×

জাতীয়

মাগুরায় বড় দুই দলে রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০১৮, ০২:২১ পিএম

মাগুরায় বড় দুই দলে রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ
আসন্ন সংসদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি উভয় দল থেকেই মাাগুরায় রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থী মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেছেন। মাগুরার দুটি আসনে আওয়ামীলীগের ২৭ জন এবং বিএনপির প্রায় ২০ জন দলীয় মনোনয়ন চাইছেন বলে জানা গেছে। মাগুরা-১ আসনে আওয়ামীলীগের ১৮ জন দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন বলে জানা গেছে। দলীয় নেতাকর্মীদের ধারণা, মূলত শীর্ষস্থানীয় দুএকজনের মধ্য থেকে কউ মনোনয়ন পাবেন এটি নিশ্চিত জেনেও অন্যরা নানা কারণে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। রাজনীতি সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন আওয়ামী মনোনয়ন বর্তমান এমপি ব্রিগেডিয়ার (অবঃ) এটিএম আব্দুল ওয়াহাব এবং প্রধানমন্ত্রীর সহকারি একান্ত সচিব এড. সাইফুজ্জান শিখরের মধ্যে যে কেউ পতে পারেন। জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মাজেদুল হক ঝন্টু বলেন, মূলত দুটি আসনেই মনোনয়নের জন্য কাদের মধ্যে লড়াই হবে যারা মনোনয়ন চাইছেন তারা সবাই জানে। তারপরও কেন্দ্রে এবং এলাকায় নিজেকে পরিচিত করা এত নেতার মনোয়ন ফরম নেওয়ার প্রধান কারণ। এ আসনে বিএনপি থেকেও ৯ জন প্রার্থী ফরম নিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে মাগুরা বিএনপির অন্তর্দ্বদ্ব চলতে থাকায় মূলত দলটির নেতৃত্বে কোন সমন্বয় নেই বলে নেতাকর্মীদের অভিমত। এ প্রসঙ্গে এ আসনের মনোনয়ন প্রার্থী আহসান হাবিব কিশোর বলেন, দলীয় কার্যক্রমে সরকারী বাধার কারণে মাগুরায় বিএনপি একটু অগোছালো। আমরা আশা করি কেন্দ্র এমন কাউকে মনোনায়ন দেবেন যে কিনা সবাইকে ধানের শীষের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারবে। দলের অনেকেই নিজের মত করে মনোনয়ন চাইছেন। কিন্তু ধানের শীষ যিনি পাবেন সবাই তার পক্ষেই কাজ করব। মাগুরা-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী শ্রীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান বদরুল আলম হিরোকে ব্যাপক সংখ্যক প্রার্থীর মনোনয়ন চাওয়া আসন্ন নির্বাচনে দলটির উপর কোন নেকিবাচক প্রভাব ফেলবে কিনা এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, মনোনয়ন প্রত্যাশী সকলেই ধানেরশীষের পক্ষে ভোট চাইছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করছেন। যত বেশি প্রার্থী ধানের শীষে ভোট চাইবে, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইবে ততই বিএনপি লাভবান হবে। সুতরাং নেতিবাচক প্রভাবের বিষয়টি অবান্তর। মাগুরা-২ আসনের আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ৯ জন। মূলত এ আসনে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী শ্রী বীরেণ শিকদার প্রার্থীতার অন্যতম দাবিদার হলেও ৯ জন প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম নেওয়াকে সাংগঠনিক অনুশীলন বলে ভাবছে অনেকেই। এলাকার আওয়ামীলীগ কর্মী সাইফুল ইসলাম বলেন, আওয়ামীলীগে নেতার সংখ্যা বেশি তাই বেশি মনোনয়নপত্র বিক্রি হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আমার মনে হয়েছে পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার জন্যও অনেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। এ আসনে বিএনপি প্রার্থী বিএনপির কেদ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী মনোনয়ন দৌঁড়ে এগিয়ে আছেন বলে বিভিন্ন মহলে আলোচনা হচ্ছে। তার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বি কাজি সালিমুল হক কামাল যিনি জিয়া অরফানেজ মামলায় বর্তমানে কারাগারে অন্তরিণ। মহম্মদপুরের বিএনপি কর্মী মশিউর রহমান রিংকু বলেন, এ আসনে মনোনয়ন কে পাবেন তা প্রায় সবাই জানেন। তারপরও এত প্রার্থী আধিক্যের কারণ এরা ভবিষ্যতে দলে যেন একটা অবস্থান পাই তারই একটা পূর্ব প্রস্তুতি। এ আসনের মনোনয়ন প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিএনপি একটি বড় দল তাই প্রার্থীর সংখ্যাও অধিক হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে নতুন নেতৃত্ব আসুক এটাাও আমাদের প্রত্যাশা। একারণেই আমাদের চাওয়া তরূণ নেতৃত্ব যেন মনোনয়ন পায়। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুমার কুন্ডু বলেন, আওয়ামীলীগ একটি গণতান্ত্রিক দল। গণতান্ত্রিক অনুশীলন এ দলে সব সময় আছে। সেই ধারাবাহিকতায় প্রার্থীর প্রাচুর্য্য থাকতেই পারে। তবে যেই মনোনয়ন পাক সবাই দলীয় আনুগত্য বজায় রাখবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App