×

শিক্ষা

শনিবার থেকে চবির ভর্তি পরীক্ষা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০১৮, ০৩:১৮ পিএম

শনিবার থেকে চবির ভর্তি পরীক্ষা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী শনিবার থেকে শুরু হবে। এ লক্ষ্যে বাড়তি নিরাপত্তা, প্রশ্নপত্র ছাপানো এবং যাতায়াতের জন্য অতিরিক্ত ট্রেনসহ ভর্তি পরীক্ষাসংক্রান্ত সব ধরনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় ৪ হাজার ৯২৬টি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ২৪৭টি। ফলে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বে ২৭ শিক্ষার্থী। এ-ইউনিটে আবেদন জমা পড়েছে ৪৪ হাজার ৪৩১টি, বি-ইউনিটে আবেদন জমা পড়েছে ৩১ হাজার ৭৯০টি, তাছাড়া সি ও ডি-ইউনিটে আবেদন জমা পড়েছে যথাক্রমে ১১ হাজার ৪৩৯টি এবং ৪৪ হাজার ৫৬৮টি। দুই উপ-ইউনিট বি১ ও ডি১-ইউনিটে আবেদন জমা পড়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৮৮৪টি এবং ২ হাজার ১৩৫টি। আগামী ২৭ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে ২৭ অক্টোবর বি-ইউনিট বা কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের পরীক্ষা, ২৮ অক্টোবর ডি-ইউনিট বা সম্মিলিত সকল অনুষদের পরীক্ষা, ২৯ অক্টোবর এ-ইউনিট বা বিজ্ঞান অনুষদের পরীক্ষা এবং ৩০ অক্টোবর সি-ইউনিট বা ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া ৩১ অক্টোবর দুটি উপ-ইউনিট বি১ ইউনিট (চারুকলা ইনস্টিটিউট, নাট্যকলা বিভাগ ও সংগীত বিভাগ) ও ডি১ ইউনিটের (শিক্ষা অনুষদের অধীন ফিজিক্যাল এডুকেশন স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগ) পরীক্ষা যথাক্রমে সকাল দশটায় ও দুপুর আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতি বন্ধে ভর্তি পরীক্ষা দুই শিফটে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। গতকাল দুপুরে উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, এ বছর আমরা সম্পূর্ণ নিজেদের প্রেস এবং নিজস্ব ডিভাইসের মাধ্যমে কোনো প্রকার ভুলত্রুটি ছাড়াই ভর্তি আবেদনের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতি ঠেকাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে এবারই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে কোনো কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে পরীক্ষাসংক্রান্ত গোপনীয় কাগজপত্র আনা নেয়ার ক্ষেত্রে ঝুঁকি রয়ে যায়। ভিসি বলেন, আমরা যেহেতু এই ঝুঁকি নিতে চাই না তাই দুই শিফটে পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করেছি। তাছাড়া যদি কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটে তাহলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারব। শুধু তাই নয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি অনেকাংশে লাঘব হবে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে কারো কোনো অভিযোগ থাকলে পর্যাপ্ত প্রমাণসহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে (স্ব স্ব ইউনিট কো-অর্ডিনেটর) এক ঘণ্টা আগে লিখিত ভাবে জানাতে হবে। তাছাড়া পরীক্ষার হলের বাইরের কোনো লেখার সঙ্গে ২০-৩০ শতাংশ মিল পাওয়া গেলে তা প্রশ্নফাঁস হিসেবে গ্রহণ করা হবে না। অবশ্যই প্রশ্নপত্রের সঙ্গে শতভাগ মিল থাকতে হবে। এ ছাড়া কোনো পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্রের ছবির সঙ্গে চেহারা অমিল খুঁজে পেলে বা কোনো কারণে পরীক্ষকের সন্দেহ হলে ‘এন্টি প্রক্সি এপস’-এর মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে থাকা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তথ্য যাচাইবাছই করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, পরীক্ষকদের পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৫ মিনিট আগে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলতে হবে। কোনো পরীক্ষার্থী মেমোরি স্টোরেজ আছে এমন কোনো ক্যালকুলেটর এবং ঘড়ি ব্যবহার করতে পারবে না। এ ছাড়া মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করা যাবে না। পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীদের মুখ এবং কান ঢেকে রাখা যাবে না। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট আগে পরীক্ষার হলের মূল ফটক বন্ধ করে দেয়া হবে। এসময় পরীক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরীক্ষাসংক্রান্ত বিষয়ে যেকোনো ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। অন্যদের মধ্যে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দার চৌধুরী, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ এফ এম আওরঙ্গজেব, জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ বি এম আবু নোমান, আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. হানিফ সিদ্দিকী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদ, ডেপুটি রেজিস্ট্রার (একাডেমিক) এ এম আকবর হোসাইন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App