×

পুরনো খবর

‘মাস্টারমাইন্ড’ তারেক রহমান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০১৮, ১১:৩৫ এএম

‘মাস্টারমাইন্ড’ তারেক রহমান
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ছক করা হয় তারেক রহমানের হাওয়া ভবনে। তিনিই এ মামলার ‘মূল হোতা’। ভয়াবহ এই হামলার পেছনে বিএনপি নেতা সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের প্রত্যক্ষ ইন্ধন ও চক্রান্ত ছিল। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে হাওয়া ভবনসহ ১০টি স্থানে বৈঠক করা হয়। বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ হামলা ও চক্রান্তকারীদের হাওয়া ভবনে বৈঠকের ব্যবস্থা করেন। গ্রেনেড হামলার টার্গেট ছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে হত্যা করাই ছিল গ্রেনেড হামলার উদ্দেশ্য। আর এর ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিলেন তারেক রহমান। গতকাল একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণায় আদালতের পর্যবেক্ষণে উঠে আসা তিনটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে পৃথক দুটি মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে। আদালতের রায়ে বলা হয়, গুলশান থানার লালাসরাই মোজার রোড নং ১৩, ব্লক নং ডি, বাড়ি নম্বর ৫৩, বনানী মডেল টাউনের জনৈক আশেক আহমেদ, বাবা- আবদুল খালেক। তার বাসাটি হাওয়া ভবন নামে পরিচিত। ওই হাওয়া ভবন বিএনপি জামায়াত ঐক্য জোট সরকারের কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু ছিল কিনা? ওই ঘটনাস্থলে পলাতক আসামি তারেক রহমান অপরাধ সংঘটনের জন্য ষড়যন্ত্রমূলক সভা করে কিনা? ও জঙ্গি নেতারা তারেক রহমানের সঙ্গে বিভিন্ন সময় মিটিং করে কিনা? আদালতের রায়ে এই মামলায় ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে উঠে আসা বিএনপি নেতা তারেক রহমানের ফাঁসির আদেশ না হওয়ায় পুরোপুরি খুশি হতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। গতকাল আদালতের রায়ের পর সাংবাদিকদের কাছে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আক্ষেপ করে বলেন, এ হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে তারেক রহমানের বিষয়টি আদালতে সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণ হয়েছে। আমরা মনে করি, তারেক রহমানের ফাঁসি ছাড়া এই দন্ড পূর্ণাঙ্গ হয় না। এজন্য আমরা উচ্চ আদালতে যাব। তিনি বলেন, তারেক রহমান দুবার যাবজ্জীবনে দণ্ডিত হয়েছেন। আমরা ফাঁসির বিষয়টা পর্যালোচনা চাইব। আইনের দৃষ্টিতে মৃত্যুদণ্ড এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দুটিই সর্বোচ্চ সাজা। তারেক রহমানকে মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে কেন যাবজ্জীবন দেয়া হয়েছে, সে বিষয়ে বিচারক কোনো ব্যাখ্যা দিয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নে কাজল বলেন, পুরো জাজমেন্ট পাইনি। কেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে, কেন মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়নি, রায়ে সেটা নিশ্চয়ই জানা যাবে। এদিকে রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘হামলার মূল হোতা’ তারেকের মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত ছিল। তিনি তারেকসহ এ ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া তিন আসামির মৃত্যুদণ্ডের জন্য আপিল করার ইঙ্গিতও দিয়েছেন। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গতকাল ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। তিনি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের ফাঁসি এবং তারেক রহমান, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। বাকি ১১ আসামির বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App