×

বিনোদন

পূজায় সবাইকে নিয়ে ভীষণ আনন্দ করবো

Icon

মেলা প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ০১:৩৩ পিএম

পূজায় সবাইকে নিয়ে ভীষণ আনন্দ করবো
দুই বাংলাতেই জনপ্রিয় রিনি বিশ্বাস। বিশেষ করে কলকাতার তারা বাংলায় প্রচারিত ‘আজ সকালের আমন্ত্রণে’ অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের কাছেও পরিচিতি পান তিনি। সুন্দর কথা আর মিষ্টি হাসিতে জয় করে নিয়েছেন মানুষের হৃদয়। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে রিনি বিশ্বাস প্রথম ঢাকায় আসেন আবৃত্তির অ্যালবামের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে। এরপর থেকে নিয়মিতভাবেই ঢাকার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছেন তিনি। প্রতিবারই আবৃত্তি এবং রিনি বিশ্বাসের কণ্ঠে সুন্দর কথা শুনতে ভিড় জমিয়েছেন অনেকে। গত ১০ অক্টোবর ঢাকায় এসেছেন কলকাতার জনপ্রিয় এই আবৃত্তিশিল্পী ও উপস্থাপক। গতকাল ভোরের কাগজের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি।সাক্ষাৎকার নিয়েছেন হেমন্ত প্রাচ্য
এবার ঢাকায় এসে কেমন লাগছে? ঢাকার সঙ্গে আমার সম্পর্কটা ভীষণ আপন। যতবার আসি, অনেক আপনজনের সঙ্গে দেখা হয়। নতুন করে অনেকের সঙ্গে পরিচিত হয়, পরবর্তী সময়ে তারাও আমার আপনজন হয়ে যায়। এবার ঢাকায় এসেছি জয়ধ্বনি সাংস্কৃতিক সংগঠনের আমন্ত্রণে। বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ‘শরৎ উৎসব’-এর আয়োজন করেছিল জয়ধ্বনি। সেখানে গিয়ে চমৎকার কিছু মানুষের সঙ্গে সময় কেটেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভীষণ আনন্দের সময় কেটেছে। ঢাকায় থাকবেন কত দিন? খুবই অল্প সময় নিয়ে এসেছি। ১২ ও ১৩ অক্টোবর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে উপস্থাপনা শৈলী বিষয়ক একটা কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে অংশ নিচ্ছি। এর পরদিনই কলকাতায় ফিরে যাবো। পূজার সময় কলকাতার বাইরে থাকতে ইচ্ছা করে না। আমার শৈশব-কৈশোর কেটেছে কলকাতায়। ফলে পূজার সময় ভীষণ আনন্দ হয়। দুর্গাপূজার পরিকল্পনা কী? সেভাবে পরিকল্পনা করা হয়নি। তবে যারা কলকাতায় পূজার সময় যাননি, তারা বুঝতেও পারবেন না সেখানে পূজার সময় কতটা আনন্দ হয়! পুরো কলকাতা তখন অন্যরকম। সবাই আনন্দ করে, উৎসবে সরগরম হয়। পূজার সময় কলকাতার বাইরে আমি থাকতে চাই না। এবারো কলকাতায় আমার পরিবার, বন্ধু-বান্ধব সবাইকে নিয়ে ভীষণ আনন্দ করবো। বাংলাদেশ থেকে তো আপনার আবৃত্তি অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে। নতুন কোনো পরিকল্পনা হচ্ছে কি? আপাতত আবৃত্তি অ্যালবামের কোনো পরিকল্পনা হচ্ছে না। তবে একাধিক অনুষ্ঠানের পরিল্পনা হচ্ছে। সামনে হয়তো অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আসব। আর ২০১৩ সালে বাংলাদেশ থেকে আমার প্রথম আবৃত্তি অ্যালবাম প্রকাশ হয়। এরপর বিভিন্ন সময় আবৃত্তি অনুষ্ঠানকে ঘিরে ৮/৯ বার বাংলাদেশে এসেছি। যতবার বাংলাদেশে আসি ভীষণ মুগ্ধ হয়। আমার শেকড় তো এই বাংলাদেশেই। আপনার দাদার বাড়ি তো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়? হ্যাঁ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে। এবার সময় কম থাকার কারণে সেখানে যাওয়া হচ্ছে না। এর আগে নবীনগরে গিয়েছিলাম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের আমন্ত্রণে সেখানে একটা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। তখন ওই সংগঠনের পরিচালক মনির ভাই আমাকে নবীনগর আমার দাদার ভিটা দেখার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। তিতাস আবৃত্তি সংগঠন থেকে আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ‘অদ্বৈতমেলা’য় অংশ নেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তখন যদি আসতে পারি, নবীনগর যাবার ইচ্ছা আছে। কলকাতায় আপনার কর্মব্যস্ততার গল্প শুনতে চাই? এখন টেলিভিশনের কাজ কিছুটা কমিয়ে দিয়েছি। সংসারে সময় দিতে হচ্ছে। এর ফাঁকে টেলিভিশনের সকালের একটা লাইভ প্রোগ্রাম করি। তা ছাড়া কলকাতায় এখন ইউটিউব কেন্দ্রিক অনেক অনুষ্ঠান হয়। সেখানে কিছু কাজ করি। ডাবিংয়ে কণ্ঠ দেই। আর কর্পোরেট অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করি। সংসারে সময় দিয়েই অন্য কাজগুলো করি। এখন সন্তান আছে, তাকে পড়ানোর দায়িত্বটা আমিই পালন করি। সন্তানকে সময় দেয়ার চেষ্টা করি। আগে যখন সংসারের ব্যস্ততা কম ছিল, তখন টেলিভিশনে অনেক কাজ করেছি। এখন কিছুটা কমিয়ে দিয়েছি। আপনাকে ধন্যবাদ। তোমাকেও ধন্যবাদ। বাংলাদেশের মানুষদের জন্য আমার ভালোবাসা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App