আগামী সংসদ নির্বাচন ভোটারবিহীন করতে সরকার বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর অংশ হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। রোববার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেন তিনি। চট্টগ্রামে আইসিটি আইনে এক ছাত্রলীগ নেতার করা মামলায় রোববার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। শুনানি শেষে চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধা এ আদেশ দেন। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় নওমী নামে একজনের সঙ্গে আমির খসরুর কথিত ফোনালাপ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর গত ৪ আগস্ট কোতোয়ালি থানায় এ মামলা করেন। আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, 'দেশে এখন চলছে সরকারি প্রতিহিংসার প্রবল প্রতাপ। এই প্রতিহিংসার ছোঁবলে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল, ভিন্নমত ও বিশ্বাসের মানুষদের ক্ষত-বিক্ষত করছে। আজ তারই একটি বহিঃপ্রকাশ ঘটল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটকের মধ্য দিয়ে।’ তিনি বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনকে ভোটারশূন্য করার জন্য সরকার নানা ফন্দি এঁটে চলছে। এজন্য দেশব্যাপী চলছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলার হিড়িক ও নির্বিচারে গ্রেপ্তারের মহাতৎপরতা। ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচন করার জন্যই বর্তমান গণবিচ্ছিন্ন শাসকগোষ্ঠি জনমতকে তোয়াক্কা করছে না। অনাচারের ওপর নির্ভর করেই সরকার টিকে থাকতে চাচ্ছে। কিন্তু তাতে সরকারের শেষরক্ষা হবে না।' তিনি বলেন, ‘মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। সরকারের সকল অপকর্মের জবাব দিতেই জনগণ পথে-পথে ব্যারিকেড তৈরি করবে। বিএনপিসহ দেশবাসীকে ভয় দেখানোর অপকৌশল হিসেবেই আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে কারাগারে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারের সেই আশা পূর্ণ হবে না। কোনো কারাগারই বিএনপির নেতাকর্মীদের আটকে রাখতে পারবে না। অবৈধ ক্ষমতাকে পাকা-পোক্ত করার সরকারের প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।' মির্জা ফখরুল অবিলম্বে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তার নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান।