×

মুক্তচিন্তা

শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে দুয়েকটি জরুরি কথা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:৩৪ পিএম

 

রাষ্ট্র গঠন, জাতি গঠন ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নতির জন্য যে শিক্ষানীতি ও শিক্ষাব্যবস্থা দরকার তার থেকে চলমান শিক্ষানীতি ও শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিপরীত ধারায় চলছে। ডানপন্থি-বামপন্থি কোনো একটি দলেই এ নিয়ে পরিচ্ছন্ন কোনো বক্তব্য নেই। কার্যকর কোনো রাজনৈতিক দলই যেন নেই যা জাতীয় শিক্ষানীতি ও শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কোনো সুস্থ চিন্তার পরিচয় দেয়? জনসাধারণের মধ্যে এ নিয়ে সচেতনতা দরকার।

মার্শাল ল’র মধ্যে প্রথমে রাষ্ট্রপতির অধীনে চিফ মার্শাল ল’ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে এবং তারপরই রাষ্ট্রপতি হিসেবেও ক্ষমতায় এসেই আইয়ুব খান যেসব গুরুত্বপূর্ণ কাজে হাত দেন সেগুলোর মধ্যে একটি ছিল শিক্ষাব্যবস্থার পুনর্গঠনের জন্য শিক্ষা কমিশন গঠন। আইয়ুব খানের শিক্ষক অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম ছিলেন ওই শিক্ষা কমিশনের সভাপতি। বছর খানেকের মধ্যেই ওই কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। রাজনৈতিক মহল থেকে তখন সামরিক শাসন তুলে নিয়ে মৌলিক মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার সমীপে আহ্বান জানানো হচ্ছিল। তখন সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিল শিক্ষা কমিশন রিপোর্টবিরোধী আন্দোলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র থাকাকালে সে আন্দোলনে আমি সক্রিয় ছিলাম।

আমি লক্ষ করেছিলাম যে আন্দোলনের নাম ‘শিক্ষা কমিশন রিপোর্টবিরোধী আন্দোলন’ হলেও কার্যত তা ছিল সরকারবিরোধী আন্দোলন। সরকারের নতুন শিক্ষানীতি ও শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে একটা প্রকাণ্ড ‘না’ ছাড়া বিশেষ কোনো বক্তব্য ওই আন্দোলনে ছিল না। আইয়ুব খান প্রবর্তিত নতুন শিক্ষানীতি অনুযায়ী বিএ পাসকোর্স দুই বছরের জায়গায় তিন বছর করা হয়েছিল। এক পর্যায়ে এর বিরুদ্ধেই আন্দোলন কেন্দ্রীভূত হয়েছিল। তার শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট বাতিলের দাবি ছিল ঘোষিত লক্ষ্য। ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রলীগ, ছাত্রশক্তি ও এনএসএফের পক্ষ থেকে সরকারকে চরমপত্র দেয়া হয়েছিল যে, ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট বাতিল করা না হলে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ জনগণের পক্ষ থেকে শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট বাতিলের জন্য চরম আন্দোলন আরম্ভ করবে। আন্দোলনের প্রতি জনসমর্থন ছিল।

এ অবস্থায় শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট বাতিলের দাবিতে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সারা দেশে হরতাল ডাকে। তাতে পশ্চিম পাকিস্তানসহ সারা দেশে হরতাল পালিত এবং হরতালের কার্যক্রমে পুলিশের বাধার কারণে কোথাও কোথাও সংঘর্ষ হয়। তাতে ওয়াজিউল্লাহ, বাবুল প্রমুখ কয়েকজন নাগরিক শহীদ হন। সেদিন সন্ধ্যার আগেই আইয়ুব সরকার তার শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট স্থগিত ঘোষণা করে। তখন আন্দোলন বন্ধ করা হয়। তিন বছরমেয়াদি বিএ পাস কোর্স আবার দুই বছরমেয়াদি হয়ে যায়। যারা দুই বছর অতিক্রম করেছিল, সরকার তাদের অটো ডিগ্রি দিয়ে দিয়েছিল।

যে উপলব্ধিটা তখন আমার মনে কাজ করে তা হলো, শিক্ষানীতি ও শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারের সুস্পষ্ট কর্মসূচি ওই আন্দোলনে দরকার ছিল। তাতে না গিয়ে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ কেবল সরকার বিরোধী রাজনীতি দ্বারা পরিচালিত হয়ে শিক্ষা সংক্রান্ত ব্যাপারগুলো সম্পর্কে উদাসীন থাকে। দুই বছর পরে ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রলীগ যুক্ত উদ্যোগে সরকারবিরোধী আন্দোলনের স্বার্থে শিক্ষা সংস্কারের একটি বাইশ দফা কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল। তার পেছনে আগাগোড়াই আমার চেষ্টা ছিল।

তবে সে কর্মসূচিকেও যথেষ্ট উন্নত করা যায়নি। তখন সরকার অত্যন্ত মারমুখী ছিল। আন্দোলন সরকার উৎখাতের আন্দোলন রূপেই বিকশিত হয়। পরে ঘটনাপ্রবাহ অগ্রসর হয় ছয় দফা আন্দোলন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন ও একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে। আমার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শিক্ষানীতি ও শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারের জন্য ছাত্র-শিক্ষকরা ক্রমাগত আন্দোলন করেছেন। ওইসব আন্দোলনের একটা পর্যায়ের বিবরণ বদরুদ্দীন উমরের ‘পূর্ব বাংলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি’ বইতে আছে। গোটা পাকিস্তানকালের শিক্ষা সংস্কার আন্দোলনের তথ্যাদি ও দাবিদাওয়ার পরিচয় ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র’ (পনেরো খণ্ড) বইতে আছে।

আমার পর্যবেক্ষণ এই যে, পাকিস্তানকালের চব্বিশ বছরের এসব আন্দোলনের মধ্যে শিক্ষানীতি ও শিক্ষাব্যবস্থার উন্নততর সর্বাঙ্গীণ কোনো ধারণা প্রকাশিত হয়নি। কিছু দাবিদাওয়া স্পষ্ট থাকলেও এবং সেগুলো আদায় হয়ে থাকলেও গোটা আন্দোলন ছিল রাজনৈতিক দলগুলোর সরকার উৎখাতের ও ক্ষমতা দখলের আন্দোলনের অংশ মাত্র। ছয় দফা আন্দোলনে এসে পূর্ব বাংলার বাঙালি জাতি একটি সুস্পষ্ট রাজনৈতিক লক্ষ্য পেয়েছিল। কিন্তু ছয় দফায় রাষ্ট্র ব্যবস্থার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে গড়ে তোলা সংক্রান্ত কোনো বিষয় সুস্পষ্ট করা হযনি। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পরও তা করা হয়নি।

যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের ছয় দফা আন্দোলন পরিচালিত হয়েছিল, সেই দলটিও তখন যথেষ্ট ভালোভাবে গড়ে ওঠেনি। বঙ্গবন্ধুর যুদ্ধে অনুপস্থিত থাকার ফলে সমস্যা যুদ্ধকালে যতটা দেখা দিয়েছিল, যুদ্ধের পরে স্বাধীন বাংলাদেশে তারচেয়ে বেশি দেখা দিয়েছিল। রাজনৈতিক দলে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যে প্রস্তুতি দরকার, পাকিস্তানকালে আওয়ামী লীগ, ন্যাপ প্রভৃতি দল তা পর্যাপ্ত গুরুত্বের সঙ্গে ভাবেনি। পাকিস্তানবাদী দলগুলো ছাড়া বাকি সব দলের তখন ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার ছিল। কিন্তু তা হয়নি। তার ফলে ১৯৭২ সালের শুরু থেকেই সব সমস্যা একীভূত হয়ে দেখা দেয়। রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বড় হয়ে সামনে আসে। জাসদের এবং সর্বহারা পার্টিরও বহুলোক, সেইসঙ্গে আওয়ামী লীগেরও কিছু লোক প্রাণ হারায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মনসুর আলী, কামরুজ্জামান, রাষ্ট্রপতি জিয়া, মনজুর ও আরো অনেকে নির্মম সব হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। যুদ্ধকালেও নেতৃত্ব নিরন্তর চলছিল জটিলতার পর জটিলতা অতিক্রম করে বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্বৈরাচারের পর দেখা দিয়েছে সামরিক স্বৈরাচার, তারপর আবার রাজনৈতিক স্বৈরাচার এবং আবার সামরিক স্বৈরাচার।

... ১৯৮০’র দশকের দীর্ঘ সামরিক স্বৈরাচারের পর গণতন্ত্র কি হলো? লোকে বলে সামরিক স্বৈরাচারের পর ক্রমাগত অসামরিক স্বৈরাচার চলছে। গণতন্ত্র সুদূরপরাহত। সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় সংসদের নির্বাচন করার সামর্থ্যও অর্জন করেনি। লোকে বলে, সামরিক স্বৈরাচারের চেয়ে অসামরিক স্বৈরাচার বেশি নির্যাতনমূলক। অসামরিক স্বৈরাচার ক্ষমতায় যাওয়ার আশায় জনগণের ওপর আস্থা হারিয়ে বিদেশি দূতাবাস ও ওয়াশিংটন নিউইয়র্কে দৌড়ায়। এই অবস্থার মধ্য দিয়ে আরেক সময়। আমার মনে হয় এখন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যে ব্যস্ততা জাতির মধ্যে দেখা যাচ্ছে, তারচেয়ে অনেক বেশি ব্যস্ততা জাতীয় রাজনীতির সুস্থতা অর্জনের জন্য দরকার। সেদিকে রাজনীতিবিদদের বুদ্ধিজীবীদের কথিত বিশিষ্ট নাগরিকদের, ছাত্র-তরুণদের এবং জনগণেরও কোনো আগ্রহ নেই। এই রকম অবস্থায় কোনো জাতি- কোনো রাষ্ট্র টেকে না। দেশ এবং রাষ্ট্র এক নয়। দেশ প্রকৃতির সৃষ্টি, রাষ্ট্র মানুষের। রাজনীতি ডুবলেও দেশ থাকে, রাষ্ট্র থাকে না। জাতি দরকার হয় রাষ্ট্র গঠনের জন্য।

দেশ, জাতি, জনজীবন অসুস্থ রাজনীতি নিয়ে চলতে চলতে পরাধীন হয়ে যায়। যে রাজনীতি চলছে তা নিয়ে রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কি নিশ্চিত? সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের চেয়ে সব দলের জন্য নির্বাচন উপলক্ষে সমান সুযোগের ও সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রশ্নের চেয়ে জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় অস্তিত্বের প্রশ্ন অনেক অনেকগুণ বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রশ্নে দেশবাসীর মনোযোগ, বিচার-বিবেচনা ও সক্রিয়তা চাই। জনসাধারণের বোঝা দরকার যে, বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পূর্ণ ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছে। এই রাজনীতি গণবিরোধী। ওয়াশিংটন কিংবা দিল্লি যখন বাংলাদেশের রাজনীতির চালিকাশক্তি রূপে কাজ করে, তখন বাংলাদেশের সমূহ সর্বনাশ অনিবার্য। রাজনীতিতে মৌলিক পরিবর্তন দরকার। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিয়ে তা হবে না।

বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাসমূহ ধ্বংসের পথে পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর শিক্ষা কমিশন গঠিত হয়েছিল তার রিপোর্ট জনসমক্ষে এসেছিল ১৯৭৫ সালে। তখন রাষ্ট্রের অবস্থা স্বাভবিক ছিল না, সরকারও ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে ছিল। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর, আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সে শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট আর কার্যকারিতায় যায়নি। তারপর একটির পর একটি সরকার এসেছে- সামরিক সরকার, অসামরিক সরকার। প্রত্যেক সরকারই শিক্ষানীতি ও শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারের জন্য কমিটি, কমিশন গঠন করছে এবং একের পর এক গণবিরোধী নীতি ও পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। পাকিস্তানকালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে যে বৈষম্য ছিল তা বহুগুণ বাড়ানো হয়েছে। মাদ্রাসা ধারা, ইংলিশ মিডিয়াম ধারা, ইংলিশ ভার্সনের ধারা, বাংলা মাধ্যমের মূল ধারা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পঞ্চম শ্রেণি ও অষ্টম শ্রেণিতে পাবলিক পরীক্ষা প্রবর্তনের ফলে গাইড বুক, কোচিং সেন্টার ইত্যাকার ব্যবসায়ে স্বর্ণযুগ দেখা দিয়েছে।

এর মধ্যে কথিত সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতি প্রবর্তনের ফলে শিক্ষা নিয়ে ব্যবসার ক্ষেত্রে স্বর্ণযুগ পেছনে ফেলে হীরক যুগ দেখা দিয়েছে। রাষ্ট্র গঠন, জাতি গঠন ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নতির জন্য যে শিক্ষানীতি ও শিক্ষাব্যবস্থা দরকার তার থেকে চলমান শিক্ষানীতি ও শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিপরীত ধারায় চলছে। ডানপন্থি-বামপন্থি কোনো একটি দলেই এ নিয়ে পরিচ্ছন্ন কোনো বক্তব্য নেই। কার্যকর কোনো রাজনৈতিক দলই যেন নেই যা জাতীয় শিক্ষানীতি ও শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কোনো সুস্থ চিন্তার পরিচয় দেয়? জনসাধারণের মধ্যে এ নিয়ে সচেতনতা দরকার। জনসাধারণ ঘুমিয়ে থাকলে জনস্বার্থের জন্য কোনো মহল কিছু করে দেবে না। জনগণ ঘুমন্ত বলেই এত খারাপ একটি শিক্ষাব্যবস্থা চলতে পারছে। এর জন্য সরকার যতটা দায়ী ততটাই দায়ী সরকারি দলের বাইরে অন্যসব দল ও কথিত বিশিষ্ট নাগরিকরা।

সব মহলের কাছে আমার নিবেদন, অবিলম্বে (১) পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির পাবলিক পরীক্ষা বাতিল করার ব্যবস্থা করুন। এর জন্য জনগণের পক্ষ থেকে আন্দোলন লাগবে। (২) অবিলম্বে সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করে শিক্ষামুখী, জ্ঞানমুখী, জিজ্ঞাসা অনুসন্ধিৎসা সৃষ্টিকারী পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করুন। এর জন্যও জনগণের পক্ষ থেকে আন্দোলন দরকার। অন্তত এই দুটি দাবি নিয়ে অবিলম্বে বৃহত্তর শিক্ষা আন্দোলনের দ্বার উদ্ঘাটন করা দরকার।

সরকার উৎখাতের ও ক্ষমতা দখলের আন্দোলনে জনকল্যাণের লক্ষ্য চাই। ঘুমন্ত জনগণের নিদ্রাভঙ্গ চাই। জনগণের মধ্যকার মহৎ মানসিক গুণাবলির জাগরণ ঘটলে অনেক কিছু স্পষ্ট হয়ে উঠবে।

আবুল কাসেম ফজলুল হক : প্রগতিশীল চিন্তাবিদ, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App