×

অর্থনীতি

হিমায়িত পণ্যের রপ্তানি আয় কমেছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ০১:১৮ পিএম

হিমায়িত পণ্যের রপ্তানি আয় কমেছে
চলতি অর্থবছরের (২০১৮-১৯) প্রথম চার মাসে হিমায়িত পণ্যের রপ্তানি আয় গত বছরের তুলনায় ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। এ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর এ চার মাসে হিমায়িত পণ্যের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫৭ দশমিক তিন মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। এই সময়ে সংশ্লিষ্ট খাতে রপ্তানি আয় হয়েছে ১৯৭ দশমিক ৩১ মিলিয়ন ডলার। লক্ষ্যমাত্রা থেকে ২৫ শতাংশ রপ্তানি আয় বেশি হলেও গত অর্থবছরের তুলনায় প্রথম চার মাসে হিমায়িত পণ্যের রপ্তানি আয় কমেছে ১৩ দশমিক তিন শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর মাসে হিমায়িত পণ্যের রপ্তানি আয় ছিল ২২৬ দশমিক ৯১ মিলিয়ন ডলার। টাকার অঙ্কে চার মাসে হিমায়িত পণ্যের রপ্তানি কমেছে ২৪ কোটি টাকা। দেশের প্রধান হিমায়িত রপ্তানি পণ্য চিংড়ি। এ দেশে উৎপাদিত চিংড়ির মতোই দেখতে ‘ভেনামি’ নামের এক ধরনের চিংড়ি, যা এখনো বাংলাদেশে উৎপাদিত হয় না। আবার স্বাদও প্রায় এখানকার চিংড়ির মতোই কিন্তু দাম চিংড়ির চেয়ে কম। আন্তর্জাতিক মৎস্য বাজারে এ ‘ভেনামি’র সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় চাহিদা কমছে দেশীয় চিংড়ির। তাই হুমকির মুখে চিংড়ি রপ্তানি। ইপিবি জানায়, আন্তর্জাতিক মৎস্য বাজারে গত কয়েক বছর ধরে ‘ভেনামি’ মাছের কারণে কমেছে চিংড়ির চাহিদা। দেখতে ও স্বাদে ভেনামি ও চিংড়ি প্রায় একই রকম। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে এক পাউন্ড চিংড়ির দাম যেখানে সাত ডলার সেখানে চার ডলারেই পাওয়া যায় এই ‘ভেনামি’ মাছ। আর তাই আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে চিংড়ির বাজার দখল করে নিয়েছে ভেনামি মাছ। কিন্তু বাংলাদেশে এখনো কর্তৃপক্ষ ভেনামি মাছের চাষের অনুমতি না দেয়ায় হিমায়িত পণ্যের রপ্তানি কমছে বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, হিমায়িত পণ্যের রপ্তানির মধ্যে মূল আয়টাই আসে চিংড়ি ও মাছ থেকে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরেই বাগদা চিংড়ির দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমে যাওয়ায় হিমায়িত পণ্যের রপ্তানি আয় কমছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে হিমায়িত পণ্যের মোট রপ্তানি যেখানে ছিল ১৯৭ মিলিয়ন ডলার সেখানে শুধু চিংড়ির রপ্তানি আয়ই হয়েছে ১৫৭ মিলিয়ন ডলার মূল্যের। এটিও গত অর্থবছরের তুলনায় ২২ শতাংশ কম।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App