×

জাতীয়

অঢেল সম্পদের মালিক রোহিঙ্গা মর্জিনা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৪:৩৯ পিএম

অঢেল সম্পদের মালিক রোহিঙ্গা মর্জিনা
মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের অনেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে পাড়ি জমাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে। তারা ঢাকা চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে গড়ে তুলছেন স্থায়ী আবাস। স্থানীয় প্রভাবশালী মহলকে ম্যানেজ করে সংগ্রহ করছেন বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র। তেমনই একজন মিয়ানমারের মংডু লম্বাঘোনা গ্রাম থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা আলমরজান। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে কয়েক মাস উখিয়ার কুতুপালংয়ের মধুর ছড়া ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়ার পর পাড়ি জমিয়েছে চট্টগ্রাম শহরে। সেখানে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলকে ম্যানেজ করে সংগ্রহ করেছেন বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র। নাম বদলে হয়েছেন রোহিঙ্গা আলমরজান থেকে বাংলাদেশি মর্জিনা। বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্রধারী রোহিঙ্গা মর্জিনার এখনো যাতায়াত আছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক হুন্ডি ও চোরাই স্বর্ণ বাণিজ্যের বিস্তর অভিযোগ। ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, মর্জিনার ৩ মেয়ে ও ৩ ছেলের মধ্যে এক মেয়ের অবস্থান এখনো কুতুপালং ক্যাম্পে ডি ৫-এ। তার নাম সমিরা। মেয়ের জামাই ইয়াছিনকে দিয়েই মর্জিনা চালিয়ে যাচ্ছেন ক্যাম্পভিত্তিক হুন্ডি ও চোরাই স্বর্ণ বাণিজ্য। মর্জিনার দেবর মধুর ছড়া ক্যাম্প বাজারে বিকাশের দোকানদার রোহিঙ্গা সাইদুর জানান, তার ভাই আবু সিদ্দিক বিদেশে রয়েছেন। তার ভাবি আলমরজান (মর্জিনা) ৫ ভাইপো ভাইজিসহ চট্টগ্রামের কালামিয়া বাজারে ভাড়া বাসায় রয়েছেন। তবে তিনি এখন মর্জিনা নামেই ক্যাম্পে পরিচিত। তবে ভাবি প্রায় সময় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আসা যাওয়া করেন। ভাইপো ইসফাতুর রহমানের নামে রয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রেশন কার্ড। যদিও এই রেশন কার্ড দিয়ে এখন আর রেশন তোলা হয় না। জানা যায়, চট্টগ্রামে ভাড়া বাসায় অবস্থান করে মেয়ের জামাই ইয়াছিনের মাধ্যমে মর্জিনা গড়ে তুলেছেন ক্যাম্পভিত্তিক হুন্ডি ও চোরাই স্বর্ণ ব্যবসার সিন্ডিকেট। এ সব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ক্যাম্পে কোটি কোটি টাকার হুন্ডি লেনদেনের পাশাপাশি চোরাই স্বর্ণ বাণিজ্য করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে কোটি টাকার মালিক বনে গেছে মর্জিনা। চট্টগ্রামে নামে-বেনামে রয়েছে একাধিক একাউন্ট। এ ব্যাপারে রোহিঙ্গা মর্জিনার মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে তিনি রোহিঙ্গা স্বীকার করলেও হুন্ডি ও স্বর্ণ বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করেন। চট্টগ্রাম ও কুতুপালংয়ে তাদের সঙ্গে প্রভাবশালী ও প্রশাসনের কতিপয় ব্যক্তিদের সঙ্গে নাকি সখ্য থাকায় বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছেন হুন্ডি ও চোরাই স্বর্ণ চোরাচালান ব্যবসা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App