×

অর্থনীতি

২০২১ সালে মাথাপিছু আয় হবে দুই হাজার ডলারের বেশি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৪:১৬ পিএম

২০২১ সালে মাথাপিছু আয় হবে দুই হাজার ডলারের বেশি
বিশ্বে আর কোনো দেশ এলডিসিতে উন্নীত হওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি সূচক এক সঙ্গে না পারলেও আমরা একসঙ্গে প্রতিটি সূচক পার করেছি। এই সরকার অব্যাহত থাকলে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। গতকাল রবিবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে ফ্রেডরিখ নিউম্যান ফাউন্ডেশন (এফএনএফ) ও এফবিসিসিআইর পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক ফর পোস্ট এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন অব বাংলাদেশ : বিজনেস প্রসপেকটিভ শীর্ষক ডায়ালগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এসডিজির প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ। এ ছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইর সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ, এফএনএফের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. নাজমুল হোসাইন, ডিনেটের সিইও ড. অনন্য রায়হান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। প্যানেল ডিসকাশন সঞ্চালনা করে এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ওয়ার্ল্ড ইকোনমি ফোরামে বাংলাদেশের প্রশংসা করা হচ্ছে। আমাদের অর্থনীতি দিন দিন এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশের এই উন্নয়ন কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না। আমরা এখন বিশ্বে মর্যাদাশীল দেশ। তাই ব্যবসা বাণিজ্যকে আরো সহজ করতে হবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ব্যবসাবান্ধব, জনবান্ধব ও শ্রমিকবান্ধব। তাই শ্রমিকের মজুরি বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বহির্বিশ্বে আরএমজি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি না হলেও দেশের প্রেক্ষাপটে শ্রমিকের মজুরি বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এই মজুরি যাতে ব্যবসায়ীরা দিতে পারেন এ বিষয়ে যদি সরকারকে সহায়তা করতে হয় তা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা ব্যবসায়ীদের ২৫ শতাংশ ক্যাশ ইনসেনটিভ দিয়েছি। রপ্তানি উৎসাহিত করতে এবারো নতুন ৯ ধরনের পণ্যকে ক্যাশ ইনসেনটিভে যুক্ত করেছি। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের সোর্স ট্যাক্স কমিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে আগামীতে আমরা ক্ষমতায় গেলে ডুয়িং বিজনেসের সূচক ১শর নিচে নামিয়ে আনবেন বলেও ঘোষণা দেন বাণিজ্যমন্ত্রী। স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, এক সময় দাতাগোষ্ঠীর হিসাব নিয়ে বাজেট প্রণয়ন করা হতো। আজ আমরা বাজেট প্রণয়নের আগে ব্যবসায়ীরা কী পরিমাণে টেক্স জেনারেট করতে পারবেন সে হিসাব করে বাজেট প্রণয়ন করা হয়। আমরা সাহায্য নির্ভর অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে এসেছি। আগামী ২০৩০ সালে বাংলাদেশ ২৮তম অর্থনীতির দেশে হবে। প্রাইভেট সেক্টরে সরকারের জটিলতা নিরসন করে সহায়তা অব্যাহত থাকলে এই সেক্টর এ দেশকে উন্নত দেশে নিয়ে যাবে। মূল প্রবন্ধে ড. আতিউর রহমান বলেন, পদ্মা সেতু ও পায়রাবন্দর বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের জিডিপি আরো ১.২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। চীন ও আমেরিকার এই দ্বন্দ্বের এডভানটেজ আমাদের নিতে হবে। দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের পণ্যের বাজার তৈরি করতে হবে। শুধু ভারতের ১ শতাংশ আমদানি বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিত করতে পারলে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হবে। নতুন উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে জব মার্কেট তৈরি করতে হবে। বর্তমানে শুধু এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের কারণে প্রায় ২৭ লাখ জব তৈরি হয়েছে। এলডিসি উত্তরণে বিমা, শেয়ারবাজার ও বন্ড মার্কেটকে শক্তিশালী করতে হবে। বর্তমানে কৃষির অগ্রগতি হয়েছে, তবে এই কৃষির উৎপাদন দিগুণে নিয়ে যেতে হবে। বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, আমাদের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে তা কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশের উন্নয়নে নারীদেও ভ‚মিকা অনেক বেশি। কৃষি থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা হিসেবে নারীদেও ভূমিকা রয়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, স্কিল ডেভেলপমেন্টের বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। এ ছাড়া ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড কাজে লাগাতে সরকারকে সহায়ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানান এই গবেষক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App