×

জাতীয়

রূপগঞ্জে শতবছরের পুরনো খাল দখল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০১৮, ০৩:৪১ পিএম

রূপগঞ্জে শতবছরের পুরনো খাল দখল
রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর পিতলগঞ্জ মৌজার শতবর্ষী ঋষিপাড়া-মধুখালী খাল নামে পরিচিত পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথটি বালি ফেলে ভরাট করায় মরা খালে পরিণত হয়েছে। এতে মধুখালী, গুতিয়াব, পিতলগঞ্জসহ ৫ গ্রামের লোকজনের বসতঘর, ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, এক সময়ের ব্যস্ততম নৌপথ শীতলক্ষ্যা থেকে পিতলগঞ্জের ঋষিপাড়া হয়ে মধুখালী, গুতিয়াবো, কেয়ারিয়া, বাড়িয়া ছনি হয়ে বালু নদী পর্যন্ত স্থানীয় বিলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পানি প্রবাহের পথ শতবর্ষী ঋষিপাড়া মধুখালী খালটি এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। বিগত ৭ বছর ধরে ৫ গ্রামের লোকজনের নিচু জমির বসতঘর, ফসলি জমির ওপর জোরপূর্বক বিভিন্ন আবাসন কোম্পানি বালি ফেলে ভরাট করে দখল করে। এ ছাড়া পিতলগঞ্জ, গুতিয়াবো, কেয়ারিয়া মৌজা দিয়ে প্রবাহিত শতবর্ষী ঋষিপাড়া মধুখালী খালটিও ভরাট করায় মরা খালে পরিণত হয়েছে। এ বালি ভরাটের দখলে বাদ যায়নি পূর্বাচল উপশহরের ৩নং সেক্টর এলাকার ঠিকাদারও। তারা তাদের জমি উন্নয়নের সময় এ খালেই বালি ফেলে ভরাট করে। এতে মধুখালীর বাসিন্দা আলী আহমেদ গংদের ১১ বিঘা, গুতিয়াবোর আশকার আলীর ৪ বিঘা, মধুখালীর, সাক্তদ আলীর ছেলে হযরত আলী ও আনিছ আলীর বসতঘরসহ ৫ বিঘা, দীল মোহাম্মদসহ স্থানীয় ৪০টি পরিবারের বসতঘরে পানি আটকে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এসব পরিবারের লোকজন কাঠ ও বাঁশের সাঁকো দিয়ে বসতঘরে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে। একই এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। স্থানীয় শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান সাগর বলেন, ৭ বছর ধরে খালটি বালি ফেলে ভরাট করায় পানি আটকে বাড়ি ঘর অল্প বৃষ্টিতেই পানিতে তলিয়ে যায়। এ পানি দীর্ঘদিন আটকে থাকায় মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই ডেঙ্গুসহ নানা রোগবালাই বাড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দা লুৎফর রহমান বলেন, খালটি বালি ফেলে ভরাট করায় আমরা মধুখালী ও গুতিয়াবো এলাকার শত শত বাসিন্দা পানিতে আটকে কষ্টে জীবনযাপন করছি। তাই প্রশাসনের কাছে জোর দাবি শতবছরের পুরনো এ খালটি উদ্ধার করে স্থানীয় কৃষক ও জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘব করার। একই এলাকার বাসিন্দা জিন্নত আলী বলেন, খালটি বালি ফেলে দখলে অংশ নিয়েছে রাজউকের পূর্বাচল শাখার ঠিকাদাররাও। তারা তাদের শহর উন্নয়নের কাজ করতে যেয়ে মাটি ভরাট করলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের কথা চিন্তা করেনি। ফলে শহরের পানি গড়িয়ে এ খাল দিয়ে প্রবাহিত না হতে পেরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে রূপগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু হোসেন ভুঁইয়া রানু বলেন, খালটি উদ্ধারের জন্য একাধিকবার প্রশাসনকে নিয়ে দখলদারদের সতর্ক করা হয়েছে। তবে দুঃখজনকভাবে খালটির কয়েক স্থানেই পানি প্রবাহ বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) আসাদুজ্জামান বলেন, ঋষিপাড়া মধুখালী খালটি উদ্ধারের প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রæত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App