×

পুরনো খবর

আওয়ামী লীগে বিদ্রোহ, জটিলতায় বিএনপিও

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ০২:২৪ পিএম

আওয়ামী লীগে বিদ্রোহ, জটিলতায় বিএনপিও
আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের বিপক্ষে একট্টা স্থানীয় নেতারা। এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগে দুটি শক্তিশালী পক্ষ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। দলের মনোনয়ন দৌড়ে একজন উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। বিএনপিও খুব একটা স্বস্তিতে নেই। এ দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকাটা বেশ লম্বা। অন্য আসনের মতো এই আসনটিতে স্থায়ী কোনো প্রার্থী দেখা যায় না। প্রায় প্রতিটি নির্বাচনে প্রার্থী পরিবর্তনে নেতাকর্মীরা ভোটের প্রচারণায় পিছিয়ে পড়েন। মাঠে আরো আছেন মহানগর জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. আবু ইউসুফ সেলিম। বর্তমানে জাতীয় পার্টির বাইরে থেকেই এলাকায় নিজস্ব পরিচিতি কাজে লাগিয়ে জনসংযোগ চালাচ্ছেন। কোনো জোটভুক্ত দলের হয়ে নয়তো স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাকে নির্বাচনে দেখা যেতে পারে। সূত্র মতে, ২০০৮ সালের নির্বাচনে রাজশাহী-৪ আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে আসে। এর আগে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে বাগমারা-মোহনপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসন থেকে বিএনপির আবু হেনা সংসদ সদস্য হন। ২০০৪ সালে বাগমারায় জেএমবির উত্থান নিয়ে বক্তব্য এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সংস্কারপন্থি হিসেবে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পান দলের তৎকালীন বাগমারা উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুল গফুর। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের কাছে প্রায় ২৫ হাজার ভোটে পরাজিত হন। উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে বছর বছর সালেহা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হাজার হাজার মানুষকে বিনা খরচে চিকিৎসা দিয়ে, ঈদ-পূজাসহ বিভিন্ন উৎসবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে গরিবদের সহায়তা দিয়ে থাকেন এই শিল্পপতি সংসদ সদস্য। দানশীলতা আর অর্থ প্রভাব তার জনপ্রিয়তা ও শক্তি হিসেবে অনেকেই মনে করেন। তবে দলের হেভিওয়েট জনপ্রিয় নেতারা তার সঙ্গে নেই। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগে দুটি পক্ষ সক্রিয়। এক পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বর্তমান সংসদ সদস্য উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এনামুল হক। অপরপক্ষের নেতৃত্বে আছেন দলের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম সান্টু, তাহেরপুর পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। নিজের এলাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য রয়েছে মেয়র কালামের। পর পর দুবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে মেয়র কালাম জনপ্রিয় ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। তেমনি উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সান্টুও এ আসনের প্রভাবশালী নেতা। জনপ্রিয়তা ও আধিপত্যের কারণে জেএমবির হিটলিস্টে এই উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম ছিল। সান্টু ও কালাম এনামুলের শক্ত প্রতিদ্ব›দ্বী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকাটাও বেশ লম্বা। এ আসনটিতে অন্য আসনের মতো স্থায়ী কোনো প্রার্থী দেখা যায় না। মনোনয়ন দৌড়ে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য রাজশাহী জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল গফুর, জেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু, সহসভাপতি অধ্যাপক মকলেছুর রহমান মণ্ডল, ছাত্রদল জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ ওয়ালিউজ্জামান পরাগ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি সভাপতি ডি এম জিয়াউর রহমান, ভবানীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুর রাজ্জাক প্রামাণিক এবং জিয়া পরিষদের আন্তর্জাতিক বিষয়কসম্পাদক জাহিদ দেওয়ান শামীম।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App