×

পুরনো খবর

আওয়ামী লীগের তৌফিক, বিএনপির ফজলুর রহমান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০১৮, ০৩:১৩ পিএম

আওয়ামী লীগের তৌফিক, বিএনপির ফজলুর রহমান
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা বেড়েছে। তবে এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর চেয়ে বিএনপি প্রার্থীদের তৎপরতা অনেকটাই কম। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ছাড়া আপাতত বিএনপি নির্বাচনে যাচ্ছে না কেন্দ্রীয়ভাবে এমন সিদ্ধান্ত থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফজলুর রহমান এ আসনে দলীয় প্রার্থী হচ্ছেন এমন আলোচনা রয়েছে সর্বত্রই। অপরদিকে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হিসেবে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন রাষ্ট্রপতির জ্যেষ্ঠ সন্তান ও বর্তমান সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। তিনি এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে। ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম এ তিন উপজেলা নিয়ে কিশোরগঞ্জ-৪ আসন গঠিত। আসনটিকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে মনে করা হয়ে থাকে। বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এ আসনটিতে সাতবার নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিএনপি এ আসনটিতে কেবল ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকাকালীন ওই নির্বাচনে বিএনপির নেতা ফরহাদ আহমেদ কাঞ্চন নির্বাচিত হন। এরপর থেকে আর বিএনপি এ আসনে জয়ী হতে পারেনি। জাতীয় পার্টির আমলে ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে জাপা প্রার্থী আ. লতিফ ভ‚ঁইয়া জয়ী হয়েছিলেন। আর সবকটি নির্বাচনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আবদুল হামিদ এডভোকেট জয়ী হন। এ আসনে বিএনপি অনেকটাই দুর্বল অবস্থানে আছে বলে জানা গেছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ আসনে বিএনপি থেকে বেশ কয়েকজন প্রার্থীর নাম আলোচনায় রয়েছে। এদের মধ্যে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এডভোকেট ফজলুর রহমান। তিনি একসময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে ফজলুর রহমান আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ফজলুর রহমান ১৯৯৬ সালে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আবদুল হামিদের সঙ্গে নির্বাচন করে পরাজিত হন। এরপর তিনি ২০০১ ও ২০০৮ সালে কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেও পরাজিত হন। এরপর তিনি বিএনপিতে যোগ দিয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আগামী নির্বাচনে ফজলুর রহমান বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন এটা প্রায় নিশ্চিত বলে জানা গেছে। এদিকে অবহেলিত হাওরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়ন করে এলাকায় বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। হাওরের ভেতর দিয়ে সাবমার্জেবল রোড ও অলওয়েদার রোড করে আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য। ইতোমধ্যেই রাষ্ট্রপতির জ্যেষ্ঠ পুত্র বর্তমান সাংসদ তার কর্ম দিয়ে এলাকাবাসীর কাছে সহজ-সরল মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তুলেছেন। তিনি ঘন ঘন এলাকায় এসে হাওরবাসীর আপদ-বিপদে থাকছেন। গরিব রোগীদের চিকিৎসাসেবা এবং দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে থাকেন। এবারো তাকে প্রার্থী করার ক্ষেত্রে ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলার আওয়ামী লীগে কোনো বিরোধ নেই। অপরদিকে এর বিপরীত চিত্র রয়েছে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী এডভোকেট ফজলুর রহমানকে নিয়ে। অভিযোগ উঠেছে, এডভোকেট ফজলুর রহমান এলাকায় একেবারেই আসছেন না। এতে ফজলুর রহমানের ওপর হাওরবাসী অনেকটাই ক্ষিপ্ত বলে জানা গেছে। তা ছাড়া বিএনপিতেও রয়েছে বিভাজন। সব দিকের হিসাবে এ আসনে বর্তমান এমপি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন বলে জানা গেছে। এ আসনে ভোটার রয়েছেন ৩ লাখ ১৯ হাজার ৯০৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৬২ হাজার ৫১ জন ও নারী ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৬৮ জন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App