×

মুক্তচিন্তা

দেশ বিধ্বংসী সব কর্মকাণ্ড রুখতে হবে

Icon

কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:০৩ পিএম

 

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে ভয়ঙ্কর নাশকতার ছক কষেছে জামায়াত-শিবির। পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভেঙে দিতে সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের তালিকা করে টার্গেট কিলিংয়ের পরিকল্পনাও করেছে। বিশেষ অ্যাপসের মাধ্যমে ক্যাডারদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। ঢাকা মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন শিবির নেতাকে বিস্ফোরকসহ গ্রেপ্তারের পর এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। নির্বাচনের আগে জামায়াত-শিবিরের এমন ভয়ঙ্কর খবর প্রশাসনসহ সাধারণ মানুষকে ভাবিয়ে তুলছে। জানা যায়, নির্বাচনে জামায়াত-শিবির গোপনে নাশকতার ছক কষছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে গত অক্টোবর থেকে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরই মধ্যে গোপনে বৈঠক ও নাশকতার প্রস্তুতির অভিযোগে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে জামায়াত-শিবিরের কয়েকশ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক। গত ৩ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম ছাত্রশিবিরের ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ সংগঠনটির ১০ পৃষ্ঠার একটি নথি উদ্ধার করে। যেখানে নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের কৌশলগত পরিকল্পনার পুরোটাই রয়েছে। বলা হয়েছে, নির্বাচনের সময় চট্টগ্রাম নগরের ১৬টি থানা এলাকাকে ৫২টি সাংগঠনিক থানায় ভাগ করে কাজ শুরু করে ছাত্রশিবির। নির্বাচন সামনে রেখে এই ৫২টি সাংগঠনিক থানায় মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকবেন ২৫৮ জন নেতা। তাদের অধীনে মাঠে থাকবেন ২০ হাজার প্রশিক্ষিত কর্মী। প্রতিটি ইউনিট থেকে আটজন করে প্রশিক্ষিত কর্মী নিয়ে গঠন করা হয়েছে সমন্বয় কমিটি। চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে কোনো কর্মসূচি নেই জামায়াত-শিবিরের। তবে এরা পর্দার আড়ালে শক্তি বাড়াচ্ছে- এটা উদ্ধারকৃত নথি প্রমাণ করে। গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, গত সংসদ নির্বাচনে দলটি যেভাবে নাশকতা চালিয়েছিল, সেভাবেই নাশকতা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে এবারো। এ কারণে নানা ব্যানারে কর্মীদের সমবেত করে চাঙা করার কৌশল অবলম্বন করছে। উল্লেখ্য, আদালতের রায়ে বিলুপ্ত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবি এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালে আন্দোলনের নামে বিএনপি ও তাদের নেতৃত্বাধীন জোটের অন্যতম শরিক জামায়াত ২০১৩-এর শেষ থেকেই বোমাবাজি-সন্ত্রাস-নাশকতার পথ বেছে নেয়। নির্বাচন-পূর্ব সময়ে এই সন্ত্রাস-নাশকতায় দেড় শতাধিক প্রাণহানি ঘটে। এরপর ২০১৫ সালে টানা ৯২ দিন ধরে চোরাগোপ্তা স্টাইলে হামলা, ভাঙচুর, বোমাবাজি, বাসে পেট্রলবোমা হামলা ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সর্বত্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের হিসাবে, ওই সময় একজন পুলিশ সদস্যসহ ৫৮ জনকে আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়। আহত হয় কয়েকশ নিরীহ মানুষ। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামায়াত-শিবিরের দেশ বিধ্বংসী সব কর্মকাণ্ড রুখে দিতে হবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের স্বার্থে জামায়াত-শিবির গংদের সব অপচেষ্টা কঠোরভাবে দমন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে সজাগ থাকতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App