×

জাতীয়

মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৭:৩৩ পিএম

বর্ষীয়ান রাজনীতিক এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী তার দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং মানুষের প্রতি ভালোবাসার মধ্য দিয়ে একজন সফল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন। তিনি রাজনীতিকে অন্তরে ধারণ করেছিলেন। জনগণের কল্যাণেই রাজনীতি, আর এ জন্য তিনি আমৃত্যু রাজনীতির সঙ্গে ছিলেন। চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের মানুষের স্বার্থের সঙ্গে কখনো তিনি আপস করেননি। এ জন্য তিনি অন্যান্য রাজনীতিবিদদের থেকে ব্যতিক্রম। মৃত্যুর পর মানুষ স্মৃতির অন্তরালে চলে যান। কিন্তু কেউ কেউ তার কাজের মধ্য দিয়ে থেকে যান মানুষের হৃদয়ে। মানুষের ভালোবাসার মধ্য দিয়ে চিরঞ্জীব হয়ে থাকবেন মহিউদ্দিন চৌধুরী।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের উদ্যোগে নগরীর জামালখানে বঙ্গবন্ধু হলে ‘সাংবাদিকবান্ধব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী স্মারকগ্রন্থ’র প্রকাশনা উৎসবে বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. অনুপম সেন। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি কলিম সরওয়ারের সভাপতিত্বে এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিন্টু চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, মহিউদ্দিন চৌধুরীর বড় ছেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মহিউদ্দিন চৌধুরীর সহধর্মিণী ও চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বেগম হাসিনা মহিউদ্দিন, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামল, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, স্মারকগ্রন্থ প্রকাশনা কমিটির আহ্বায়ক মোয়াজ্জেমুল হক।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, তিনবারের মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে নিয়ে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ১৯৬ পৃষ্ঠার স্মারকগ্রন্থটি প্রকাশ করে। এতে চট্টগ্রামের ৫৬ জন সাংবাদিকের লেখা সংকলিত হয়েছে। গ্রন্থের ভূমিকা লিখেছেন সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. অনুপম সেন।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ থেকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রামের এমন কোনো আন্দোলন-সংগ্রাম ছিল না, যেখানে তিনি ছুটে যাননি। যেখানেই সংকট সেখানেই তিনি ছুটে গেছেন। এ কারণে চিরঞ্জীব হয়ে থাকবেন মহিউদ্দিন চৌধুরী।

ড. অনুপম মহিউদ্দিন চৌধুরীর জীবনের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকা-ের পর যখন অনেকেই নিজেদের লুকিয়ে রেখেছিলেন তখন মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রতিবাদ করেছিলেন। প্রতিশোধ নিতে দেশ ত্যাগও করেছিলেন। সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, মহিউদ্দিন উদ্দিন চৌধুরী মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করেছেন। চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের স্বার্থের প্রশ্নে কখনো আপস করেননি। এ জন্য অন্য রাজনীতিবিদদের থেকে তিনি ব্যতিক্রম ছিলেন।

মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, কলম সৈনিকদের প্রতি বাবার অপার ভালোবাসা ছিল। তিনি বিশ্বাস করতেন তারা যদি মুক্ত-স্বাধীন থাকেন এবং সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারেন তবে সমাজ ও রাষ্ট্রের ভালো হবে। অনেক সময় অভিমান করে বলতাম সাংবাদিকরা আপনার বিরুদ্ধে লেখেন, আপনি তাদের ভালোবাসেন কেন? তিনি বলতেন, সাংবাদিকরা স্বাধীনÑ তারা প্রশংসা যেমন করবেন, তেমন সমালোচনাও করবেন। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখার মাধ্যমে সমাজের অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App