×

বিনোদন

শেষ হলো এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৮, ১২:১৫ পিএম

শেষ হলো এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী
মাসের প্রথম দিন আন্তর্জাতিক মানের যে আয়োজনটি শুরু হয়েছিল পুরস্কার দেয়া-নেয়া ও বক্তৃতার মধ্য দিয়ে, মাসের শেষ দিন তা শেষ হলো নৃত্যের ছন্দে মুখর করে। ১৮তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর গতকাল রবিবার ছিল শেষ দিন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে বিকেলে মাসব্যাপী এই আয়োজনের সমাপনী হয়। সমাপনী আয়োজনে ছিল আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শুরুতে মিলনায়তনের সামনে শিল্পকলা একাডেমি নৃত্যশিল্পীদের অনন্য পরিবেশনা উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে। মিলনায়তনে প্রবেশের পরপরই শুরু হয় ‘মঙ্গল হোক এই শতকে মঙ্গল সবার’ গানের সঙ্গে একাডেমির নৃত্যশিল্পীদের নৃত্য পরিবেশনা। প্রদর্শনীর সমাপনী আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ১৯৮১ সালে বরেণ্য শিল্পী সৈয়দ জাহাঙ্গীরের পরিকল্পনায় শুরু হয়েছিল এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী। সেই ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠিত হলো আঠারতম আসরটি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে এই প্রদর্শনীর বৈশিষ্ট্য। শ্রীবৃদ্ধির ঘটার পাশাপাশি বৃদ্ধি পেয়েছে প্রদর্শনীর কলেবর। এবারের আয়োজনে দেশের তরুণ শিল্পীদের শক্তির পরিচয় পেয়েছি। সেই সঙ্গে বিদেশি শিল্পীদের শিল্প সম্ভারের সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে দেশের শিল্পীদের কাজ। এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী উপলক্ষে গড়ে ওঠা ভাস্কর্য পার্কটি স্থায়ীকরণসহ সংস্কৃতির বিকাশে বর্তমান সরকারের অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করে সংস্কৃতিমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় তৃণমূল পর্যায়ে সংস্কৃতি চর্চা বিকাশ ও সম্প্রসারণে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে ভাস্কর্য পার্ক নির্মাণ করেছি। জাতীয় .চিত্রশালা ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এটি বাস্তবায়িত হলে ভবিষ্যতে দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর আয়োজনটি আরো সুন্দর ও গুছিয়ে করা সম্ভব হবে। বিশে^র ৬৮টি দেশের চারুশিল্পীদের অংশগ্রহণে মাসব্যাপী ওই আয়োজনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় ৪৬৫ জন শিল্পীর ৫৮৩টি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হয়েছে। যেখানে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের ১৯৯ জন শিল্পী। তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন ১০৭ জন শিল্পী, প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন ১৩ জন মাস্টার পেইন্টার, পারফরমেন্স আর্টে ছিলেন ১৬ জন এবং বিশেষ আমন্ত্রণে অংশ নিয়েছেন ৬৩ জন শিল্পী। মোট ২৬৬ জন বিদেশি শিল্পী অংশ নেন আসরে, যাদের মধ্যে ২২৩ জন শিল্পী প্রতিযোগিতায় শিল্পকর্ম জমা দিয়েছিলেন। ২৯ জন বিশেষ আমন্ত্রণে অংশ নিয়েছিলেন এবং ১৪ জন পারফরমেন্স আর্টিস্ট তাদের শিল্পনৈপুণ্য প্রদর্শন করেন। ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় আঠারতম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী। স্বাগতিক বাংলাদেশসহ আয়োজনে অংশ নিয়েছে ৬৮টি দেশ। প্রদর্শিত হয়েছে দেশি-বিদেশি শিল্পীদের মোট ৩৬৮টি পেইন্টিং, প্রিন্ট ও ফটোগ্রাফি, ৩৩টি ভাস্কর্য, ৫২টি ইলাস্ট্রেশন আর্ট এবং ৩০ জন পারফরমেন্স আর্টিস্টের শিল্পনৈপুণ্য প্রদর্শনী। সব মিলিয়ে দেশি-বিদেশি ৪৬৫ শিল্পীর ৫৮৩টি শিল্পকর্ম উপস্থাপিত হয়েছে প্রদর্শনীতে। এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর যাত্রা শুরু হয় ১৯৮১ সালে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App