×

মুক্তচিন্তা

সীমিত শক্তিজোটেই এগিয়ে যেতে চাইছে বিএনপি

Icon

কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:৫৬ পিএম

বিকল্প ধারাকে বাদ দিয়েই ‘ঐক্যফ্রন্ট’ গঠন করতে হলো। বারিধারায় নিজ বাসভবনে আলাদা সংবাদ সম্মেলন করে ডা. বি চৌধুরীর ঘোষণা : ‘বিএনপিকে এককভাবে ক্ষমতায় বসানোর জন্য বিকল্প ধারা ঐক্য করবে না।’ অর্থাৎ সেই ‘পুরাতন ক্ষমতার দ্বন্দ্ব’। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এক নম্বর ব্যক্তিটি কে হবেন- মূল দ্বন্দ্বটি এই একটি প্রশ্ন নিয়ে।

এমনিতেই নির্বাচন নিয়ে সরগরম ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন, কিছুটা উত্তাপও তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক আবহাওয়ায়। সেইসঙ্গে যুক্ত হয় বিএনপির সঙ্গে ড. কামাল হোসেন ও ডা. বি চৌধুরীর দলগতভাবে নির্বাচনী মহাজোট গঠনের প্রচেষ্টা। আর তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ও সংশয়ের জটিলতা। কারণ রাজনীতিতে লাভ-লোকসানের হিসাবটা বরাবরই গুরুত্ব বহন করে থাকে।

এই টানাপড়েনের মধ্যেও বিএনপি আশার আলো দেখতে পাচ্ছিল নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সফল মোকাবেলার সম্ভাবনায়। ইতোমধ্যে অনেকটা বজ্রপাতের মতোই ঘটনা ২১ আগস্ট (২০০৪) সংঘটিত আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের ওপর গ্রেনেড হামলার রায় ঘোষণা।

বিচারে দ-প্রাপ্তদের অধিকাংশ রাজনৈতিক সামরিক প্রশাসনিক ক্ষেত্রের হেভিওয়েট ব্যক্তিত্ব। বাদ পড়েনি তারেক রহমান যিনি কয়েক বছর ধরে লন্ডন প্রবাসী। অন্যরা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা- তাদের সঙ্গে কারোর জন্য রায়ে চরম শাস্তির ঘোষণা, কারোর জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। দেখার বিষয় এ ঘটনা কীভাবে নিয়েছে বিএনপি।

লক্ষ্য করার মতো যে, এ রায় ঘোষণা সংবাদ মাধ্যমে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং তা সঙ্গত কারণে। দল নিরপেক্ষ দৈনিকগুলোতেও এ ঘটনা নিয়ে সংবাদপত্রের ভাষায় যাকে বলে ‘লিড নিউজ’ এবং প্রতিবেদন। টিভি টকশোতে চলছে তুমুল তর্ক-বিতর্কের ঝড়। যে ঝড়ে কারো কথা শোনা যাচ্ছে না। চুপ করে থাকছে না আওয়ামী লীগ। স্বভাবতই তারা এ ঘটনাটিকে নির্বাচনী প্রচারে কাজে লাগাতে আগ্রহী।

এমন পরিস্থিতিতে এ মুহূর্তে অন্য বিষয় নিয়ে ‘কলাম’ তথা উপসম্পাদকীয় লেখা ‘স্বাদহীন বর্ণহীন’ বিবেচিত হওয়ার কথা, অন্তত পাঠকের কাছে। পাঠক সর্বদাই গরম গরম টকঝাল মিষ্টি খেতে পছন্দ করে, বিশেষত প্রথম দুটো বিষয় যাই হোক না কেন। স্বভাবতই একাধিক লেখায় একই বিষয়ের নানাদিককার তাৎপর্য নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ।

দুই. এ হামলা নিয়ে তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপি সরকারের ও দলের শীর্ষস্থানীয় কিছুসংখ্যক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা নিয়ে দেশের সর্বমাত্রিক স্তরে, কারো হিসাবে কোনো সন্দেহ ছিল না। এক সময় ব্যাপক আলোচনা ছিল এ বিষয় নিয়ে সমাজে, বিশেষভাবে তারেক রহমান ও তার হাওয়া ভবন নিয়ে।

সামরিক কিংবা বেসামরিক পর্যায়ে ক্ষমতাসীন জিয়াউর রহমানের ব্যক্তিত্বে এক ধরনের চাপা নির্মমতা ছিল অবাঞ্ছিত বৈশিষ্ট্য। সেই জিন প্রভাবই হয়তো সরস ও হালকা হাওয়ায় প্রকাশ পেয়েছে পুত্র তারেক রহমানের রাজনৈতিক তৎপরতায়। দল প্রধানের অনড় অবস্থানের কারণে দলে এই তরুণ প্রায় সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত অনেক বয়োজ্যেষ্ঠকে ডিঙিয়ে। প্রতিবাদের সাহস কারো ছিল না। এ ছিল দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চেহারা। বলা চলে একনায়কী দলতন্ত্র।

তারেকের দুর্নীতিপরায়ণতা, তার রাজনৈতিক স্বেচ্ছচারী তৎপরতা নীরবে হজম করতে হয়েছে জ্যেষ্ঠ নেতাদের, তবু তারা প্রতিবাদ বা পদত্যাগের সাহস দেখাতে পারেনি। বিস্ময়কর যে, এখন বিপরীত স্রোত সত্ত্বেও তাদের মনোভাবের বড় একটা পরিবর্তন ঘটেনি। তেমন প্রকাশই দেখা গেল উল্লিখিত রায়ে বিএনপি নেতাদের প্রতিক্রিয়ায়, বাস্তব সত্যকে স্বীকার করতে না পারায়।

দলের মহাসচিবের প্রতিক্রিয়ার বিবৃতিতে তেমন উদাহরণই প্রকাশ পেয়েছে। রাজনীতিতে অভিজ্ঞ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দলে পরিবারতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা মেনে নেয়ার দীনতা তাদের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মেলে না। বিএনপি ক্ষমতাসীন হওয়ার দ্বিতীয় মেয়াদে তরুণ তারেক রহমানের পদোন্নতি, ক্ষমতাধর হওয়া এবং নৈরাজ্যিক কর্মতৎপরতা তথা হাওয়া ভবন দেশের রাজনীতিমনস্ক মহল ছিল নেতিবাদী সমালোচনায় মুখর, অবশ্য নিজস্ব বৃত্তে।

বিএনপি মহাসচিব তারেক রহমানের অবাঞ্ছিত কর্মকাণ্ডের পক্ষে পরোক্ষ সাফাই গেয়ে বলেছেন, ‘তারেক রহমানের পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না।’ তিনি নিম্ন আদালতের রায় প্রত্যাখ্যান করেছেন উচ্চ আদালতের ইতিবাচক রায়ের প্রত্যাশায়। তিনি মুফতি হান্নানের বিতর্কিত জবানবন্দি অগ্রহণযোগ্য বিবেচনায় গ্রেনেড হামলার দায় অস্বীকার করেছেন। দলকে বড়সড় অপরাধ থেকে মুক্ত রাখতে সবারই চেষ্টা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তা ন্যায়নীতি ও যুক্তিসঙ্গত নয়।

বিভাজিত ভারত রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সংঘটিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডগুলোর তদন্তসাপেক্ষ বিচার এবং বিচারে অপরাধীর শাস্তি হতে দেখা গেছে। যেমন গান্ধী হত্যা, ইন্দিরা হত্যা, রাজীব হত্যার বিচার ও অপরাধীর শাস্তি। কিন্তু এর বিপরীত ধারায় পাকিস্তানে একই ধরনের হত্যাকাণ্ডের একটিরও বিচার বা শাস্তি হয়নি- লিয়াকত আলী খান থেকে বেনজির ভুট্টো হত্যার মতো কোনোটিরই নয়।

যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি রাষ্ট্রীয় বন্ধন থেকে মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ ওই রাজনৈতিক প্রবণতা থেকে পুরোপুরি মুক্ত ছিল না বলে বেশ কিছু রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি। যেমন ১৫ আগস্টের (১৯৭৫) বীভৎস হত্যাকাণ্ড, জিয়া হত্যাসহ তাহের ও মঞ্জুর হত্যাকাণ্ডের বিচার এসবের দায় যেমন জিয়া সরকারের, তেমনি পরবর্তী বিএনপি সরকারের। এদিক থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের চেষ্টা ছিল তাদের রাজনীতি সংশ্লিষ্টদের হত্যাকাণ্ডের বিচার। কিন্তু আইনি নৈতিকতার দায়ে অন্যদের হত্যার বিচারের দায় তারা পালন করেননি। করা অবশ্যই উচিত ছিল।

আরো একটি বিষয় প্রসঙ্গত বিবেচনার দাবি রাখে, যে গণতন্ত্রী ভারতে উগ্র বিরোধী রাজনৈতিক দলকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের যে ধারা ব্যাপকভাবে পাকিস্তানে এবং অংশত ভারতে বিশেষ শাসন ব্যবস্থায় সংঘটিত হয়ে ঐতিহ্য সৃষ্টি করেছে তার কিছুটা বাংলাদেশেও প্রভাব ফেলেছে- যা ন্যায়নীতি, মানবাধিকার ও আইনসম্মত নয়। ইদানীং এ প্রবণতার আধিক্য লক্ষ করার মতো। এসবই তা গণতান্ত্রিক সুশাসন ব্যবস্থার পরিপন্থী। লক্ষ করার মতো যে প্রকাশ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বোমা হামলা, সাংবাদিক ও ব্লগার হত্যার মতো অধিকাংশ সন্ত্রাসী ঘটনার বিচার হয়নি এ তাবৎ।

বাংলাদেশে আইনি ব্যবস্থার এ পরিণাম তার সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক ধারার সঙ্গে খাপ খায় না। রাজনীতি-রাষ্ট্রনীতি এদিক থেকে আধুনিকতা ও গণতন্ত্রের পরিচায়ক নয়। এ দায় গোটা রাজনৈতিক মহলের। এ অবস্থা থেকে মুক্তি দরকার বাংলাদেশের, তার শাসন ব্যবস্থার, আইনি ব্যবস্থার। তবু যা হোক কিছুসংখ্যক সন্ত্রাসী ঘটনার বিচার হয়েছে, জঙ্গি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযান চলেছে তবে তা বিচারবহির্ভূতভাবে। শেষ পর্যন্ত হয়েছে পূর্বোক্ত গ্রেনেড হামলার বিচার। তা অবশ্য গড়াবে উচ্চ আদালত পর্যন্ত, তেমনই বিএনপির ঘোষণা।

তিন. এ হামলা সম্পর্কে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল বিএনপির ভূমিকা যে প্রশ্নাতীত নয় সে কথা ইতোপূর্বে বলা হয়েছে। বিএনপির মহাসচিব এবং দলের শীর্ষ নেতারা কি জবাব দিতে পারবেন কেন তাদের শাসনামলে এত বড় একটি রাজনৈতিক হত্যা চেষ্টার সঠিক তদন্ত ও বিচার হয়নি? এ প্রশ্নটি তারা আমলে আনছেন না। শুধু অভিযোগ করছেন বর্তমান শাসন ব্যবস্থার ত্রুটিগুলো নিয়ে, যা আমাদের বিবেচনায়ও সংশোধনযোগ্য। সমাজে ব্যক্তিক ও সামূহিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সুষ্ঠু আইনি সুশাসন প্রতিষ্ঠা প্রতিটি মানুষের কাম্য। এ কথাও আওয়ামী লীগকে মনে রাখতে হবে।

সবশেষে পূর্বোক্ত মূল প্রসঙ্গের ধারাবাহিকতায় বিশেষ সংবাদ হলো, শেষ পর্যন্ত বিএনপি ভোটের দৌড়ঝাঁপের পরিণামে শেষ রাতে নয়, সন্ধ্যায় আকাক্সিক্ষত বিড়াল মারার পর্ব শেষ হলো। জাতীয় প্রেসক্লাবে ১৩ অক্টোবর ২০১৮ অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ গঠনের ঘোষণা এলো নাগরিক ঐক্যের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নার আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে। তবে তা সর্বাঙ্গসুন্দর হতে পারেনি, কিছুটা ঘাটতি থেকে গেল ঘোষিত ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে’ বিকল্প ধারার ডা. বি চৌধুরীর অনুপস্থিতিতে।

আমরা জাতীয় ঐক্য জোটের প্রথম যাত্রার সময়ই ডা. বি চৌধুরী বনাম ড. কামাল হোসেনের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কথা উল্লেখ করে এ দুই নেতার ঐক্য সম্বন্ধে সন্দেহ পোষণ করেছি। অর্থাৎ এক গালিচায় দুই পীরের অবস্থান প্রায়শ দেখা যায় না, দেখা গেলেও তা স্থায়ী হয় না। বিকল্প ধারা, বিশেষভাবে ডা. বি চৌধুরীর রাজনৈতিক উচ্চাকাক্সক্ষা এ ঐক্যজোটে কতটা মানিয়ে নিতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ ছিল।

শেষ পর্যন্ত তাই ঘটেছে। বিকল্প ধারাকে বাদ দিয়েই ‘ঐক্যফ্রন্ট’ গঠন করতে হলো। বারিধারায় নিজ বাসভবনে আলাদা সংবাদ সম্মেলন করে ডা. বি চৌধুরীর ঘোষণা : ‘বিএনপিকে এককভাবে ক্ষমতায় বসানোর জন্য বিকল্প ধারা ঐক্য করবে না।’ অর্থাৎ সেই ‘পুরাতন ক্ষমতার দ্বন্দ্ব’। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এক নম্বর ব্যক্তিটি কে হবেন- ড. কামাল হোসেন, না ডা. বি চৌধুরী, মূল দ্বন্দ্বটি এই একটি প্রশ্ন নিয়ে। যে জন্য বিকল্পধারার আলোচনায় বারবার দাবি উত্থাপিত হয়েছে ‘ক্ষমতার ভারসাম্য’ রক্ষা নিয়ে। প্রকৃতপক্ষে ঐক্যজোটে বি চৌধুরীর অবস্থান নিয়ে তার এক নম্বরে থাকা নিয়ে।

মেজর মান্নানের সঙ্গে ইতোপূর্বে আ স ম আবদুর রবের তর্ক-বিতর্কের অন্তর্নিহিত মূল বিষয়টিই ছিল আসন সংখ্যা ও ক্ষমতার ভাগ নিয়ে। জনাব রবের ভাষায় ‘ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেয়ার চেষ্টা।’ জনাব চৌধুরী ইতোপূর্বে প্রেসিডেন্ট জিয়া ও প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কল্যাণে ব্যাপক ক্ষমতার স্বাদ উপভোগ করেছেন, যদিও শেষ মুহূর্তে একটি আলটপকা বক্তব্যের দায়ে যুবরাজের বিরক্তির কারণ হয়ে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। কাজেই বর্তমান বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষে তার বাসায় নিয়ে পূর্বোক্ত আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ (প্রকারান্তরে ক্ষমা প্রার্থনা) সত্ত্বেও বোধহয় তার অন্তর্দাহ নির্বাপিত হয়নি। তাই বিএনপি বিষয়ক ক্ষোভ থেকে গেছে যা তার পূর্বোক্ত বক্তব্যে স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু তিনি তো রাজনীতিতে এসেছিলেন জিয়ার হাত ধরে। বর্তমান ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে কী করবেন বিকল্প ধারার প্রতিষ্ঠাতা? তাদের একক শক্তিতে বর্তমান রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনি কতদূর এগুতে পারবেন, বিশেষ করে নির্বাচনী প্রতিযোগিতায়? ক্ষোভ ও উচ্চাকাক্সক্ষার কারণে তিনি হযতো বিরাজমান পরিস্থিতিতে রাজনীতির এই কঠিন দিকটি ভেবে দেখেননি।

এখন আমাদের দেখার অপেক্ষা, এ দ্বান্দ্বিক পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে শেষ হয়? বিকল্প ধারা কি শেষ পর্যন্ত ফিরবে ঐক্যফ্রন্টে? অতিশিগগিরই সময় তা বলবে। অন্যদিকে কিছুটা স্বস্তি আওয়ামী শিবিরে ঐক্যফ্রন্টের ঘাটতি নিয়ে, যা তাদের ভাষায় ‘দুর্বল ঐক্য’। যে দুর্বল ঐক্য তাদের মতে দাবিদাওয়া আদায়ের পক্ষে যথেষ্ট নয়। আমরা অপেক্ষা করছি, গোটা চিত্রটি সম্পূর্ণরূপে আবির্ভূত হওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে।

আহমদ রফিক : ভাষা সংগ্রামী, কবি ও গবেষক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App