×

মুক্তচিন্তা

প্রার্থীদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে

Icon

কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:১৩ পিএম

সুষ্ঠু নির্বাচন ও প্রার্থীদের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির জন্য ১৮ নভেম্বরের মধ্যে সব রাজনৈতিক বিলবোর্ড, ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন ও লিফলেট অপসারণের জন্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পরও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে, বিশেষত অলি-গলিতে পোস্টার, ব্যানার দেখা যাচ্ছে- এমন খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে গতকালও গুরুত্বসহকারে ছাপা হয়েছে। ভোটের নির্ধারিত ২১ দিন আগে এই ধরনের প্রচারণা নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন। নির্বাচন কমিশনকেই এই বিষয়ে জোরালো উদ্যোগ নিতে হবে। আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, ভোটের নির্ধারিত তারিখের ২১ দিন আগে কোনো ধরনের প্রচার চালানো যাবে না। এ ছাড়া প্রচার সামগ্রী হবে সাদাকালো। এসব বিধান অনুসারে সব ধরনের আগাম প্রচার সামগ্রী তুলে ফেলতে বলা হয়েছে। প্রথমে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে এসব প্রচার সামগ্রী তুলে ফেলতে বলা হয়েছিল। পরে পুনঃতফসিল হওয়ায় তিন দিন বাড়িয়ে ১৮ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরও যাদের ব্যানার-পোস্টার রয়ে গেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোমবার ও মঙ্গলবার খিলগাঁও, শাহবাগ, বকশিবাজার, সুরিটোলা এলাকায় অভিযান চালিয়েছেন বলে জানা যায়। এসব ব্যানার-ফেস্টুন-পোস্টারের বেশিরভাগই সরকারি দলের নেতাকর্মীদের। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রচারণা সংবলিত ব্যানার-পোস্টারও রয়েছে। প্রতিটি পোস্টারের ভাষা প্রায় অভিন্ন। দলের শীর্ষ নেতাদের ছোট ছোট ছবি দিয়ে নিজের ছবি বড় করে এসব পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। অনেক পোস্টারে দেখা গেছে, মনোনয়নপ্রত্যাশীর ছবি দিয়ে প্রচারকারী নিজের রাজনৈতিক পরিচয় ও ছবি দিয়েছেন। অনেকে তার প্রিয় নেতার ছবি দিয়ে তাকে আগামীতে এমপি হিসেবে দেখতে চাওয়ার প্রত্যাশা প্রকাশ করে দলীয় প্রতীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। দুই সিটি করপোরেশনই বলছে, দুই সপ্তাহ ধরে তারা উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব অপসারণ করা হবে।

যেকোনো নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার পূর্বশর্ত হচ্ছে সুস্থ ও স্বচ্ছ নির্বাচনী পরিবেশ। এই পরিবেশ রক্ষার দায়-দায়িত্ব অনেকাংশেই রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের ওপর বর্তায়। তারা দায়িত্বশীল আচরণ করলে তৃণমূল পর্যায়ে কর্মী-সমর্থকদের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সর্বত্রই মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বহুরঙা ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন প্রার্থীরা অপসারণে এগিয়ে আসতে পারেন। নির্বাচনে প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর প্রার্থীরা নিয়ম মেনে পোস্টার ছেপে লাগাতে পারবেন। এর আগে এ ধরনের প্রচার-প্রচারণা বন্ধ হোক। পর্যবেক্ষক মহল থেকে সব সময় সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হচ্ছে। কাজেই পরিবেশ সুষ্ঠু ও সুন্দর রাখতে রাজনৈতিক দলগুলোসহ প্রার্থীরা আরো বেশি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App