×

জাতীয়

৩০০ আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত করবেন এরশাদ

Icon

কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:৪৪ পিএম

৩০০ আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত করবেন এরশাদ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন চূড়ান্ত করবেন পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর গুলশানে ইমানুয়েলস মিলনায়তনে সাক্ষাৎকার গ্রহণ অনুষ্ঠানে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা পার্টির চেয়ারম্যানকে এ দায়িত্ব অর্পণ করেন। জানা গেছে, এরশাদসহ দলের পার্লামেন্টারি বোর্ডে মঙ্গলবার থেকে জাপার মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাতকার গ্রহণের কথা ছিল। প্রথমদিনেই মনোনয়ন প্রত্যাশীদের একত্রে ডেকে সাফ বলে দেন, সবার প্রার্থীতা বাছাই করে আমি তিনশ আসনে চূড়ান্ত করবো। এটা বলে কিছুক্ষণ রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে সাক্ষাতকার পর্বের সমাপ্তি টানেন। এতে প্রার্থীরা খুবই হতাশ হয়ে এলাকায় ফিরে যান। জানা গেছে, এর আগে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যদের সভায়ও ভোট, জোট এবং প্রার্থীতা চুড়ান্ত করার বিষয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে একক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে মোট ২৮৬৫টি মনোনয়নপত্র থেকে বাছাই করে ৭৮০টি মনোনয়নপত্র হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে এরশাদ বলেন, ‘দেশ, পার্টি এবং দলের নেতাকর্মীদের কথা বিবেচনা করেই আমি আসনের প্রার্থীতা চুড়ান্ত করবো। মনোনয়ন চুড়ান্ত করার ব্যাপারে আর কারো দায়িত্ব নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমি দেখতে চাই তিনশ আসনেই জাতীয় পার্টির যোগ্য প্রার্থী আছে। প্রাথমিকভাবে তিনশ প্রার্থী ঘোষণা করবো। তারপর সম্মিলিত জাতীয় জোটের সাথে প্রার্থীতা চুড়ান্ত করা হবে।’ এরশাদ বলেন, ‘রাজনৈতিক মেরুকরণে যদি অন্য কোন জোটে যেতে হয়, আমি এককভাবে সিদ্ধান্ত নেবো। তোমরা নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যাও, সময় মত আমি সিদ্ধান্ত জানাবো। নির্বাচন নিয়ে আমি যেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো, আশা করি তোমরা তা মেনে নেবে।’ ‘আমাদের সুদিন এসেছে, জাতীয় পার্টি আবার জেগে উঠেছে। ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার পর এবার সর্বোচ্চ মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। এটা আমাদের বড় অর্জন’, বলেন এরশাদ। মামলা প্রত্যাহার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এরশাদ বলেন, ‘এখনো মামলা আছে আমার নামে। একটা দিনের জন্যও মুক্ত ছিলাম না, এখনো নেই। একটা দিনের জন্যও সুখে ছিলাম না, শান্তিতে ছিলাম না। এখনো মামলা ঝুলছে আমর ওপর, একটারও নিস্পত্তি হয়নি। আমার মত দুঃখী রাজনীতিবিদ আর কেউ নেই। আমার চেয়ে কেউ কষ্টে করেনি, অসহ্য কষ্ট সহ্য করেছি।’ খালেদা জিয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কারাগারে আমার চিকিৎসা হয়নি। খালেদা জিয়া বলেছিলেন, এরশাদকে মরতে দাও।’ তিনি বলেন, ‘এরশাদ মরে নাই, জাতীয় পার্টি এখনো বেঁচে আছে। জাতীয় পার্টিকে বাঁচিয়ে রেখেছি, আজকের দিনটির জন্য। আজ মাঠে আছে আওয়ামী লীগ আর জাতীয় পার্টি। আর কোন দল নেই মাঠে।’ এর আগে জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান এবং বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বক্তৃতা করেন। উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আসিনুল ইসলাম মাহমুদ, কাজী ফিরোজ রশীদ, জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, শেখ মুহম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফখরুল ইমাম, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, নুর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, সুনীল শুভ রায়, এসএম ফয়সল চিশতী, মীর আবদুস সবুর আসুদ, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, মোঃ আজম খান, এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙা, আতিকুর রহমান আতিক, নাসরিন জাহান রতনা, আবদুর রশীদ সরকার, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার, সফিকুল ইসলাম সেন্টু, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীসহ মনোনয়ন প্রত্যাশীগণ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App