×

মুক্তচিন্তা

সব দলের অংশগ্রহণ জরুরি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:০৬ পিএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৩ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণের মাধ্যমে তফসিল ঘোষণা করেন।

তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে সংসদ নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার অবসান হলো। এর ভেতর দিয়ে দেশে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেল। সিইসি তার ভাষণে একাদশ সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলকে অংশগ্রহণের আহ্বান এবং বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন এবং ভোটগ্রহণে সীমিত পরিসরে ইভিএম ব্যবহার করা হবে বলে জানান।

এ ছাড়া তিনি জানান, ২০১৭ সালে সংলাপের মাধ্যমে ৪০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, সুধীসমাজ, গণমাধ্যম প্রতিনিধি, পর্যবেক্ষক সংস্থা, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও নারী নেত্রীদের পরামর্শ এবং সুপারিশ বিচার-বিশ্লেষণের পর গ্রহণযোগ্য বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সংসদ নির্বাচন আইনে যে তিনটি বিধান এবার যোগ হয়েছে তা হলো ভোটগ্রহণে ব্যালট পেপারের পাশাপাশি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার, সাত দিন আগের পরিবর্তে মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন পর্যন্ত খেলাপি ঋণ পরিশোধের সুযোগ এবং অনলাইনেও প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সুযোগ।

তিনি বলেন, ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখের মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এরই মধ্যে নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়ে গেছে। ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বর্তমান সংসদের মেয়াদ রয়েছে। ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি দশম সংসদের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সে হিসাবে সংসদের মেয়াদ শেষ হবে ২৮ জানুয়ারি। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ১৯ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২২ নভেম্বর এবং প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৯ নভেম্বর। এ নির্বাচনে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও ৬৪ জেলা প্রশাসককে (ডিসি) রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

গতকাল থেকে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু করেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার ভাষণে সব রাজনৈতিক দলকে এ নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। আমরাও চাই এবার একটি সুষুম, গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে আদৌ অংশগ্রহণ করবে কিনা তা নিয়েও। এটা ঠিক, অন্যান্য দল অংশ নিলেও ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচনটি যথার্থ অংশগ্রহণমূলক হবে না।

শুধু তাই নয়, সে ক্ষেত্রে দেশে রাজনৈতিক পরিবেশ অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে। দেশের মানুষ শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চায়। দেশের সংবিধানের প্রতি সবাইকে শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। নির্বাচন প্রতিরোধের নামে হরতাল-অবরোধ, সহিংসতার মতো কর্মসূচি আমরা আর চাই না। সরকার ও বিরোধী পক্ষ যদি পরস্পরের প্রতি ছাড় দেয়ার মানসিকতা দেখাতে পারে, তাহলে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় সুখবর তৈরি হবে অবশ্যই। গণতন্ত্রের স্বার্থে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি মনে করছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App