×

মুক্তচিন্তা

ডিজিটাল অপরাধ ও তার প্রতিকার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:২৯ পিএম

ডিজিটাল অপরাধ ও তার প্রতিকার
ডিজিটাল অপরাধ ও তার প্রতিকার
ডিজিটাল অপরাধ ও তার প্রতিকার

আমরা যেসব উপাদান দিয়ে সংস্কৃতির রূপান্তরকে বিবেচনা করে থাকি তার সবই এখন ইন্টারনেটকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। আমরা যদি আরো কয়েক বছর পরের কথা বিবেচনা করি তবে যেসব সাংস্কৃতিক মাধ্যমগুলো এখনো আলাদা আছে যেমন- সিডি-ডিভিডি, বই, রেডিও, টিভি; সেগুলোর চাইতে বেশি প্রভাবশালী হয়ে উঠবে ইন্টারনেট। অন্য অর্থে বলা যায় যে, এসব মাধ্যম টিকে থাকলেও তার ভিত্তি হিসেবে ইন্টারনেটই থাকবে। আমি এই কারণেই মনে করি ভবিষ্যতে সংস্কৃতির মানদণ্ড বিবেচনা করার সময় প্রথমে ইন্টারনেটকেই ভাবতে হবে।

চার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিপুলভাবে আলোচিত হওয়ার ফলে গত ১৫ অক্টোবর এটি সরকারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে পুনরায় আলোচিত হয়। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনক্রমে আলোচনার সূত্রপাত করেন। তিনি আইনটি প্রণয়নের প্রেক্ষিত, সম্পাদক পরিষদ, বিএফইউজে এবং ডিইউজের সঙ্গে আলোচনা এবং তাদের পরামর্শ অনুসারে আইনে আনা সংশোধনীগুলোর কথাও উল্লেখ করেন। আইনমন্ত্রীর আলোচনার পর তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং আমি আলোচনা করি।

আমার বক্তব্যটির সারসংক্ষেপ হলো সাংবাদিকদের পরামর্শে আমরা এটিকে একটি দুর্বল আইনে পরিণত করেছি। প্রধানমন্ত্রী সার সিদ্ধান্তে স্পষ্ট জানিয়ে যেন যে এই আইন ডিজিটাল নিরাত্তার জন্য কারো বাক বা ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ করার জন্য নয়। তিনি স্পষ্ট করে বলে দেন যে আইনটি পাস হওয়ার পর এর কোনো সংশোধন সম্ভব নয়। একই দিনে সম্পাদক পরিষদ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আইনটির নয়টি ধারা সংশোধনের জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করে। আইনের যেসব ধারা নিয়ে সম্পাদক পরিষদের আপত্তি আছে তা নিয়ে আমি আলোচনা করব।

তবে তার আগে আমাদের বুঝতে হবে যে ডিজিটাল দুনিয়া এবং তার অপরাধ বা তার প্রতিকার কি? ফেসবুকের একটি খবরও নজরে পড়ার কথা। ২০ হাজার লোকের একটি বাহিনী নিয়ে ফেসবুক নিজেই গুজব ও মিথ্যা খবরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।

মোবাইল ও ইন্টারনেটের প্রভাব ও জীবনধারা : আমাদের আজকের আলোচনা মোবাইল প্রযুক্তি ও তার প্রভাব নিয়ে। খুব সঙ্গত কারণেই মোবাইলের ব্যবহারের সঙ্গে আমাদের সংস্কৃতির মান যুক্ত আছে। আরো একটি বিষয় উপলব্ধি করা জরুরি। আমরা ব্যাপকহারে ইন্টারনেট ব্যবহার করার আগে মোবাইল ব্যবহার করা শুরু করেছি।

এমনকি কম্পিউটারের অনুপ্রবেশের চাইতেও বহুগুণ বেশি হয়েছে মোবাইল বা ইন্টারনেটের অনুপ্রবেশ। যদিও ১৯৬৪ সালে আমাদের দেশে কম্পিউটার এসেছে এবং ১৯৮৭ সালে কম্পিউটারে বাংলা প্রয়োগ, ডিটিপি বিপ্লব ও মেকিন্টোসের ইন্টারফেসের বদৌলতে আমাদের কম্পিউটার ব্যবহারের মাত্রা গতি পেয়েছে, তথাপি মোবাইলই হলো প্রথম ডিজিটাল প্রযুক্তি যেটি আমাদের প্রত্যেকের দৈনন্দিন জীবনে প্রবেশ করেছে। সমাজের সব স্তরে এভাবে আর কোনো ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রবেশ করেনি। আমরা রেডিও-টিভির কথা ধরতে পারি। সেসব প্রযুক্তি অনেক আগেই এসেছে।

কিন্তু যেভাবে মোবাইল এসেছে সেভাবে আর কোনোটা আসেনি। রেডিও-টিভি ছিল একপক্ষীয় কর্মকাণ্ড। এসব থেকে আমরা তথ্য পেতাম। কিন্তু মোবাইল হলো দ্বিপক্ষীয়, ইন্টারএ্যাকটিভ ও যোগাযোগ মাধ্যম। ফলে এটি কেবলমাত্র ফোনের প্রযুক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এটি ডাটা ও এসএমএসের সহায়তায় ডাটা আদান-প্রদানে আমাদের যুক্ত করেছে।

এতে সাউন্ড ও ভিডিও যুক্ত হয়েছে এবং ইন্টারনেটের সহায়তায় ডিজিটাল সভ্যতা বা জ্ঞানভিত্তিক সভ্যতার মাঝে নিয়ে গেছে। আমি নিজে বিশ্বাস করি, মোবাইলের মতো একটি যন্ত্র যাতে ইন্টারনেট ও কথা বলার সুযোগ থাকছে সেটিই হবে আগামী দিনে প্রত্যেকের ডিজিটাল যন্ত্র। যাহোক ইন্টারনেটই যে সব প্রযুক্তির কেন্দ্র হবে সেটি নিয়ে কারো কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয়।

ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে মোবাইলের বদৌলতে টেলিঘনত্বের মাপকাঠিতে অনেক ওপরে আছি আমরা। আমাদের মোবাইলের ব্যবহারও অবিশ্বাস্য গতিতে বেড়েছে। কোনো সন্দেহ নেই যে, উভয়ক্ষেত্রেই আমাদের অল্প বয়সের মানুষেরা এতে বেশি করে যুক্ত হচ্ছেন। মোবাইল ও ইন্টারনেট নামক ডিজিটাল যুগের দুটি যোগাযোগ মাধ্যমের প্রসারের ফলে দেশের সার্বিক অগ্রগতি হবে এটি অর্থনীতিবিদদের সাধারণ বক্তব্য। কোনো দেশে শতকরা ১০ ভাগ যোগাযোগ প্রবৃদ্ধি জাতীয় আয়ের ক্ষেত্রে অন্তত শতকরা ১ ভাগ প্রভাব ফেলে সেটি প্রায় সব মতের অর্থনীতিবিদরাই মনে করেন।

সেই ধারণা থেকে আমাদের জাতীয় আয়েও মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমাণ বাড়াটা সুখের বিষয়। স্বাভাবিকভাবে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যদি সাত ভাগ হয় তবে আইসিটির জন্য সেটি ৮ ভাগেরও বেশি হওয়া উচিত।

সার্বিকভাবে ইন্টারনেটের প্রভাব এখন আর আগের মতো ই-মেইল, ফেসবুক, টুইটার বা গুগল সার্চের মাঝেই সীমিত নয়। বিশেষ করে থ্রিজি বা ৪জি প্রযুক্তির বদৌলতে ইন্টারনেট একটি ডিজিটাল জীবনধারা গড়ে তুলছে। আমি এক কথায় বলব মানবসভ্যতা এর আগে আর কখনো এমন গভীর প্রভাব বিস্তারকারী প্রযুক্তির মুখোমুখি হয়নি।

আমি নিজে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে ২১ সাল নাগাদ ৫জি প্রযুক্তির আগমনের পর প্রচলিত দুনিয়া মোটেই বিদ্যমান দুনিয়া থাকবে না।

মোবাইল ও ইন্টারনেট জীবনধারায় কি প্রভাব ফেলবে সেই আলোচনা করতে হলে প্রথমেই বুঝতে হবে এসব প্রযুক্তি মানুষের জীবন যাপনে কি পরিবর্তন এনেছে। উনিশ শতকের আশির দশকের মাঝামাঝিতে আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলের টেলিফোন এবং ১৯৬৯ সালে পরস্পরের তথ্য বিনিময়ের নেটওয়ার্ক কালক্রমে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব হয়ে এখন যখন মোবাইল ও ইন্টারনেটের সভ্যতা তৈরি করেছে তখন বস্তুত এটি জীবনের প্রায় সব অলিন্দ্যে প্রবেশ করে বসে আছে। মোবাইলতো বটেই ইন্টারনেট এখন জীবনের সব যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, ভাব বিনিময়, তথ্য-উপাত্ত বিনিময় ও সামাজিক-ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যম। এটি এখন কেবল কথা বা লেখা বিনিময় করে না, সাউন্ড, ভিডিওর পাশাপাশি একটি চমৎকার ইন্টারএ্যাকটিভ মাধ্যম হিসেবে এই প্রযুক্তি গড়ে উঠেছে। থ্রিজি প্রযুক্তির মোবাইল থেকেই আমরা বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ স্যাটেলাইট টিভিগুলো মোবাইল ফোনে দেখব। ইন্টারনেট মাধ্যমটি এখন টিভি দেখার, ভিডিও দেখার, গান শোনার, সিনেমা দেখার এবং লেখাপড়া করার শ্রেষ্ঠতম মাধ্যম। এই মাধ্যমটি এখন ব্যবসা-বাণিজ্যের বা শিল্প কলকারখানার কেন্দ্রবিন্দু।

এমনকি ইন্টারনেট এখন রাজনীতির সবচেয়ে বড় মাধ্যম। রাজনীতিবিদ-মন্ত্রী, সাংসদরা এখন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তার মনের ভাব প্রকাশ করছেন। রাজনীতিবিদদের হেনস্থা করা, অপপ্রচার করা, গুজব রটানো এবং প্রচারের মাধ্যমও এখন মোবাইলের কল্যাণে হয়ে থাকে। গণজাগরণ মঞ্চের জন্ম, বিস্তার ও বিকাশ এবং হেফাজতে ইসলামসহ নানা প্রান্তের মানুষের ডিজিটাল অপরাধ এতটাই প্রসারিত যে এটি এখন মূলত আতঙ্কের বিষয়।

সংস্কৃতি যদি জীবনবোধ, জীবনধারা, জীবনাচার, সমাজ, সভ্যতা; আনন্দ-বিনোদন থেকে শিক্ষা-সাহিত্য, ব্যবসা ইত্যাদির সব কিছুকে বোঝায় তবে অন্য সব মাধ্যম হলো আংশিক বাহক, কেবলমাত্র ইন্টারনেটই এখন সংস্কৃতির সবটাকে ধারণ করে।

খুব সহজেই যে কেউ এটি অত্যন্ত স্পষ্টভাবে ধারণা করতে পারেন যে, সংস্কৃতির পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী হিসেবে ইন্টারনেটনির্ভর। আমাদের এটি বোঝা উচিত যে, আমরা যেসব উপাদান দিয়ে সংস্কৃতির রূপান্তরকে বিবেচনা করে থাকি তার সবই এখন ইন্টারনেটকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। আমরা যদি আরো কয়েক বছর পরের কথা বিবেচনা করি তবে যেসব সাংস্কৃতিক মাধ্যমগুলো এখনো আলাদা আছে যেমন- সিডি-ডিভিডি, বই, রেডিও, টিভি; সেগুলোর চাইতে বেশি প্রভাবশালী হয়ে উঠবে ইন্টারনেট।

অন্য অর্থে বলা যায় যে, এসব মাধ্যম টিকে থাকলেও তার ভিত্তি হিসেবে ইন্টারনেটই থাকবে। আমি এই কারণেই মনে করি ভবিষ্যতে সংস্কৃতির মানদ- বিবেচনা করার সময় প্রথমে ইন্টারনেটকেই ভাবতে হবে।

মিডিয়ার রূপান্তর : ডিজিটাল অপরাধের একটি বড় ক্ষেত্র হচ্ছে প্রকাশ মাধ্যম বা মিডিয়া। মিডিয়া এখন আর আগের পরিধিতে নেই। বরং ইন্টারনেট প্রচলিত মিডিয়াকে কেমন করে বদলে দিয়েছে এবং মিডিয়ার ডিজিটাল রূপান্তর কতটা করতে পেরেছে সেটি উপলব্ধি করার বিষয়।

কিছুদিন আগেও বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ, আমলা, ওলামা মাশায়েখ বা সাধারণ মানুষের পক্ষে দেশের ডিজিটাল মিডিয়ার জগৎটা সম্পর্কে ধারণা করা সহজ ছিল না। তাদের কেউ সম্ভবত বিষয়টিকে কখনো গুরুত্ব দিয়েও দেখেননি।

আমি নিজে একটি হিসাব করে দেখেছি যে, মিডিয়ার রূপান্তরটি কত ভিন্ন মাত্রার হয়েছে। বাংলাদেশের একটি দৈনিক পত্রিকার সর্বোচ্চ সার্কুলেশন হতে পারে ২/৩ লাখ, যদিও বেশির ভাগেরই প্রচারসংখ্যা শ বা হাজারের কোঠায়। কাগজে ছাপা সব পত্রিকার পাঠক সংখ্যা হতে পারে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ।

অন্যদিকে অনলাইনে এসব পত্রিকার পাঠকসংখ্যা প্রায় ৫/১০ গুণ বেশি এবং দেশের ৩ কোটি লোক এখন অনলাইনে যুক্ত থাকে, যারা কোনো না কোনোভাবে অনলাইনে খবর সংগ্রহ করে থাকে। দেশের ৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সবাই কোনো না কোনোভাবে এই কাজটি করে থাকে। এর পাশাপাশি বিশেষায়িত অংশগুলোর কথাও বলা যায়।

শুধু ফেসবুকে বাংলাদেশের ৩২ লাখ ৩৩ হাজার ৩শ মানুষ (২৬ মার্চ ১৩ এর হিসাবে) যুক্ত রয়েছে। অনলাইনে একজন ব্যক্তির যোগাযোগ ক্ষমতা কতটা বেড়েছে তার হিসাবটা আমি নিজের হিসাব থেকে দিতে পারি। ২৬ মার্চ ২০১৩ (দুপুর ২:২৩ মিনিট) সময়কালে আমার দুটি ফেসবুক হিসাবে বন্ধু ছিল ৫,৭০৪ ও ৪,০৯৩। মানে আমি ফেসবুকে একটি বাক্য লিখে ৯,৭৯৭ বন্ধুর সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করতে পারি।

শুধু তাই নয়, এই বন্ধুদের পাশাপাশি আমার দুটি হিসাবে যথাক্রমে ৩,৫৫২ ও ১,৪৫৯, মোট ৫,০১১ অনুসারি আছে যারাও সঙ্গে সঙ্গে আমার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। ভাবুনতো মোট ১৪,৮০৮ লোকের যদি গড়ে ২০০ বন্ধু থাকে (কারো কারো হাজার বা ৪ হাজারও আছে) তবে কত মানুষের কাছে আমি মুহূর্তের মাঝে পৌঁছতে পারি। এর বাইরেও আমি অনেক গ্রুপের সদস্য। এসব গ্রুপে হাজার বিশেক লোক যুক্ত আছে। আমি তাৎক্ষণিকভাবে তাদের সঙ্গেও যুক্ত হতে পারি। এর মানে হচ্ছে আমি দেশের সব পত্রিকার পাঠক সংখ্যার সমান মানুষের কাছে তো একাই যেতে পারি। ভাবুন তো এই মানুষেরা বিশ্বের সব প্রান্তে ছড়িয়ে আছে।

আরো একটি বিষয় সবার উপলব্ধি করার আছে। এমনকি কাগজের পত্রিকাগুলোরও অনলাইনের দাপট অনেক বেশি। দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণের সদস্য আছে ৩,৮৩,৩৯৪ (২৬ মার্চ ২০১৩)।

অন্যদিকে বিডিনিউজ২৪.কম-এর সদস্য আছে ৩,৩১,৪৮২ (২৬ মার্চ ২০১৩)। কতজন রাজনৈতিক নেতার এই পরিমাণ ক্ষমতা আছে যে তিনি এত লোককে একসঙ্গে তার বাণী শোনাতে পারেন? চিন্তা করে দেখুন, কত শত বার সমাবেশ করে এত লোকের কাছে একটি বক্তব্য পৌঁছানো যাবে। আমার হাতে ২০১৮ সালের ডাটা নেই। তবে আমি নিশ্চিত করতে পারি যে এখনকার ডাটা অতীতের সব সীমাকে অতিক্রম করে চমকে দেয়ার মতো অবস্থায় রয়েছে।

প্রসঙ্গত এই বিষয়টিও উল্লেখ করা দরকার যে মিডিয়ার বাহক হিসেবে এখন কাগজ, টিভি, রেডিওর বিকল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে ইন্টারনেট। কেবল যে কাগজের বই-পত্রিকা ইন্টারনেটে প্রকাশিত হচ্ছে তাই নয়, এখন ইন্টারনেট রেডিও বা ইন্টারনেট টিভি একটি সহজ সরল বাস্তবতা। এই জগৎটা প্রচলিত মিডিয়ার জগতের চাইতে হাজার হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী ও বিস্তৃত। এই বাস্তবতা থেকেই অপরাধের জগতে ডিজিটাল মিডিয়ার অবদানের কথাও স্মরণ রাখতে হবে।

২০১৩ সালের শুরুতে বাংলাদেশে হেফাজতে ইসলাম ও গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে যে চ্যালেঞ্জ ছোড়াছুড়ি ও রাজনৈতিক টানাপড়েন ঘটেছে তার সঙ্গে প্রচলিত ও ডিজিটাল মিডিয়া উভয়েরই বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। (চলবে)

মোস্তাফা জব্বার : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলাম লেখক, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাসের চেয়ারম্যান-সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যারের জনক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App