×

জাতীয়

সংস্কার কাজ ফেলে রাখায় যান চলাচলে দুর্ভোগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৩:১৬ পিএম

সংস্কার কাজ ফেলে রাখায় যান চলাচলে দুর্ভোগ
পটুয়াখালীর লেবুখালী-দুমকি-বাউফল সড়কের জনতা কলেজ থেকে তালতলী বাজারসংলগ্ন ব্রিজ পর্যন্ত মাত্র ২ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজ ফেলে রাখায় যানবাহন চলাচল ও যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জানা যায়, লেবুখালী থেকে চরগরবদি পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার দূরত্বের উভয় দিকে প্রায় সাড়ে ১৫ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মাঝপথের ২ কিলোমিটারের পুরনো কারপেটিং তুলে পাথর-বালুর মেকাডাম দিয়ে ফেলে রাখায় রোদ-বর্ষায় যান চলাচলে অসুবিধা, যাত্রীদের কাদা পানি ও ধুলাবালুর যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হতে হয়। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, জেলার লেবুখালী বিশ্ববিদ্যালয় স্কয়ার থেকে দুমকি উপজেলা পরিষদের পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত কারপেটিং দ্বারা সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অপরদিকে চরগরবদি ফেরিঘাট থেকে তালতলী চৌরাস্তা পর্যন্ত সংস্কার করা হয়েছে। মাঝপথের জনতা কলেজ থেকে তালতলী বাজারসংলগ্ন চৌরাস্তা পর্যন্ত ২ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজ পড়ে আছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, চলতি বছরের মে মাসে সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। শুরু থেকেই কাজের শ্লথগতি ছিল। খন্ড খন্ড করে রাস্তার কারপেটিং তুলে মেকাডাম দিয়ে ঠিকাদারের ইচ্ছে মতো কাজ করা হয়েছে। এভাবে কয়েক দফা কাজ ফেলে রেখে উভয় দিকের প্রায় ১৫ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হলেও মাঝামাঝি ওই দুই কিলোমিটার রাস্তার কাজ ৩-৪ মাস ধরে ফেলে রেখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি মালামাল নিয়ে চলে গেছে। এদিকে, বর্ষায় পানি জমে বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচলে মারাত্মক অসুবিধা দেখা দেয়। আবার রোদে শুকিয়ে ধুলাবালুতে একাকার হয়ে যায়। এ অবস্থায় ঠিকাদারের লোকজন মাঝে মধ্যে গর্ত ভরাট করে দিলেও তাতে দুর্ভোগ লাঘব হচ্ছে না। সময় যত গড়াচ্ছে জনদুর্ভোগ ততই বাড়ছে। অতি দ্রুততার সঙ্গে সড়কের সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা দরকার। এ বিষয়ে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নিজামউদ্দিন জানান, বর্ষার কারণে রাস্তার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে বাকি অংশটুকুর কাজ চলতি মাসের মধ্যেই শেষ করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App