কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূল থেকে ১৪ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবির) সদস্যরা। মঙ্গলবার বিকেলে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচর সংলগ্ন উপকূল থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। এর সবাই উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে পাঁচ নারীও রয়েছেন। তারা সবাই গত বছরের আগস্টের পরে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। আটক রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে একটি চক্র তাদের নৌকায় তুলে দুই দিন সাগরে ঘুরায় এবং ‘থাইল্যান্ড পৌঁছেছি’ বলে টেকনাফ সৈকতে নামিয়ে দেয়। টেকনাফ-২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর শরীফুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। উদ্ধার করা রোহিঙ্গারা হলেন- উখিয়ার জামতলী রোহিঙ্গা শিবিরের মোহাম্মদ ইয়াছি (২২), বালুখালী ক্যাম্পের মো. ইসলাম (২৬), থ্যাংখালী ক্যাম্পের খাইরুল আমিন (১৮), একই ক্যাম্পের মোহাম্মদ রহিম উল্লাহ (১৬), জাকের আহমদ (১৯), কতুপালং ক্যাম্পের সাইদুল আমিন (১৯) তার ভাই মোহাম্মদ সুলতান (৪৫), ফরিদুল আলম (১৮), থ্যাংখালী ক্যাম্পের নুর বাহার (১৮), বালুখালী ক্যাম্পের বিবি খদিজা (১৮), মধুরছড়া ক্যাম্পের খুরশিদা (১৮) একই ক্যাম্পের রফিজা (১৮), থ্যাংখালী ক্যাম্পের আনোয়ারা বেগম (১৮) ও টেকনাফ নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মোহাম্মদ হোসেন (১৭)। বিজিবি জানায়, মানবপাচারকারী একটি দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে টাকার বিনিময়ে সাগর পথে মালয়েশিয়া যেতে চেয়েছিল রোহিঙ্গারা। টেকনাফের কচুবনিয়া ঘাট থেকে তাদের নৌকায় তুলে পাচারকারীরা গত দুই দিন ধরে সাগরে ঘুরায়। পাচারকারীরা বলেছিল, গভীর সাগরে একটি বড় জাহাজে রোহিঙ্গাদের তুলে দেওয়া হবে। এর জন্য দালাল চক্রকে রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা করে নিয়েছিল। দুই দিন সাগরে ঘোরানোর পর মঙ্গলবার তাদের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ উপকূলে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে বিজিবি’র একটি দল তাদের উদ্ধার করে। টেকনাফ-২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের কাছ থেকে দালালদের নাম পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’