×

বিনোদন

শিল্পকলায় অবয়বের ‘ফেরিওয়ালা’

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০১৮, ০২:২৯ পিএম

শিল্পকলায় অবয়বের ‘ফেরিওয়ালা’
অবয়ব নাট্যদলের ২৩তম প্রযোজনা ‘ফেরিওয়ালা’ গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে। আসাদুজ্জামান দুলালের রচনায় নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন শহিদুল হক খান শ্যানন। চাঁড়াল সম্প্রদায় এ নাটকের প্লট। এতে দেখানো হয় তখনকার চাঁড়াল সমাজের চরম দৈন্যদশার খন্ডচিত্র। সেই সঙ্গে একটি গল্প চলে আসে নাটকে। তা হলো ফেরিওয়ালার গল্প। এই ফেরিওয়ালা ফেরি করে ঠিকই; কিন্তু তা প্রচলিত নিয়মে নয়। এখানে এক ইংরেজ সাহেব আসেন চাঁড়াল সম্প্রদায়ের বহু বছরের পুরনো ও নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস কিনতে। তাকে বরাবরের মতো সাহায্য করে এ দেশীয় দালাল। এই গল্পে দালাল থাকে এলাকার মেম্বার। সে চাঁড়াল সম্প্রদায়ের বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে পুরনো জিনিস যৎসামান্য দামে ক্রয় করে তা চড়া দামে পাচার করে ইংরেজ সাহেবের কাছে। আর এই মেম্বার সাহেবের মাঝখানে সেতু হিসেবে কাজ করে ফেরিওয়ালা। ঘটনার একপর্যায়ে মেম্বার নীলকণ্ঠী নামের এক বৃদ্ধ চাঁড়ালের একটা ত্রিশূল কিনতে চায়। অভাবের জ্বালা দূর করতে নীলকণ্ঠীর ছেলে লখাই ত্রিশূল বেচতে রাজি হয়। কিন্তু বেঁকে বসে নীলকণ্ঠী। সে কিছুতেই ওই ত্রিশূল বেচবে না। ওটা যে নীলকণ্ঠীর পূর্বপুরুষের বহু আন্দোলন-সংগ্রামের প্রতীক। নীলকণ্ঠীর কাছে ওই ত্রিশূলের মধ্যেই বেঁচে আছে তার বাপ-ঠাকুরদা। একপর্যায়ে অভাবের তাড়নায় ও মানুষের কু-রিপুর প্রভাবে গ্রাস হয়ে লখাই ত্রিশূল বিক্রি করতে বাবা নীলকণ্ঠীকে বাধ্য করে। কিন্তু নিজের চোখের সামনে সে ওই ত্রিশূল হাতছাড়া হতে দেবে না। তাই ত্রিশূলটি দিয়েই নীলকণ্ঠী আত্মহত্যা করে। মেম্বার লখাইকে পরামর্শ দেয়, বাবার বুক কেটে ত্রিশূলের ফলা বের করে দ্রুত বিক্রি করতে। কিন্তু ততক্ষণে বাবার মৃত্যুতে লখাইয়ের বোধ জাগ্রত হয়েছে। সে মেম্বারের কুচক্রের বিরোধিতা করে। অবশেষে মেম্বার তার স্বার্থসিদ্ধির জন্য লখাইকেও হত্যা করে ত্রিশূল হস্তগত করে। এভাবেই নাটকের পরিসমাপ্তি ঘটে। নাটকটির প্রধান চরিত্র লখাইয়ের নামভ‚মিকায় অভিনয় করেন কাজী দেলোয়ার হেমন্ত এবং মেম্বার ও নীলকণ্ঠীর চরিত্রে অভিনয় করেন যথাক্রমে মাহমুদ হাসান জনি এবং ফ্রাঙ্কোলিন সরকার। এতে অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেন তানজিবা আক্তার শোভা, আবু সাঈদ, তানভীর, আবদুল হান্নান, এম ডি হাবিব, নাজমুল ইসলাম ও আঙ্কন। নাটকটির মঞ্চসজ্জায় রয়েছেন রবীন্দ্রনাথ প্রামাণ্য; পোশাক ও কোরিওগ্রাফি করেছেন কাজী দেলোয়ার হেমন্ত; আবহ সংগীতে ছিলেন আলমগীর, আবু হাসান, নাদিম আহমেদ, শোভন, আনোয়ার হোসেন ও লিপি। কথা ও সুর দিয়েছেন গোলাম ওয়াদুদ তাপন, আলোকসজ্জায় রয়েছেন অনীক রহমান এবং প্রযোজনা ও ব্যবস্থাপনায় মাহমুদ হাসান জন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App