমাদের দেশে ভারসাম্যের রাজনীতি থাকবেই। তবে তাও সমঝোতার পক্ষের শক্তির জন্য ইতিবাচক। যুক্তরাষ্ট্রের যেখানেই গিয়েছি সেখানেই প্রবাসী বাংলাদেশিরা আসন্ন নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন। নির্বাচন কি শান্তিপূর্ণ হবে? অনেক প্রবাসী বলেছেন দুর্বল গণতন্ত্র নয়, সবল গণতন্ত্রের মাধ্যমে সরকার গঠন করা হলে বিশ্বে বাংলাদেশের সম্মান অক্ষুণ্ন থাকবে।

তবে আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় গেলে গণতন্ত্রের ওপর একের পর এক আক্রমণ করতে শুরু করেন। তা কত দুঃখজনক। কি আশ্চর্য আমাদের দেশের জনপ্রতিনিধিরা চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, সম্পদ লুণ্ঠন, চোরাচালানি, জায়গা জমি দখল এবং সরকারি বরাদ্দ যেভাবে নিজের আয়ত্তে নিয়ে নিজেই দেশ-বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলেন তা সরকার, দল কেউই দেখেন না বলে প্রবাসীদের ব্যাপক অভিযোগ লক্ষণীয় ছিল।

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশার মাধ্যমে প্রবাসীরা আগামীতে একটা আলোকিত বাংলাদেশ দেখার সুযোগ পাবেন বলে আশা করেন। প্রবাসীরা এই দুর্দিনে ড. কামাল হোসেনের আগমন ও নেতৃত্বে নবগঠিত ঐক্যফ্রন্টের আবির্ভাবকে স্বাগত জানান। তার প্রয়োজন ছিল এবং এই বৃদ্ধ বয়সে ড. কামালের প্রচেষ্টা কোনোভাবেই বৃথা যেতে পারে না। দেশ ও জাতির ক্লান্তিলগ্নে ড. কামালের যথাযথ ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য রাখেন। কারণ তিনি শুধু সংবিধান বিশেষজ্ঞ নন, বঙ্গবন্ধুর শিষ্যও বটে।

আগামী নির্বাচনে উদারতামূলক ভূমিকার প্রতি দৃষ্টি রাখছেন। প্রবাস জীবনে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সিটিতে অবস্থানরত অবসরপ্রাপ্ত অনেক বাংলাদেশি দেশ থেকে দুর্নীতি খালেদা জিয়ার আমল থেকে এখন যে হারে দুর্নীতি, ঘুষ, কমিশনের হার বেড়েছে প্রবাসী অনেকে তাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে যেন আর কোনো দুর্নীতি বা হাওয়া ভবনের উৎপত্তি না ঘটে সেদিকে দৃষ্টির রাখার আহ্বান জানান।

ফরিদাবাদ, ঢাকা-১২০৪।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App