×

অর্থনীতি

লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে মাছ উৎপাদন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০১৮, ১১:৪৪ এএম

লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে মাছ উৎপাদন
২০১৬-১৭ অর্থবছরে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রথমবারের মতো মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। গত অর্থবছরে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪০ লাখ ৫০ হাজার টন কিন্তু উৎপাদিত হয়েছে ৪১ লাখ ৩৪ টন। মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূূত্র জানায়, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে এ পর্যন্ত ৫৭টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এর মধ্যে ৪৬টি মাছের প্রজনন, জিনপুল সংরক্ষণ, জাত উন্নয়ন ও চাষাবাদ বিষয়ক এবং অপর ১১টি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক। মাঠপর্যায়ে এসব প্রযুক্তি সম্প্রসারণের ফলে মাছের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাদু পানির ২৬০টি মৎস্য প্রজাতির মধ্যে ৬৪টি প্রজাতি বর্তমানে বিপন্ন হলেও এ সময় কৃত্রিম ও নিয়ন্ত্রিত প্রজননের মাধ্যমে টেংরা, গুজি আইড়, চিতল, ফলি, কুচিয়া মাছের পোনা উৎপাদনে সফলতা এসেছে। এখন পর্যন্ত বিলুপ্ত প্রায় ১৬টি মাছকে পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি দেশের মাছ উৎপাদনে ব্যাপক আবদান রেখে চলেছে। পুনরুদ্ধারকৃত মাছের চাষাবাদ সম্প্রসারিত হওয়ায় বাজারে এদের প্রাপ্যতাও বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মূল্য জনগণের ক্রয়-ক্ষমতার মধ্যে এসেছে। বিজ্ঞানীরা জেনেটিক গবেষণার মাধ্যমে ২০০৯ সালে দেশীয় রুই মাছের নতুন উন্নত জাত উদ্ভাবনে সক্ষম হয়েছেন। বিভিন্ন নদীর উৎস থেকে রুই মাছের বন্য জাত সংগ্রহ করে ক্রসডিং পদ্ধতিতে উদ্ভাবিত প্রথম প্রজন্মের উন্নত জাতের এই রুই বিদ্যমান জাত হতে ১৬ গুণ অধিক উৎপাদনশীল। ফলে এ মাছের উদ্ভাবিত জাতটি ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হলে দেশে অতিরিক্ত ৩০-৩৫ হাজার টন মাছ পাওয়া সম্ভব হবে। এ দেশে দুর্লভ প্রজাতির কুচিয়া মাছ অত্যন্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ ও ঔষধি গুণসম্পন্ন। দেশে এর চাহিদা তেমন না থাকলেও আন্তর্জাতিক বাজারে এ চাহিদা যথেষ্ট। আন্তর্জাতিক বাজারে কুচিয়ার চাহিদা থাকায় ২০১৫ সালে নিয়ন্ত্রিত প্রজননের মাধ্যমে কুচিয়ার পোনা উৎপাদনে সফলতা এসেছে। এ পোনা উৎপাদনের ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে নির্বিচারে কুচিয়ার আহরণ হ্রাস পেয়েছে এবং চাষাবাদ সহজতর হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় মৎস্য অধিদপ্তর ও মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের যৌথ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে ১৬ কোটি জনগণের চাহিদা পূরণ করার পর অতিরিক্ত মৎস্য উৎপাদনেও সফলতা দেখিয়েছে। মৎস্য অধিদপ্তরের এক পরিচালক জানান, মৎস্য উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। শুধু তাই নয়, এ বছর বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিদেশেও রপ্তানি করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App