×

জাতীয়

পীরগাছায় পানিবন্দি পাঁচ হাজার পরিবার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৪:১৫ পিএম

পীরগাছায় পানিবন্দি পাঁচ হাজার পরিবার
রংপুরের পীরগাছায় তিস্তা নদীতে অপরিকল্পিতভাবে সড়ক নির্মাণের ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় ৫০ হাজার হেক্টর জমির উঠতি ফসল বিনষ্ট এবং ১০টি গ্রামের ৫ হাজার পরিবার দুমাস ধরে পানিবন্দি রয়েছেন। এরই প্রতিবাদে গত শুক্রবার বিকেলে তিস্তা নদীর ২নং বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ভক্তের বাজারে সমাবেশ করেছে পানিবন্দি হাজারো পরিবার। এ সময় তারা জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী পরিকল্পনাসহ নানা দাবি তুলে ধরে প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দেন। অন্যথায় উপজেলা পরিষদ ঘেরাও করার কথা বলেন। জানা যায়, উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের তিস্তা নদীর সাহেব বাজার ৩নং বেড়িবাঁধ থেকে অপরিকল্পিতভাবে একটি সড়ক নির্মাণ করে দেশের শীর্ষ একটি প্রতিষ্ঠান। এর ফলে গত দুমাস আগে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে ছাওলা ইউনিয়নের শিবদেব চর, জুয়ান সদরা, পূর্ব ছাওলা, জুয়ানের চর, দক্ষিণ গাবুড়া, আমিনপাড়া, বৈরাগীপাড়াসহ ১০টি গ্রামের প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এ ছাড়া ওই এলাকার প্রায় ৫০ হাজার একর জমির উঠতি ফসল পানির নিচে তলিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। তখন থেকে ওই সব এলাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে পানিতে পড়ে শিশু মৃত্যু বেড়ে যাওয়া, কৃষিপণ্য বিনষ্ট, অসুস্থ্য ব্যক্তিদের চিকিৎসাসেবায় বিড়ম্বনাসহ নানা সমস্যায় পড়েন এলাকাবাসী। এরই প্রতিবাদে গত শুক্রবার বিকেলে তিস্তা নদীর ২নং বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ভক্তের বাজারে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সাবেক ইউপি সদস্য শরফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন, জাতীয় পার্টির ছাওলা ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সামছুজ্জোহা চঞ্চল, আইয়ুব হোসেন, নয়ন মিয়া, শহিদুর রহমান প্রমুখ। এ সময় পূর্ব শিবদেব গ্রামের নকিব উদ্দিন (৪০), মোহাম্মদ আলী প্রামাণিক (৭৫), ছাত্তার মুন্সী (৭০) মোসলেম উদ্দিনসহ (৭৫) আরো অনেকে জানান, একটি প্রতিষ্ঠান সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণের জন্য অপরিকল্পিতভাবে ৩নং বেড়িবাঁধ হতে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার লাটশালা পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করায় আমাদের পানিবন্দি হয়ে থাকতে হচ্ছে। নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি আমরা। দ্রæত এই সমস্যা থেকে মুক্তি চাই। সমাবেশে বক্তারা জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, তিস্তা নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ, পানির গতিপথ ঠিক রাখার জন্য নদী ড্রেজিং ব্যবস্থাকরণ, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আব্দুল হাকিমের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাউজুল কবির জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি। দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App