×

অর্থনীতি

গত অর্থবছরে স্থলবন্দরে আয় বেড়েছে ৩৩ শতাংশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০১৮, ০৪:১৩ পিএম

গত অর্থবছরে স্থলবন্দরে আয় বেড়েছে ৩৩ শতাংশ
সমাপ্ত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশের স্থলবন্দরগুলো আমদানি-রপ্তানির মাধ্যমে আয় করেছে ১৪৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এর আগের অর্থবছরে (২০১৬-১৭) আয়ের পরিমাণ ছিল ১১১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। ফলে বছরের ব্যবধানে স্থলবন্দরগুলোর আয় বেড়েছে ৩৩ শতাংশ। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ স্থলবন্দর সূত্র জানিয়েছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তিনটি স্থলবন্দর থেকে মোট আয়ের ৮৪ শতাংশ এসেছে। এগুলো হলো- বেনাপোল, বুড়িমারী ও ভোমরা। বরাবরের মতো গত অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি মাশুল আদায় হয়েছে বেনাপোল স্থলবন্দরে। এই স্থলবন্দরের আয় ৪৮ কোটি ৭২ লাখ টাকা। বুড়িমারী ৪৬ কোটি ২৪ লাখ ও ভোমরা ২১ কোটি টাকা আয় করেছে। অন্যান্য স্থলবন্দরের মধ্যে সোনামসজিদ স্থলবন্দর ৩ কোটি ৮২ লাখ, তামাবিল ৬ কোটি ৪৬ লাখ, হিলি ৬ কোটি ৭ লাখ, টেকনাফ ৪ কোটি ৭৪ লাখ, বাংলাবান্ধা ৪৭ লাখ, আখাউড়া ৫ লাখ, নাকুগাঁও ১১ লাখ ও বিবিরবাজার ১ লাখ টাকা। বাংলাদেশ স্থলবন্দর সূত্র জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে স্থলবন্দরগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন হওয়ায় এর সক্ষমতা বেড়েছে। এর পাশাপাশি বিগত অর্থবছরে তামাবিল ও সোনাহাট এই দুটি স্থলবন্দর চালু হয়েছে। এতে কাক্সিক্ষত সেবা নিশ্চিত হওয়ায় দ্রুত পণ্য খালাস হচ্ছে। পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী হওয়ায় ভারতের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যও বেড়েছে। মূলত এসব কারণে স্থলবন্দরগুলোর আয় বাড়ছে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আরো দুটি নতুন স্থলবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ভোমরা ও বেনাপোল স্থলবন্দর সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এসব কাজ শেষ হলে স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি আরো বাড়বে। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে স্থলবন্দর থেকে ১৬৫ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে। সূত্র আরো জানিয়েছে, স্থলবন্দরের আয়ের প্রধান উৎসগুলো হচ্ছেÑ খালাস হওয়ার অপেক্ষায় থাকা পণ্যের জন্য শেড ও ইয়ার্ড ভাড়া, ওজন মাপার মাশুল, প্রবেশ মাশুল, শ্রমিক মজুরি, দলিলাদি প্রক্রিয়াকরণ মাশুল ইত্যাদি। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে মোটরযান চুক্তির (বিবিআইএন এমভিএ) আওতায় অদূর ভবিষ্যতে স্থলপথে প্রতিবেশী দেশসমূহের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারি রাজস্বের পরিমাণও বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে। দেশে বর্তমানে ২৩টি স্থলবন্দর আছে। এর মধ্যে কার্যকর রয়েছে ১২টি। বাকিগুলো শুল্কস্টেশনের মতো চলে। স্থলবন্দর দিয়ে মূলত স্থলপথে আমদানি-রপ্তানি হয়। প্রায় ৯৮ ভাগ পণ্যই আমদানি-রপ্তানি হয় ভারতের সঙ্গে। মিয়ানমারের সঙ্গে হয় ২ শতাংশের মতো। উল্লেখ্য, বার্ষিক আয় দিয়েই স্থলবন্দরগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা, উন্নয়নসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয় বহন করা হয়। বাকি অর্থ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের স্থায়ী আমানতে রাখা হয় এবং সরকারের কোষাগারে জমা দেয়া হয়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সরকারের কোষাগারে ৩১ কোটি ১৩ লাখ টাকা জমা দেয়া হয়। ভারতসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য সহজ করতে ২০০১ সালে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App