×

অর্থনীতি

অধিকাংশ অর্থ পাচার ব্যাংক মাধ্যমেই

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০১৮, ০৩:২৮ পিএম

অধিকাংশ অর্থ পাচার ব্যাংক মাধ্যমেই
বাংলাদেশ থেকে যত টাকা পাচার হয়েছে, তার অধিকাংশই হয়েছে ব্যাংকের মাধ্যমে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যেসব পণ্য আমদানিতে কম শুল্ক দিতে হয়, বিশেষ করে মুলধনী যন্ত্রাংশ, শিল্পের কাঁচামাল এবং খুচরা যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে বেশি মূল্য দেখিয়ে অর্থ পাচার করা হয়। আবার সরকারি প্রণোদনা পেতে রপ্তানি পণ্যে বেশি মূল্য দেখানো হয়। এ জন্য তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যাংকিংয়ের সম্ভাব্য মানি লন্ডারিং ঠেকাতে সচেতনতা বাড়াতে হবে। গতকাল বুধবার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটরিয়ামে ‘মানি লন্ডারিং ভালনারেবিলিটিস ইন নিউ পেমেন্ট সিস্টেমস : বাংলাদেশ কনটেক্সট’ শীর্ষক কর্মশালায় এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধূরী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের পরিচালক (ট্রেনিং) অধ্যাপক ড. শাহ মো. আহসান হাবীব। তার নেতৃত্বে গবেষণা দলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন বিআইবিএমের সহকারী অধ্যাপক অন্তরা জেরীন, বিআইবিএমের প্রভাষক মো. ফয়সাল হাসান, এনবিআরের প্রথম সচিব সৈয়দ মুশফিকুর রহমান, বিকাশের চিফ এক্সটারনাল এন্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল (অব.) শেখ মো. মনিরুল ইসলাম, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এফএভিপি জাহিদ মনসুর, বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রব, খোন্দকার আলী কামরান আল জাহিদ, প্রদীপ পাল এবং মো. রশিদ। বিআইবিএমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অর্থায়নে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের আধিপত্য বেশি। ২০১১ সালে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রপ্তানি হয় ৭১ শতাংশ। সেই সময় রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে হয়েছিল ১৮ শতাংশ। অবশিষ্ট বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। ২০১৭ সালে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩ শতাংশ। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কমে দাঁড়িয়েছে পাঁচ শতাংশে। গবেষণা কর্মশালায় আরো বক্তব্য দেন বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা, পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলী, ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফারুক মাঈনুদ্দিন আহমেদ, সাউথইস্ট ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাঈনুদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক লীলা রশীদ, আইপে সিস্টেম লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাকারিয়া স্বপন, এনবিআরের প্রথম সচিব সৈয়দ মুশফিকুর রহমান প্রমুখ। অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা বলেন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও জনশক্তি নেই। এদিকে নজর দিয়ে ব্যাংকারদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, পুরো ব্যাংকিং ব্যবস্থা আইটিনির্ভর হয়ে যাচ্ছে। অধ্যাপক ইয়াছিন আলী বলেন, আইন করার সময় ব্যাংকিং অপারেশনে কোনো ক্ষতি না হয় সেদিকটি বিবেচনায় রাখতে হবে। লীলা রশীদ বলেন, আরো নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে কিছুটা সময় লাগবে। সমন্বিতভাবে কাজ করলে দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। সমাপনী বক্তব্যে বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধূরী বলেন, ব্যাংকিং ব্যবস্থা আরো সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য নতুন পেমেন্ট সিস্টেমের দিকে নজর দিতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App