×

জাতীয়

কাউনিয়ার পাটপণ্য শিল্পীরা স্থায়ী বাজার চান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৩:১২ পিএম

কাউনিয়ার পাটপণ্য শিল্পীরা স্থায়ী বাজার চান
‘হামরা পাট দিয়া দশ রকমের সোন্দর পণ্য বানাই আর সেগুলা শোভা পায় শহরের বড় লোকদের ঘরে, কোনো কোনো সময় হামার পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে আবার কখনো কেউ নেয় না। তখন হামার মনোত খুব কষ্ট হয়, হামরা চাই হামার পণ্যের স্থায়ী বাজার’ আক্ষেপের সঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন উপজেলার পাটপণ্য তৈরির দলনেত্রী পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামের রাজিয়া সুলতানা। তিনি বলেন, সংসার ধর্ম পালনের পাশাপাশি অবসর সময়ে নানা আল্পনায় গ্রামবাংলার মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় উপকরণ তৈরি করে বাড়তি আয়ের পথও খুঁজে নিয়েছিল। কিন্তু তাদের তৈরি পণ্যের স্থায়ী ও নির্দিষ্ট বাজার না থাকায় এখন তারা হারাতে বসেছেন বুক ভরা আশা আর স্বপ্ন। একই কথা বললেন, রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার পাঞ্জরভাঙ্গা, মাল গোডাউন, নিজপাড়া গ্রামের গৃহিণী আয়শা, মমেনা, রাশেদা, আমেনা, মর্জিনা, শরীফা, আলবেদা ও কুলসুমরা। তারা জানান, নিজ হাতে পাটের দৃষ্টিনন্দন কারুপণ্য প্রথমে বড় আশা জাগালেও এখন তারা ভালো নেই। কারণ দুই বছর আগেও তাদের পণ্যের ক্রেতা ছিল। ক্রেতাদের ব্যবস্থা করে দিত বিভিন্ন এনজিও। কিন্ত এখন সেই এনজিও নেই, ক্রেতাও নেই। তাই তারা হতাশ জীবনযাপন করছেন। পাট পণ্য তৈরির দলনেত্রী রাজিয়া সুলতানা জানান, ৩ বছর আগে এনজিও কেয়ারের ব্রিফ এবং এনজিও সিডের কাছে পাটজাত পণ্য তৈরির প্রশিক্ষণ নেন। পরে মাল গোডাউন, নিজপাড়া, গদাই ও পাঞ্জর নিজের গ্রামের ৮০ জন গৃহিণীকে নিয়ে দল গঠন করেন এবং তাদের কাজ শিখিয়ে ব্যাগ, কারপেট, মানিব্যাগ, পাপোশ, স্যান্ডেলসহ ১০ রকমের দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য তৈরি শুরু করেন। সেই সময় এনজিওরা ক্রেতা সংগ্রহ করে দিত। তাই প্রত্যেকেই মাসে দুই থেকে তিন হাজার টাকা রোজগার করত। কিন্তু এখন তারা নেই। তাই তাদের তৈরি পণ্যের ক্রেতাও পাওয়া যাচ্ছে না বলে তারা হতাশ হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে থেমে গেছে তাদের কর্মময় জীবনের চঞ্চলতা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App