×

মুক্তচিন্তা

বিভাজিত রাজনীতি, বিভাজিত সামাজিক ও গণমাধ্যম

Icon

কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:৩০ পিএম

সাম্প্রদায়িক শক্তি অহরহ মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে থাকে, অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তি, দল ও গোষ্ঠীর চরিত্র লেপন করেও থাকে। বাংলাদেশে এখন প্রতিদিন গণমাধ্যমে অর্ধ সত্য, অর্ধ মিথ্যা, পূর্ণ মিথ্যার বেসাতি করে এমন গোষ্ঠী কম নয়, এমন প্রতিষ্ঠানও কম নয়। এর মূল কারণ হচ্ছে দেশের রাজনীতি বিভাজিত, পরস্পরবিরোধী অবস্থানে, তাদের সামাজিক গণমাধ্যমও একই মতাদর্শে পরিচালিত হচ্ছে। প্রয়োজন চোখ, কান, বিবেক খোলা রেখে চলা।

দেশে রাজনীতিতে অসংখ্য দল ও জোটের নাম শোনা গেলেও আদর্শভিত্তিক বিবেচনায় মোটা দাগে দল ও জোটসমূহকে পরস্পরবিরোধী দুটো ভাগে অবস্থান করতে দেখা যাচ্ছে। একটি অসাম্প্রদায়িক, অপরটি সাম্প্রদায়িক ভাবাদর্শের দল বা জোট। অসাম্প্রদায়িক ধারার নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বিএনপি দিচ্ছে সাম্প্রদায়িক ধারার মতাদর্শে চালিত দল বা জোটসমূহকে। তবে অসাম্প্রদায়িক ধারায় এখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে যে ১৪টি দল রয়েছে সেগুলোর গণভিত্তি দেশব্যাপী খুবই দুর্বল। অথচ এক সময় জাসদ বা ন্যাপ বেশ জনপ্রিয় ছিল। ওয়ার্কার্স পার্টি কিছু কিছু জেলায় পরিচিত হলেও তেমন শক্ত ভিত্তি নেই। জাসদ ভাঙতে ভাঙতে এখন অণু-পরমাণুতে পরিণত হচ্ছে। বলা চলে ১৪ দলে আওয়ামী লীগ ছাড়া দ্বিতীয় কোনো বড় দল নেই যেটি দেশব্যাপী গণভিত্তি নিয়ে দাঁড়াতে সক্ষম। এর মাধ্যমে যে বিষয়টি বুঝে নিতে হচ্ছে, তা হলো অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলের বিকাশ আওয়ামী লীগের বাইরে খুব বেশি নেই। ১৪ দলের অপরাপর দলগুলো এক সময়ে বাম রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল। কিন্তু সেখানে গড়ার চাইতে ভাঙনের সংখ্যা বেশি ঘটায় অস্তিত্বের সংকটে পড়ে দলগুলো খণ্ড বিখণ্ড হয়ে যায়। এখনো কয়েকটি বাম দল স্বতন্ত্র অস্তিত্ব নিয়ে একটি জোটে অবস্থান করলেও তাদের জোটগত শক্তি এতটাই ছোট যে, বাম জোটকে এখন আর দেশের রাজনীতিতে খুব একটা হিসাব-নিকাশে নেয়া হচ্ছে না।

তবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোট গঠন করে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি অবস্থান করলেও দলটি বিএনপির বিকল্প সাম্প্রদায়িক দল হতে চেয়েও হতে পারেনি। বিএনপি জাতীয় পার্টিকে সঙ্গী করেনি, গ্রাস করেছে। তবে এরশাদ সাম্প্রদায়িকতার জন্য খুব বেশি লড়াকু হতে চায়নি। এমনিতেই স্বৈরাচারের কলঙ্ক লেপন থাকায় এরশাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে রংপুর তথা উত্তরাঞ্চলে এক ধরনের সহানুভূতির ভোট ধরে রাখার প্রাণান্তর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ফলে সাম্প্রদায়িকতা-অসাম্প্রদায়িকতার চাইতেও দলটি এরশাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও অনুগত কিছু ব্যক্তির স্বার্থ রক্ষার দল হিসেবে টিকে আছে- এটিই বড় বিষয়। এরশাদ তার দলটিকে বিএনপির করাল গ্রাস থেকে রক্ষার জন্যই আওয়ামী লীগের কাছাকাছি রাখতে চেষ্টা করেছেন। সেভাবেই জাতীয় পার্টি মহাজোটে আছে। নির্বাচনে দলটি এখনো উত্তরবঙ্গে কিছু আসন পায় বলে এর একটা আবেদন রয়েছে। দলটি ভাবাদর্শগতভাবে কোনো রাজনৈতিক লড়াইয়ের চাইতে ব্যক্তি এরশাদের পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে চলে, সুবিধাবাদী গোষ্ঠীর একটি দল হিসেবে দলটি কতদিন টিকে থাকবে- সেটি বিবেচ্য বিষয়। তবে নিজের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই দলটি অসাম্প্রদায়িক আওয়ামী লীগের সঙ্গে এক ধরনের নির্বাচনী জোট করে আছে।

অন্যদিকে সাম্প্রদায়িক ভাবাদর্শের বড় দল বিএনপি। এটি আওয়ামীবিরোধী মতাদর্শের সব রাজনৈতিক শক্তির বড় প্লাটফর্ম। এখানে এককালের অতিডান, অতিবাম, কিছু দলছুট, সুবিধাবাদী গোষ্ঠীর আশ্রয় ঘটলেও দলটি সম্প্রদায়িক ভাবাদর্শের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। দলটিকে ঘিরে অতি সাম্প্রদায়িক জামায়াত পুষ্ট হয়েছে। আরো ছোট ছোট কিছু গোষ্ঠীও বিএনপিকে কেন্দ্র করে অবস্থান করছে। তবে বিএনপির পর জামায়াতই হচ্ছে দ্বিতীয় বড় দল- যেটির সাংগঠনিক ভিত্তি দেশব্যাপী রয়েছে। নির্বাচনে দলটি এককভাবে অল্প সংখ্যক আসনে জয়লাভ করলেও বিএনপির সঙ্গে প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্যে ঐক্য করে গোটা ২০ আসন পাওয়ার উদাহরণ রয়েছে, বিএনপিও দেশব্যাপী জামায়াতের ভোটে বেশ কিছু আসনে জয়লাভ করতে পারে। ফলে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক ধারার দল হিসেবে বিএনপি এবং জামায়াত হাত ধরাধরি করে হাঁটছে, চলছে। বিএনপি কিছুটা মধ্য সাম্প্রদায়িক ধারার অবস্থান নিয়ে চলে, জামায়াত প্রান্তিক ডান পন্থায় বিচরণ করছে। তবে উভয় দলের নির্ভরশীলতা বেশ চমকপ্রদ। বিএনপি-জামায়াত বিচ্ছিন্নতায় বিকশিত হওয়ার কথা ভাবছে না। উভয় দলের সম্পর্ক আদর্শিক নৈকট্য দ্বারা গঠিত- যদিও বিএনপি তা স্বীকার করে না, নির্বাচনী ঐক্য বলে দাবি করে। কিন্তু বিএনপি এ পর্যন্ত জামায়াতের জন্য অনেক ধরনের ঝুঁকি নিয়েছে- যা আদর্শ বহিভর্‚ত হলে কখনো ঘটত না। বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক ধারার রাজনীতি মাঠের লড়াইয়ে ছিল, আছে এবং থাকবে। আদর্শের নৈকট্যই এদের শত প্রতিকূল অবস্থাতেও দূরে ঠেলে দেয়নি, দেবেও না। রাজনীতির এমন বাস্তবতাকে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তির মধ্যে নরম পন্থার বড় সংগঠন বিএনপি চরম পন্থার বড় দল জামায়াত, এর বাইরেও কিছু কিছু দল, গোষ্ঠী রয়েছে- যারা ২০ বা ২৩ দলে এখন একত্রীভূত হয়েছে। এর বাইরে সাম্প্রদায়িক, উগ্র, জঙ্গিবাদী মতাদর্শের নানা শক্তি ও গোষ্ঠী রয়েছে- যারা ডান সাম্প্রদায়িক মতাদর্শের রাজীতির খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে।

মূলত রাষ্ট্র, রাজনীতিতে ধর্ম, জাতি, সম্প্রদায় ইত্যাদি মৌলিক বিষয়ে সংকীর্ণ মতামত পোষণকারী, ভাবাদর্শে বিশ্বাসীদের অবস্থান সাম্প্রদায়িক মোটা দাগের কোনো না কোনো দল, জোট, গোষ্ঠী বা জোটবহিভর্‚ত শক্তিতে সচেতন বা অবচেতনে অবস্থান গ্রহণ করে। অনেকে বিষয়টি সম্পর্কে জেনে, বুঝে বা না বুঝেও অবস্থান নিয়ে থাকে। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের পরিচ্ছন্ন ধারণা লাভ ব্যতীত যে কোনো মানুষ সাম্প্রদায়িক ধারায় অবস্থান করতে পারে। অনেক উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তিও আন্তঃজ্ঞান চর্চার সীমাবদ্ধতার কারণে সাম্প্রদায়িক মতাদর্শে বিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারেন, অবস্থান নিতে পারেন। রাষ্ট্র, সমাজ, মানুষ এবং জীব জগতের নিয়ম-নীতি সম্পর্কে জানার সীমাবদ্ধতা থেকেই এমন বিশ্বাসের রাজনীতি মানুষের মধ্যে পুষ্ট হতে পারে। বাংলাদেশে সমাজ, রাষ্ট্র, রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি নিয়ে বৈজ্ঞানিক শিক্ষা লাভের অভাব থেকেই সাম্প্রদায়িক মতাদর্শের বিস্তার গত শতকের ত্রিশ-চল্লিশের দশকের পর থেকে ঊর্ধ্বমুখী হতে পেরেছে, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের মতো ব্যাপক প্রভাব বিস্তারকারী ঘটনাও আমাদের মনোজগতের পাকিস্তানকালে স্থান করে নেয়া সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধিকে সমূলে দূর করতে পারেনি, ১৯৭৫-এর পর সেটি আবার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় জায়গা করে নিয়েছে। রাজনীতিতে অসাম্প্রদায়িকতার অবস্থানকে দুর্বল করতে রাষ্ট্র সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধিকে অবারিত করে দিয়েছে। ফলে গোটা সমাজ ব্যবস্থা, রাজনীতি, শিক্ষা, প্রশাসন, এমনকি সংস্কৃতিতেও এর প্রভাব ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সব কিছুই দুই ভাবাদর্শে বিভক্ত হয়েছে। রাজনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি সবচাইতে বেশি প্রভাবিত হয়েছে। শিক্ষার পাশাপাশি যে গণমাধ্যম এখানে জন্ম নিয়েছিল সেখানেও দুটো ধারা প্রবাহিত হয়েছিল। একদিকে প্রতিক্রিয়াশীল পাকিস্তানের ধারক গণমাধ্যম, অন্যদিকে বাংলা, বাঙালি এবং এর সংস্কৃতির স্বার্থ সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যম সাম্প্রদায়িক গণমাধ্যমের বিপরীতে দাঁড়াতে থাকে, এটি সাম্প্রদায়িক রাজনীতির চরিত্রও উন্মোচন করেছে। এটি পত্রপত্রিকার লেখালেখিতে এক অর্থে কলমযুদ্ধ হিসেবে পরিচিত ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যম ধারণাটি অনেক বেশি উচ্চারিত। এখানে প্রিন্টিং মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, হালে সামাজিক মাধ্যমও যুক্ত হয়েছে, তবে গণমাধ্যম ধারণাটি কোনো অবস্থাতেই অবিভাজ্য নয়- যদিও এটিকে অনেকেই একটি ধারণায় চরিত্রদানের প্রাণান্তকর চেষ্টা করে থাকেন। কোনো ধরনের প্রচার মাধ্যমই রাজনৈতিক মতাদর্শের বাইরে নয়, নিরপেক্ষতার নামে বস্তুনিষ্ঠতা আড়াল করার চালাকিও করা হয়। রাষ্ট্র, রাজনীতিতে নিরেট নিরপেক্ষ বলে কিছু নেই। মতাদর্শগত অবস্থান সব মানুষেরই রয়েছে, সব প্রতিষ্ঠানেরও রয়েছে। প্রতিটি গণমাধ্যমই কোনো না কোনো মতাদর্শ দ্বারা পরিচালিত। যেসব সংবাদপত্র প্রতিদিন এত সংবাদ, লেখালেখি প্রকাশ করে থাকে- তাদের প্রত্যেকেরই কোনো না কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শ রয়েছে। সেটি মোটা দাগে হয় সাম্প্রদায়িক নতুবা অসাম্প্রদায়িক ধারার কোনো না কোনো ছোট বা বড় দল, গোষ্ঠী বা জোটের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ হতে পারে, আবার আংশিকও হতে পারে। যে কোনো ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বেলাতেও তা সত্য। প্রশ্ন হচ্ছে, কোন মতাদর্শের পক্ষে হলে রাষ্ট্র, রাজনীতির জন্য তা ইতিবাচক হবে- তা বুঝতে হবে। সাম্প্রদায়িকতার অবস্থান পশ্চাৎপদমুখী, অসাম্প্রদায়িকতার লক্ষ্য হচ্ছে অগ্রসর রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রতি। তবে এ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা না থাকলে, অবস্থান সুদৃঢ় না হলে মতাদর্শগত লড়াইতে ক্ষতির কারণ হয়েও দাঁড়াতে পারে।

বাংলাদেশে গণমাধ্যমে রাজনৈতিক মতাদর্শগত লড়াইটা অবিরত চলছে। তবে বেশির ভাগ গণমাধ্যমই এই লড়াইয়ে খুব বেশি সোচ্চার হতে চায় না, তথাকথিত নিরপেক্ষতার ভান করে। অনেক উদারবাদী গণমাধ্যমও তেমন অবস্থান নিয়ে থাকে। অন্যদিকে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর গণমাধ্যসমূহ তাদের লড়াইটি ঠিকই করে যাচ্ছে। সবচাইতে মারাত্মকভাবে করা হচ্ছে সামাজিক গণমাধ্যম বলে খ্যাত আনলাইন, নিউজ পোর্টাল ইত্যাদিতে। এখানে মিথ্যা অপপ্রচার চলছে লাগামহীনভাবে। এ মুহূর্তে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী পত্রপত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, সামাজিক গণমাধ্যম, নিউজ পোর্টাল ইত্যাদিতে নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করেই চলছে। এগুলো বেশির ভাগই পরিচালিত হচ্ছে সাম্প্রদায়িক, রাজনীতিতে বিশ্বাসী নানা গোষ্ঠী, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান যারা তাদের বিশ্বাসী রাজনৈতিক শক্তিকে জয়যুক্ত করতে মাঠে নেমেছে। অন্যদিকে অসাম্প্রদায়িক ধারার রাজনীতিতে বিশ্বাসী কোনো দল, ব্যক্তি, জোট, গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মিথ্যা খবর প্রচার করা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বানোয়াট কিছু পরিবেশন করা, টিভি টকশোতে বলা বা উপস্থাপন করা মোটেও সম্ভব নয়। কিন্তু সাম্প্রদায়িক শক্তির ও ব্যক্তির পক্ষে এটি কোনো ব্যাপারই নয়। সাম্প্রদায়িক শক্তি অহরহ মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে থাকে, অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তি, দল ও গোষ্ঠীর চরিত্র লেপন করেও থাকে। বাংলাদেশে এখন প্রতিদিন গণমাধ্যমে অর্ধ সত্য, অর্ধ মিথ্যা, পূর্ণ মিথ্যার বেসাতি করে এমন গোষ্ঠী কম নয়, এমন প্রতিষ্ঠানও কম নয়। এর মূল কারণ হচ্ছে দেশের রাজনীতি বিভাজিত, পরস্পরবিরোধী অবস্থানে, তাদের সামাজিক গণমাধ্যমও একই মতাদর্শে পরিচালিত হচ্ছে। আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় যাওয়া ও থাকার এই লড়াইতে সব ধরনের সামাজিক গণমাধ্যমকে ব্যবহার করার শেষ চেষ্টা, শেষ লড়াইতে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী নেমেছে, সেটি প্রতিদিনই আমরা দেখতে পাচ্ছি পত্রপত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, সামাজিক মাধ্যম রেজিস্ট্রেশনবিহীন অনলাইন নিজউ পোর্টালে। প্রয়োজন চোখ, কান, বিবেক খোলা রেখে চলা।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App