×

বিনোদন

তৃতীয় লিঙ্গের শিল্পী জান্নাতের একক সঙ্গীত সন্ধ্যা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০১:১৮ পিএম

তৃতীয় লিঙ্গের শিল্পী জান্নাতের একক সঙ্গীত সন্ধ্যা
জান্নাতের বাবা ছিলেন বাউল শিল্পী। সেখান থেকেই গানের প্রতি আগ্রহ তার। এই গান নিয়েই সমাজের আর ১০টা শিশুর মতো বেড়ে উঠতে থাকেন জান্নাত জাহান। বহমান সময়ের পথ ধরে একসময় তার পরিচয় দাঁড়ায় তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ বা হিজড়া। যে কারণে তাকে শিকার হতে হয় সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির আর ঠেলতে হয় নানা বাধার পাহাড়। এসব বঞ্চনা আর বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে তিনি এগিয়ে গেছেন দৃঢ প্রত্যয়ে। সেই পথকে আরো একধাপ এগিয়ে নিতে তারই কণ্ঠের গান নিয়ে আয়োজন করা হলো ‘একক সঙ্গীত সন্ধ্যা’। তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজড়া সম্প্রদায়ের শিল্পী জান্নাতের প্রথম এ একক সঙ্গীত সন্ধ্যার শিরোনাম ‘জান্নাত গাইছে’। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গ্রিন রোডের বিন্দুধারীতে অনুষ্ঠিত হয় এই সঙ্গীত সন্ধ্যা। এতে রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুল গীতি ও আধুনিক গানসহ বিভিন্ন সঙ্গীত পরিবেশন করেন জান্নাত। অনুষ্ঠানের শুরুতেই দর্শক ও অতিথিদের উদ্দেশে অভিব্যক্তি প্রকাশ করে তিনি বলেন, হিজড়া হলেও আমি মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে চাই না। গান দিয়ে জীবনে প্রতিষ্ঠা পেতে চাই। একজন স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে সমাজে সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার চাই। রি-থিংক সেই প্ল্যাটফর্মটা আমাকে তৈরি করে দিয়েছে, এ জন্য তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি চাই অন্য হিজড়ারাও দ্বারে দ্বারে ঘোরা বাদ দিয়ে সমাজে কিছু করে প্রতিষ্ঠিত হোক। প্রসঙ্গত, হিজড়া সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়ন এবং সদাচরণ প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘রি-থিংক’। একজন হিজড়া যে কাজে পারদর্শী বা আগ্রহী, তাকে সেই কাজ শেখানোর মধ্য দিয়ে স্বাবলম্বী করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে তারা। তারই ধারাবাহিকতায় সঙ্গীতে আগ্রহী জান্নাতকে ছয় মাস ধরে সঙ্গীতে প্রশিক্ষণ দেয় ‘রি-থিংক’। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান : ১৮তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে প্রতি শুক্রবার শিশুদের জন্য বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চিত্রাঙ্কন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা। সাংস্কৃতিক আয়োজনে ছিল মাল্টিমিডিয়া পাপেটের পরিবেশনায় পাপেট শো, কল্পরেখার পরিবেশনায় আবৃত্তি, উলফাৎ কবিরের পরিবেশনায জাদু প্রদর্শনী এবং দেবাংশু হুরের নির্দেশনায় ও বার্ণাডেট শুভ্রার উপস্থাপনায় মাইম ‘আত্মমুক্তি’। এ ছাড়া সাংস্কৃতিক পরিবেশনা শুরুর আগে শিশু কর্নারে চিত্রাঙ্কনে মেতে ওঠে ওই শিশুরা। উল্লেখ্য, ১৮তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী ২০১৮-এর প্রদর্শনী চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনীর দরজা খোলা থাকবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App