×

মুক্তচিন্তা

জন্মের প্রথম শুভক্ষণ

Icon

কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০১৮, ০৭:১৬ পিএম

মন্ত্রী হিসেবে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সম্মেলনে যোগদান করে বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পণ্য উন্নত দেশগুলোতে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারের অঙ্গীকার আদায় করেন। এ সময় তিনি স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মুখপাত্র নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা তার দীর্ঘজীবন কামনা করছি।

ঊনসত্তরের গণআন্দোলনের মহানায়ক, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশ লিবারেশন ফ্রন্ট সংক্ষেপে বিএলএফ তথা মুজিব বাহিনীর অন্যতম অধিনায়ক, স্বৈরশাসনবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অকুতোভয় সংগঠক, সর্বোপরি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য কিংবদন্তি রাজনীতিক সংগ্রামী জননেতা তোফায়েল আহমেদের আজ ৭৬তম শুভ জন্মদিন। পিতা আজহার আলী ও মাতা ফাতেমা খানমের কোল আলো করে ১৯৪৩ সালের ২২ অক্টোবর দ্বীপজেলা ভোলার কোড়ালিয়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পাকিস্তান শাসনামলের দ্বিতীয় বছর তথা ১৯৪৯-এ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার বছরে তোফায়েল আহমেদের বিদ্যালয় জীবনের সূচনা। নিজ বাড়ির সন্নিকটে গ্রামের একটি স্কুল কোড়ালিয়া ফ্রি প্রাইমারি স্কুলে তার লেখাপড়ায় হাতেখড়ি। এরপর খায়েরহাট জুনিয়র হাই স্কুল থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে বোরহানউদ্দীন হাই স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন। প্রাইমারি এবং জুনিয়র স্কুলের পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে ভালো নম্বর পেয়ে তিনি প্রথম স্থান অধিকার করে মেধার স্বাক্ষর রাখেন। ১৯৫৭-এর জানুয়ারি মাসে ভোলা সরকারি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৬০-এ ম্যাট্রিক পাস করে ঢাকা কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু মায়ের কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে এটা ছিল তার জন্য বেদনাদায়ক। সে জন্য ঢাকা কলেজ ছেড়ে বরিশাল ব্রজমোহন কলেজে ভর্তি হন। ব্রজমোহন কলেজ থেকে সাপ্তাহিক ছুটিতে লঞ্চযোগে ভোলায় মায়ের কাছে একদিন থেকে ফিরে আসতেন। তার মাতৃভক্তি অনন্য এবং অনুসরণীয়!

কলেজে পড়াকালে ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে তার রাজনৈতিক জীবনের অভিযাত্রার শুরু। তারপর ধাপে ধাপে অগ্রসর হয়ে ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভ, ক্লাস ক্যাপ্টেন, স্কুল ক্যাপ্টেন, পরে যথাক্রমে ছাত্রলীগের অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি, অ্যাডমিন সেক্রেটারি, ব্রজমোহন কলেজের ক্রীড়া সম্পাদক হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর ইকবাল হলের (বর্তমানে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ক্রীড়া সম্পাদক, পরে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন, তারপর হলের নির্বাচিত সহসভাপতি, সোয়্যাল সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের ভিপি, ডাকসুর ভিপি, ১৯৬৯-এর গণআন্দোলনে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র এবং ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন এবং ১৯৬৬-এর ৬ দফা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬৭ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত ডাকসুর ভিপি থাকাকালে চারটি ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে বঙ্গবন্ধু মুজিব প্রদত্ত ৬ দফা হুবহু ১১ দফায় অন্তর্ভুক্ত করে ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন। উল্লেখ্য, ১৯৬৬-এর ৮ মে থেকে ১৯৬৯-এর ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় ৩৩ মাস কারাগারে আটক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’র সব রাজবন্দিকে নিঃশর্ত মুক্তিদানে তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ সারা বাংলায় তৃণমূল পর্যন্ত তুমুল গণআন্দোলন গড়ে তোলেন এবং ১৯৬৯-এর ২২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু মুজিবসহ সব রাজবন্দিকে মুক্তিদানে স্বৈরশাসককে বাধ্য করেন। পরদিন ২৩ ফেব্রুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে ১০ লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতিতে মুক্তমানব শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেন। আর ১৯৬৯-এর ২৫ মার্চের মধ্যে তথাকথিত প্রবল পরাক্রমশালী লৌহমানব স্বৈরশাসক আইয়ুব খানকে পদত্যাগে বাধ্য করে গৌরবের যে ইতিহাস সৃষ্টি করেন তা ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের ড্রেস রিহার্সেল। ১৯৬৯-এর গণআন্দোলনে অর্জিত হয় বাংলার মানুষের রাজনৈতিক অধিকার তথা ভোটাধিকার। এরপর ১৯৭০-এর ৭ জুন আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ১৯৭০-এর ঐতিহাসিক নির্বাচনে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে ভোলা-দৌলতখাঁ-তজুমুদ্দী-মনপুরা আসন থেকে বঙ্গবন্ধু তাকে ২৬ বছর বয়সে মনোনয়ন দেন। ১৯৭০-এর ১২ নভেম্বর প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসে দেশের উপকূলীয় এলাকায় ১০ লক্ষাধিক লোক মৃত্যুবরণ করে। এর মধ্যে ভোলায় তার নির্বাচনী এলাকা ছিল সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসের কারণে উপকূলীয় এলাকার কয়েকটি আসনের নির্বাচন পিছিয়ে ১৯৭১-এর ১৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় এবং ওই আসন থেকে মাত্র ২৭ বছর বয়সে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১-এর ৩ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শপথ অনুষ্ঠানে তিনি শপথগ্রহণ করেন। ক্ষমতা হস্তান্তর প্রশ্নে পাকিস্তান সামরিক শাসক গোষ্ঠীর টালবাহানার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭১-এর ১৮ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্বীয় বাসভবনে ৪ যুবনেতাকে শেখ ফজলুল হক মনি, সিরাজুল আলম খান, আবদুর রাজ্জাক ও তোফায়েল আহমেদ- আসন্ন মুক্তিযুদ্ধের দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এরপর ১৯৭১-এর মার্চের ১ তারিখ পূর্বাহ্নে আহূত জাতীয় পরিষদ অধিবেশন একতরফাভাবে স্থগিত ঘোষণায় সারা দেশ প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে। শুরু হয় সর্বব্যাপী অসহযোগ আন্দোলন। দেশব্যাপী অসহযোগ আন্দোলন সংগঠিত করতে তিনি উদয়াস্ত পরিশ্রম করেন। পাকিস্তান সামরিক কর্তৃপক্ষ আলোচনার নামে কালক্ষেপণ করে ২৫ মার্চ রাত ১২টায় ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে বাঙালি নিধনে গণহত্যা শুরু করলে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদান করেন। শুরু হয় সর্বব্যাপী মুক্তিযুদ্ধ। মহান মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত করতে জাতির পিতার পূর্বনির্দেশনা অনুযায়ী তিনি শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সীমান্ত অতিক্রম করে প্রতিবেশী দেশ ভারতে আশ্রয় নেন এবং ১০ এপ্রিল মুজিবনগরে ‘বাংলাদেশ গণপরিষদ’ গঠন, ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র’ প্রণয়ন ও অনুমোদন এবং ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ রাষ্ট্র সৃষ্টিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। এরপর ১৭ এপ্রিল সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের পরমাকাক্সিক্ষত বিজয় অর্জনে বদ্ধপরিকর তোফায়েল আহমেদ ছিলেন ‘মুজিব বাহিনী’র অঞ্চলভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত চার প্রধানের একজন। বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া ও পাবনা সমন্বয়ে গঠিত মুজিব বাহিনীর পশ্চিমাঞ্চলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর ৩০ লক্ষাধিক প্রাণ আর ৪ লক্ষাধিক মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীন ও সার্বভৌম প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের বিজয় অর্জিত হলে ১৮ ডিসেম্বর তিনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। একই বছরের ২২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকারের শীর্ষ নেতারা দেশে ফিরে এলে বিমানবন্দরে তাদের বীরোচিত সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে মহত্তর বিজয় অর্জিত হলেও সে বিজয় পূর্ণাঙ্গতা পায়নি। কারণ তখনো পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি। বঙ্গবন্ধুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মানুষ সোচ্চার হলে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে মুক্তিদানে বাধ্য হয়। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং ১৪ জানুয়ারি প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় তোফায়েল আহমেদকে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব নিয়োগ করেন। ১৯৭২-এর ১০ এপ্রিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ গণপরিষদের অধিবেশন আরম্ভ হয়। গণপরিষদ সদস্য হিসেবে সংবিধান প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ৪ নভেম্বর গণপরিষদ কর্তৃক সর্বসম্মতিতে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান’ গৃহীত হয় এবং ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর গণপরিষদের ৩৯৯ জন সদস্যের সঙ্গে তিনি ‘শহীদের রক্তে লেখা’ সংবিধানে স্বাক্ষর করেন। এরপর ১৯৭৩-এর ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলা থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণ, অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জনে বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সহচর হিসেবে তিনি নিরলস পরিশ্রম করেন।

১৯৭৫-এর ২৫ জানুয়ারি দেশে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার প্রতিষ্ঠার পর প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় তিনি রাষ্ট্রপতির বিশেষ সহকারী নিযুক্ত হন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সফরে সঙ্গী হন। ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়ন, অটোয়াতে কমনওয়েলথ সম্মেলন, লাহোরে ওআইসি সম্মেলন, আলজেরিয়ায় জোটনিরপেক্ষ সম্মেলন, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন এবং জ্যামাইকায় কমনওয়েলথ সম্মেলনে যোগদান এবং যুগোস্লাভিয়া ও ইরাক সফর করেন। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির জনকের নির্মম হত্যাকা-ের পরপরই তাকে প্রথমে গৃহবন্দি ও পরে পুলিশ কন্ট্রোল রুম এবং রেডিও অফিসে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৭৮-এ কুষ্টিয়া কারাগারে অন্তরীণ থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। দীর্ঘদিন সাফল্যের সঙ্গে এই পদ অলঙ্কৃত করে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করে সামরিক শাসনবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তোলেন। ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৮ এবং ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে পরপর তিনি এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৯১ এবং ১৯৯৬-এর নির্বাচনে ভোলা-১ ও ভোলা-২ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিন জোটের রূপরেখার ভিত্তিতে ১৯৯১-এর জাতীয় সংসদে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। একই বছর আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য নির্বাচিত হন। পবিত্র সংবিধান থেকে কলঙ্কিত ‘ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স’ অপসারণ, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার এবং মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে তার ভূমিকা অগ্রগণ্য। ১৯৯৬-এ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের গণরায়ে দীর্ঘ ২১ বছর পর মহান জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের নেতৃত্ব প্রদানকারী দল আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব লাভ করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্যের সরকারে তিনি শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। অর্পিত দায়িত্ব সাফল্যের সঙ্গে যথাযথভাবে পালন করে দেশ-বিদেশে রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেন। মন্ত্রী হিসেবে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সম্মেলনে যোগদান করে বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পণ্য উন্নত দেশগুলোতে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারের অঙ্গীকার আদায় করেন। এ সময় তিনি স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মুখপাত্র নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা তার দীর্ঘজীবন কামনা করছি।

আবুল খায়ের : কলাম লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App