×

জাতীয়

রাস্তার দুপাশে মাটি নেই খানাখন্দে দুর্ভোগ চরমে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৩:২৬ পিএম

রাস্তার দুপাশে মাটি নেই খানাখন্দে দুর্ভোগ চরমে
রাস্তার দুপাশে মাটি নেই খানাখন্দে দুর্ভোগ চরমে
সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক সড়কে রাস্তার অধিকাংশ জায়গায় দুপাশে নেই মাটি। রাস্তাটি ভেঙে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। আঞ্চলিক এ মহাসড়কটি ভাঙা থাকায় প্রতিনিয়তই ভোগান্তি আর দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ এবং যানবাহন চালকরা। জানা যায়, সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কটির গোবিন্দগঞ্জ এলাকা থেকে নীলপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অধিকাংশ জায়গায় রাস্তার দুপাশে নেই মাটি। সড়কের দুপাশে মাটি না থাকায় এবং মূল সড়কে দুপাশে এক থেকে দেড় ফুট, কোনো কোনো জায়গায় ৬ ফুট বা তারও উপরে নিচু হওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। সড়ক বিভাগের তত্ত¡¡াবধানে গর্তগুলোতে ইট ফেললেও স্বল্প সময়ের মধ্যেই আবার তা আগের অবস্থায় ফিরে যায়। প্রতিনিয়ত ছোট-খাটো দুর্ঘটনা ছাড়াও যানবাহন বিকল হয় এ রাস্তায়। সম্প্রতি সরজেমিন দেখা গেছে, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলাধীন, সুনামগঞ্জ সদর ও ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকা থেকে নীলপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার রাস্তার দুপাশে বিটুমিনের তৈরি রাস্তা ছিল। কিন্তু মূল সড়কে মাটির অংশ এক থেকে দেড় ফুট, দুই ফুট এবং কোনো কোনো জায়গায় তিন ফুট নিচু হওয়ায় অনেক জায়গায় রাস্তার প্রশস্ততা কমে গেছে। অনেক স্থানে দুপাশে মাটি নেই, ভেঙে গেছে। পাশাপাশি আঞ্চলিক মহাসড়কটির গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে থেকে ধারণ বাজার এলাকা পর্যন্ত, জাউয়া বাজার পয়েন্টসহ কাড়ারাই পয়েন্ট পর্যন্ত, দামোধরতপী নোয়াগাঁও থেকে পাগলা বাজার পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে গাড়ি চালানো বা ক্রসিংয়ের সময় একটু অসতর্ক থাকলেই এসব পয়েন্টে গাড়ি উল্টে যাচ্ছে। অন্যদিকে সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের মূল সড়ক থেকে মাটির অংশ নিচু হওয়ায় বাস, ট্রাক, লরি, সাইকেল, মোটরসাইকেল, ভ্যান, রিকশাসহ হালকা যানবাহনের চালকরা দ্রæতগতির বাস ও ট্রাককে পাশ দিতে গিয়ে নিচু জায়গায় যানবাহন উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনা এবং হতাহতের ঘটনা ঘটছে। সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসসহ অন্তত সহ¯্রাধিক বাস, ট্রাক, লরি সুনামগঞ্জ থেকে সিলেট-ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে মালামাল নিয়ে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে থাকে। আব্দুল মজিদ কলেজের অধ্যক্ষ মো. রবিউল ইসলাম বলেন, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকি। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে খুবই খারাপ অবস্থা। ৪-৫ মাস ধরে রাস্তাটিতে অগণিত গর্ত এবং কোথাও কোথাও ছোট ছোট খালে পরিণত হয়েছে। এ কারণে সড়কটি দিয়ে যানবাহনে চলাচল করতে খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হয়। স্থানীয় সাংবাদিক সোহেল তালুকদার বলেন, সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের দুপাশে কিছু দিন আগে বিভিন্ন পয়েন্টে যৎসামান্য মাটি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টিতে ধুয়ে যাওয়ায় এখন আর রাস্তার পাশে মাটি নেই। যেটুকু রয়েছে তা এখন কর্দমাক্ত। রাস্তাটির জন্য স্থায়ী মেরামত করা প্রয়োজন। সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের কিছু কিছু অংশে মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। আশা করি, অল্প দিনের মধ্যে রাস্তায় খানাখন্দ থাকবে না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App