×

জাতীয়

পায়রা নদীতে থামছে না ইলিশ শিকার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০১৮, ০৩:৫৫ পিএম

পায়রা নদীতে থামছে না ইলিশ শিকার
বরগুনার পায়রা নদীতে থামছে না ইলিশ শিকার। প্রতিদিন জেলেরা টহলরত মৎস্য অফিসের লোকজনদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ইলিশ শিকার করছে। কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে না এমন অভিযোগ সচেতন জেলেদের। জানা গেছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণ অভিযান শুরু হয়। এ অভিযান আগামী ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। মৎস্য অফিস কর্তৃপক্ষের তৎপরতা উপেক্ষা করে পায়রা নদীতে জেলেরা ইলিশ শিকার করছেন। রাতে পায়রা নদীতে জোয়ার আসার সঙ্গে সঙ্গে জেলেরা কারেন্ট জাল ফেলে বসে থাকেন। ঘণ্টাখানেক অপেক্ষার পরে জাল তুলে লুকিয়ে ফেলেন। এতে প্রতিদিন পায়রা নদীতে অনেক মা ইলিশ ধরা পড়ছে। গোপনে জেলেরা ওই মাছ বাজারের পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দেন। মৎস্য কর্তৃপক্ষকে নদীতে মাছ শিকারের বিষয়টি জানানো হলে তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না এমন অভিযোগ সচেতন জেলেদের। এদিকে বুধবার রাতে আমতলী মৎস্য অফিস কর্তৃপক্ষ অভিযান চালিয়ে পায়রা নদীর গুলিশাখালী থেকে মামুন ফকির ও ইয়ামিন ফকির নামের দুই জেলেকে ২ হাজার কারেন্ট জাল ও দুই কেজি ইলিশসহ আটক করে। ওই দুই জেলেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রত্যেককে তিন হাজার টাকা অর্থ দণ্ড করে ছেড়ে দেয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পায়রা নদীর সাগর মোহনা, চরপাড়া, গাবতলী, মৌপাড়া, ছোটবগী, পচাঁকোড়ালিয়া, বালিয়াতলী ও গুলিশাখালীতে জেলেরা কারেন্টজাল পেতে মাছ শিকার করছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিন শিকারকৃত ইলিশ জেলেরা পরিচিতজন ও পাইকারি বিক্রেতার কাছে গোপনে বিক্রি করে দেন। পাইকারি বিক্রেতারা আমতলী, তালতলীসহ বিভিন্ন বাজারে গোপনে বিক্রি করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রেতা বলেন, আমতলী মাছ বাজারে এক পাইকারি বিক্রেতার কাছ থেকে দুটি ইলিশ ক্রয় করেছি। পরে ওই পাইকারি বিক্রেতার কাছে জানতে পারলাম জেলেদের কাছ থেকে মাছ ক্রয় করে মজুত করে রাখছেন। আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, নদীতে যেন জেলেরা মাছ শিকার করতে না পারে সে অভিযান অব্যাহত আছে। তিনি আরো বলেন, কেউ নদীতে মাছ শিকার করতে গেলে তাকে ধরে আইনের আওতায় এসে কঠোর শান্তির ব্যবস্থা করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App