×

বিনোদন

মুখর বৃষ্টিতে ছায়ানটে শরৎ উৎসব

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০১৮, ১২:৫২ পিএম

মুখর বৃষ্টিতে ছায়ানটে শরৎ উৎসব
আশ্বিনের সকালের ঝুম বৃষ্টি ঝরছে বাইরে। এমন মুখর বৃষ্টিতে ছায়ানট মিলনায়তনের ভেতরে শিল্পীদের গানে, নাচের ছন্দে শরতের শেষ বেলায় শরৎ উৎসবে মেতে উঠেছেন সবাই। মেয়েদের শাড়িতে ছিল আকাশের নীল। খোঁপায় শিউলি ফুলের মালা। শরৎ-বন্দনায় কেটে গেল কয়েক ঘণ্টা। গতকাল শুক্রবার ছায়ানট রবীন্দ্রনাথের গানে গানে উদযাপন করল শরৎ ঋতুকে। ছায়ানট ভবনের প্রবেশপথ থেকে গানে আর নাচের ছন্দে শিল্পীরা আমন্ত্রণ জানান শ্রোতা-দর্শকদের ‘দেখো দেখো, দেখো শুকতারা আঁখি মেলে চায়’। মিলনায়তনে আয়োজনের শুরুতেই একক কণ্ঠে নুসরাত জাহান সাথী গেয়ে শোনান, ‘শুভ্র আসনে বিরাজ অরুণ ছটা মাঝে।’ এরপর বিক্রম দাস ‘আলোর অমল কমলখানি’ ও ও মাকছুরা আখতার গেয়ে শোনান ‘আমার রাত পোহালো’ গান দুটি। ছায়ানটের বড়দের দলের শিল্পীদের কণ্ঠে এরপরই শোনা গেল ‘তোমার মোহন রূপে কে রয় ভুলে’ গানটি। এই গানের সঙ্গে ছিল নৃত্যের পরিবেশনাও। সম্মেলক গানের পর আবারো একক গানের পালা। দীপ্র নিশান্ত গেয়ে শোনান ‘শরৎ-আলোর কমলবনে’, অনিন্দিতা বৃষ্টি ‘আমারে ডাক দিল কে ভিতর পানে’ ও অভিজিৎ দাসের কণ্ঠে শোনা গেল ‘আজি শরৎতপনে প্রভাত স্বপনে’ গানটি। ছায়ানটের ছোটদের দল এরপর গেয়ে শোনায় ‘আজ প্রথম ফুলের পাব প্রসাদখানি’ গানটি। এরপর দীপ্তি তালুকদার ও তাহমিদ ওয়াসিফ ঋভু একক কণ্ঠে গেয়ে শোনান, ‘হেলা ফেলা সারাবেলা’ ও ‘এবার অবগুণ্ঠন খোলো’। ছায়ানটের বড়দের দলের গাওয়া ‘কোন খ্যাপা শ্রাবণ ছুটে এল’ গানের সঙ্গে ছিল নৃত্যও। একক কণ্ঠে সেমন্তি মঞ্জরী ‘তবু মনে রেখো যদি দূরে যাই চলে’ ও চঞ্চল বড়াল ‘আমি চিনি গো চিনি তোমারে’ গেয়ে শোনান। ছায়ানটের বড় ও ছোটদের দল একসঙ্গে গেয়ে শোনায় ‘মেঘের কোলে রোদ হেসেছে’ গানটি। সঙ্গে ছিল নৃত্যও। সবশেষে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App