×

জাতীয়

মানবতাবিরোধী মামলায়,আপিল শুনানি শিগগিরই

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০১৮, ১১:৪২ এএম

মানবতাবিরোধী মামলায়,আপিল শুনানি শিগগিরই
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আপিল শুনানির উদ্যোগ নেই দীর্ঘদিন। সর্বশেষ জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর গত দুই বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে আর কোনো যুদ্ধাপরাধীর আপিল শুনানি হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে দীর্ঘদিন বিচারক সংকটে থেমে ছিল যুদ্ধাপরাধ মামলার আপিল নিষ্পত্তি। সম্প্রতি আপিল বিভাগে বিচারক নিয়োগের পর এসব মামলার জট খুলবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত বছর ১০ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত তিন যুদ্ধাপরাধী মাওলানা আবদুস সুবহান, এ টি এম আজহারুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মুহম্মদ কায়সারের আপিলের শুনানির জন্য ২১ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। সরকার এবং আসামিপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ?হাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এই তিন মামলার আপিল শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। এরপর আর শুনানি হয়নি। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, সম্প্রতি আপিল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগের ফলে যুদ্ধাপরাধীদের মামলা দ্রুত শুনানির জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্যোগ নিতে শিগগিরই অনুরোধ জানানো হবে। অপরদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারক সংকটের কারণে দীর্ঘদিন যুদ্ধাপরাধের আপিল শুনানি থেমে ছিল। তবে বিচারক নিয়োগের ফলে এই মামলাগুলি নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেয়া হবে। আশা করছি, যুদ্ধাপরাধ মামলার আপিল শুনানি দ্রুত শুরু হবে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট স ম রেজাউল করিম বলেন, ন্যায় বিচারের স্বার্থে এ আপিল মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া দরকার। এগুলো নিষ্পত্তি না হওয়ায় মানুষের মনে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হতে পারে। ভুক্তভোগী মানুষ শুধু বিচার চায় না, শাস্তি নিশ্চিতকরণ চায়। ২০১৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে আপিল বিভাগে যুদ্ধাপরাধের মামলার শুনানি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রসিকিউটর রানা দাস গুপ্ত। তিনি বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যে কাজগুলো করেছি, তা এখন অর্থহীন হয়ে পড়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বর্তমানে পর্যায়ক্রমে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে- জাতীয় পার্টি আমলের প্রতিমন্ত্রী হবিগঞ্জের রাজাকার সৈয়দ মুহম্মদ কায়সার, জামায়াত নেতা রংপুরের এ টি এম আজহারুল ইসলাম, পাবনার আবদুস সুবহান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা মোবারক হোসেন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের আফসার হোসেন ও মাহিদুর রহমান চুটু, পটুয়াখালীর রাজাকার ফোরকান মল্লিক, বাগেরহাটের সিরাজুল হক ও খান আকরাম হোসেন, নেত্রকোনার আতাউর রহমান ননী ও ওবায়দুল হক খান তাহের, কিশোরগঞ্জের এডভোকেট শামসুদ্দিন আহমেদ, জামালপুরের ৫ রাজাকার এবং যশোরের সাবেক এমপি জামায়াত নেতা সাখাওয়াত হোসেন, কিশোরগঞ্জের মোসলেম প্রধান, গাইবান্ধার আবদুল লতিফ প্রমুখের আপিল। অন্যদিকে ট্রাইব্যুনালের দেয়া আমৃত্যু দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পিরোজপুরের সাবেক এমপি পলাতক জব্বার ইঞ্জিনিয়ারের সাজা বৃদ্ধি (মৃত্যুদণ্ড) চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।  আপিল বিভাগের চ‚ড়ান্ত রায়ের পর মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী পাঁচ জামায়াত নেতা- আবদুল কাদের মোল্লা, মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মতিউর রহমান নিজামী ও মীর কাসেম আলী এবং বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। আপিল বিভাগ যুদ্ধাপরাধী মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাবাস দিয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App