×

জাতীয়

দুই মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে বাবুল চিশতী

Icon

কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০১৮, ০৬:৫৮ পিএম

দুই মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে বাবুল চিশতী
রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের করা অর্থ আত্মসাতের দুই মামলায় ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতীকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম হাবীবুর রহমান চৌধুরী তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। দুই মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড শেষে বাবুল চিশতীকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক সামছুল আলম। গত ৭ নভেম্বর এক মামলায় তিন দিন এবং আরেক মামলায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। উল্লেখ্য, মামলাগুলোর মধ্যে এক মামলায় গত ১০ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে বাবুল চিশতীকে গ্রেপ্তার করে দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলমের নেতৃত্বাধীন একটি দল। ওই দিনেই বাবুল চিশতীর পাঁচ দিন ও ১৯ এপ্রিল দুই দিন মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ২৬ এপ্রিল বাবুল চিশতীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন। এরপর গত ৪ নভেম্বর তার পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে দুদক। ১০ এপ্রিল রাজধানীর গুলশান থানায় ছয়জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করে দুদক। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ব্যাংকের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাহবুবুল হক চিশতী গুলশান শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব খুলে বিপুল পরিমাণ অর্থ নগদে ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা ও উত্তোলন করেছেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়েদের ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন শাখার মোট ২৫টি হিসাবে নগদ ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে মোট ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। হিসাবগুলোতে গ্রাহকদের হিসাব থেকে পাঠানো অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে গ্রহণ করে এবং নিজেদের নামে ক্রয়কৃত ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিল্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে। তাই আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক মামলা দায়ের করেছেন। গত ২৮ অক্টোবর অপর মামলাটি গুলশান থানায় দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলম। মামলায় বাবুল চিশতীর সঙ্গে আরো ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে । এ মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালে তারা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঋণের নামে ব্যাংকিং নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ব্যাংকটির গুলশান করপোরেট শাখা থেকে ২৯ কোটি ৫১ লাখ ৮৫ হাজার ৮২০ টাকা উত্তোলন করে স্থানান্তর, হস্তান্তর করে পাচার করেন। ভোজ্য তেল আমদানি, প্রক্রিয়াজাত ও সরবরাহের জন্য লায়লা বনস্পতি নামের প্রতিষ্ঠানকে ওই ঋণ দেওয়া হলেও ঋণ বিতরণ সংক্রান্ত নথিপত্র পর্যালোচনার কথা উল্লেখ করে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদনের ভিত্তিতে ঋণ ছাড়ের কথা থাকলেও শাখার কর্মকর্তারা মাত্র তিনটি ধাপে অল্প সময়ের মধ্যে ঋণটি বিতরণ করেছেন। এতে গ্রাহক সহজেই উত্তোলিত ঋণটি নিজের মতো করে সরিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। শাখার মঞ্জুরিপত্রে ফরেন ডেফার্ড এলসির কথা বলা থাকলেও সমস্ত পেমেন্ট লোকাল এলসির বিপরীতে হয়েছে। গ্রাহক কর্তৃক গৃহীত এলসি সুবিধার বিপরীতে আসলে কোনো মালামাল আমদানি হয়েছে কি না তাও ব্যাংক যাচাই করেনি। মালামাল আমদানি হয়ে থাকলে তা থেকে উৎপাদিত পণ্য কী করা হয়েছে, সে সংক্রান্ত কোনো প্রতিবেদনও ব্যাংকের কাছে পাওয়া যায়নি এবং কোনো ফলোআপ নেই বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এ মামলায় গত ৪ নভেম্বর বাবুল চিশতীর পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে দুদক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App