বাউফলে এসএসসি ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ০৪:০২ পিএম
বাউফলে এসএসসি ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার অধিকাংশ বিদ্যালয়ে ওই ফি আদায়ের নামে বাণিজ্য চালাচ্ছে। এমনই অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ ও অভিবাবকগণ। সরকারের নির্দেশনা উপক্ষো করে উপজেলার বিদ্যালয়গুলো এভাবে ফরম পূরণের নামে অতিরিক্ত অর্থ নেয়ায় অনেকটা মুখ বুঝে সহ্য করছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ।
সুত্র জানায়, চলতি বছর বরিশাল শিা বোর্ড কর্তৃপক্ষ মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে ব্যবহারিক পরীক্ষা ও কেন্দ্র ফি সহ নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য সর্বোচ্চ ১ হাজার ৬৩০, বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ১ হাজার ৭২০ টাকা নির্ধারন করেছেন। অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য আরও একশত টাকা করে বেশি নির্ধারন করে দিয়েছেন। উল্লেখিত ফি ছাড়াও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের প্রতি পরীক্ষার্থীর থেকে আরো ২৫টাকা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। কিন্তু উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বোর্ডের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তিন হাজার থেকে প্রায় চার হাজার টাকা করে আদায় করছেন। উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বোর্ড ফি, কোচিং ফি, সেন্টার ফি ইত্যাদি নামে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত টাকা নিলেও কিছু কিছু বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কোন প্রকার কোচিং করানো হয় না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাউফল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের এক শিক্ষার্থীর হতদরিদ্র অভিভবাক বলেন, মেয়েকে বিদ্যালয়ের স্যারেরা ৩ হাজার ৬০০ টাকা নিয়ে ফরম পূরণ করতে বলেছেন। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে এখন অভাব অনটনের দিন, এ সময় এত টাকা দিয়ে সন্তানের পরিক্ষার ফরম পূরণ করা যেন “মড়ার উপর খড়ার ঘাঁ”। অভিযোগ রয়েছে, টাকা আদায়ের সময় রশিদ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও কোন বিদ্যালয়ই রশিদ দিচ্ছে না।
বাউফল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, বোর্ডের নির্ধারিত ফির চেয়ে যদি কোন প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত ফি নেয়, তার দায়ভার সমিতি নিবেনা। তবে কোন ছাত্রের যদি বকেয়া থাকে তাহলে সে বকেয়া দিতে বাধ্য। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.সহিদুল হক বলেন, কোন বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিজুস চন্দ্র দে বলেন, আমরা প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছি র্বোড নির্ধারিত ফি এর চেয়ে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া যাবেনা। যদি কোন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যায় তবে সে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।