×

পুরনো খবর

নৌকা না লাঙ্গল তা নিয়ে ধোঁয়াশায় নেতাকর্মীরা : স্বস্তিতে বিএনপি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ০২:৫৫ পিএম

নৌকা না লাঙ্গল তা নিয়ে ধোঁয়াশায় নেতাকর্মীরা : স্বস্তিতে বিএনপি
জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনে আওয়ামী লীগের টিকেটে ফরিদুল হক খান দুলাল টানা দুবার এমপি নির্বাচিত হলেও এবার এ আসনে নৌকা নাকি লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মনোনয়ন পাচ্ছেন তা নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। গত ৩ নভেম্বর ইসলামপুরের গুঠাইলে জাতীয় পার্টির এক জনসভায় দলের চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর নাম ঘোষণা দেয়ায় সরব হয়ে ওঠে ইসলামপুরের রাজনীতির মাঠ। জোটবদ্ধ নির্বাচনে এ আসনটি লাঙ্গলের বলে প্রত্যাশা করেন জাতীয় পার্টির সর্বস্তরের নেতাকর্মী। ২০১৪ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদে এমপি নির্বাচিত হন ফরিদুল হক খান দুলাল। আসন্ন নির্বাচনে তিনি ছাড়াও এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী মাঠে রয়েছেন। এদিকে জোটের সমীকরণে এ আসনে উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি মোস্তফা আল মাহমুদও সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে এলাকায় গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। এ আসনে নৌকা না লাঙ্গল কোন প্রতীকের প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেবেন তা নিয়ে এলাকায় চলছে ব্যাপক গুঞ্জন। এ আসনে টানা দুবারের নির্বাচিত এমপি ফরিদুল হক খান দুলাল এবারো মনোনয়ন পাবেন বলে আশাবাদী। সেই লক্ষ্যে তিনিও এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে নিয়মিতভাবেই এলাকায় জনসংযোগ, উঠান বৈঠক এবং সরকারের উন্নয়ন প্রচারণাসহ নৌকার ভোট চেয়ে আসছেন সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীর-উত্তমের মেয়ে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি মাহজাবিন খালেদ বেবী। মাহজাবিন বলেন, তার বাবা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও দেশের জন্য কাজ করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন। আর এ আসনে তার চাচা সাবেক ভ‚মি প্রতিমন্ত্রী ৫ বার এমপি নির্বাচিত হয়ে এলাকার মানুষের ভাগ্নোয়নের জন্য কাজ করে গেছেন। সেই পরিবারের সদস্য হয়ে তিনি মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চান। তিনি আশাবাদী, দলীয় সভানেত্রী এবার তাকে মনোনয়ন দেবেন। মনোনয়ন পেলে আগামী নির্বাচনে আসনটি দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে সক্ষম হবেন বলে আশাবাদী তিনি। এ ছাড়া এ আসনে ইসলামপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র জিয়াউল হক জিয়া, বিমানবন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহাজাহান আলী মণ্ডল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য কৃষিবিদ মঞ্জুরুল মোর্শেদ হ্যাপী দলীয় মনোয়ন প্রত্যাশায় কাজ করছেন। এ আসনে বিএনপি থেকে ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন উপজেলা বিএনপির বর্তমান সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য সুলতান মাহমুদ বাবু। দলের অন্য কারো তৎপরতা না থাকায় তার মনোনয়ন অনেকটা নিশ্চিত বলে জানান ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ইসলামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নবী নেওয়াজ খান লোহানী। সুলতান মাহমুদ বাবু এমপি থাকাকালীন এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করায় তারও জনপ্রিয়তা রয়েছে দাবি করেন বিএনপির এই নেতা। এ আসনে ইসলামপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শিল্পপতি মোস্তফা আল মাহমুদ দলের মনোনয়ন প্রত্যাশায় দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় কাজ করছেন। তিনি যমুনার দুর্গম চরাচঞ্চলের মানুষের মাঝে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দিতে একটি সোলারপ্লান্ট স্থাপন করার পাশাপাশি যমুনা নদীবেষ্টিত ৫টি ইউনিয়নের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। গত ৩ নভেম্বর এ আসনে জাপার প্রার্থী বিশিষ্ট শিল্পপতি মোস্তফা আল মাহমুদের এক নির্বাচনী জনসভায় আসেন পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওই জনসভায় তিনি মোস্তফা আল মাহমুদকে এ আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর থেকে ইসলামপুরের নির্বাচনী মাঠে গুঞ্জন শুরু হয় এ আসনে কোন প্রতীকের প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেবেন নৌকা না লাঙ্গল। এদিকে এ আসনে নৌকার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি জিয়াউল হক জিয়া, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর মেয়র শেখ আব্দুল কাদের, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দুলালসহ উপজেলার যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মী। জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল এহসান বলেন, জোটবদ্ধ নির্বাচন হলে তারা জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) ও জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসন ২টি দাবি করবেন। এ কারণে পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ ইসলামপুর সফরে এসে এক নির্বাচনী জনসভায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে এ আসনে মোস্তফা আল মাহমুদের নাম ঘোষণা করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App