×

পুরনো খবর

আ.লীগের চেষ্টা ধরে রাখা, বিএনপি মরিয়া পুনরুদ্ধারে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ০৪:০৬ পিএম

আ.লীগের চেষ্টা ধরে রাখা, বিএনপি মরিয়া পুনরুদ্ধারে
জয়পুরহাট জেলার কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর এই তিনটি উপজেলা নিয়ে গঠিত জয়পুরহাট-২ সংসদীয় আসনটিতে দিন দিন বাড়ছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা। এ আসনটি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির ঘাঁটি বলে পরিচিত হলেও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোট প্রার্থী আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন। এবার আওয়ামী লীগ চেষ্টা করছে আসনটি ধরে রাখতে। আর বিএনপি মরিয়া তা পুনরুদ্ধারে। এই লক্ষ্যে বিভিন্ন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ছুটছেন ভোটারদের কাছে ভোট ও দোয়া চাইতে। তা ছাড়া পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড, ফেসবুক, স্থানীয় পত্রপত্রিকার মাধ্যমে শুভেচ্ছা বিনিময় করে ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এ আসনটি ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির দখলে ছিল। বিএনপি দলীয় সাবেক সাংসদ আবু ইউসুফ মো. খলিলুর রহমান এলডিপিতে যোগদান করার পর ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪ দলীয় জোটের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মস্তফা এমপি নির্বাচিত হন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকার রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালর্ভাট-ড্রেন ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ভবন নির্মাণসহ নানা রকম উন্নয়নমূলক কাজ করেন। এ নির্বাচনী আসনের বিভিন্ন এলাকার তৃণমূল নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বড় দুদলের প্রধান বাধা দলের মধ্যেই ব্যাপক কোন্দল। তারপরও দুদলের মনোনয়ন প্রত্যাশী একাধিক প্রার্থী প্রচার- প্রচারণা করতে ও দোয়া চাইতে মাঠে রয়েছেন। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন বর্তমান সাংসদ ও দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। তিনি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে আগামীতে আরো ব্যাপক উন্নয়ন করার কথা বলে বিভিন্ন গ্রামে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে ভোটারদের কাছে ভোট ও দোয়া চাওয়া অব্যাহত রেখেছেন। দলীয় মনোনয়ন পেলে তিনি আসনটি ধরে রাখার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। একই দলের আরো সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এস এম সোলায়মান আলী, সাবেক সাংসদ প্রায়াত আব্দুর রাজ্জাক আকন্দের ছেলে জেলা আ.লীগ নেতা বিশিষ্ট শিল্পপতি ফরহাদ হোসেন আকন্দ পম্পি, ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জেলা আ.লীগ নেতা তাইফুল ইসলাম তালুকদার, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা আ.লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক তাজমহল হীরক, কালাই উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র তৌফিকুল ইসলাম তালুকদার বেলাল মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে জানা গেছে। এদিকে বিএনপি তাদের হারানো আসনটি পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় তৎপর রয়েছে। এ দলের মনোনয়ন প্রত্যাশায় মাঠে নেমেছেন সাবেক এলডিপি নেতা পুনরায় বিএনপিতে সদ্য ফেরত ৩ বারের নির্বাচিত এমপি সাবেক হুইপ আবু ইউসুফ মো. খলিলুর রহমান, জেলা বিএনপির সহসভাপতি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সাবেক সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মস্তফা, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আক্কেলপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কমল, জেলা বিএনপির সহসভাপতি ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রওনকুল ইসলাম টিপু চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন আলহাজ সিরাজুল ইসলাম বিদ্যুৎ, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ওবাইদুর রহমার চন্দন দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানানো হয়েছে। তা ছাড়া মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসমাজের সাবেক ছাত্রনেতা জাপার কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী আবুল কাশেম রিপন, দলীয় মনোনয়নে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী জেলা জাপার সহসভাপতি আবু সাঈদ নুরুল্লাহ মাছুম দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন। জামায়াত বা অন্যান্য দলের নেতাকর্মীদের মাঠপর্যায়ে তেমন সক্রিয় দেখা যায় না ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App