×

জাতীয়

স্কুলছাত্রী তাসফিয়া আত্মহত্যা করেছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:১২ পিএম

স্কুলছাত্রী তাসফিয়া আত্মহত্যা করেছে
চট্টগ্রামের স্কুলছাত্রী তাসফিয়া আমিন আত্মহত্যা করেছেন বলে চ‚ড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল রবিবার আদালতে চ‚ড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) স্বপন কুমার সরকার। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাসফিয়া আমিনের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। তাকে হত্যা কিংবা যৌন নির্যাতনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রতিবেদনে ছয় আসামিকে অব্যাহতি দেয়ারও সুপারিশ করা হয়। তবে এ প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দিবে বলে জানিয়েছেন তাসফিয়ার পরিবার। তাসফিয়ার মা নাঈমা আমিন সাংবাদিকদের বলেন, আমার মেয়ে শুধু শুধু কেন পানিতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করবে। এটা কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় না। আমরা এই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দিব। এদিকে নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (বন্দর) আসিফ মহিউদ্দিন ভোরের কাগজকে বলেন, ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন চ‚ড়ান্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাসফিয়া পানিতে ডুবে মারা গেছেন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন, ভিসেরা প্রতিবেদন এবং সাক্ষীদের দেয়া তথ্য ও সার্বিক পরিস্থিতি তদন্ত করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি তাসফিয়া আত্মহত্যা করেছেন। তিনি বলেন, ১ মে রাতে তাকে পানিতে নামতে দেখেছেন সাক্ষীরা। পরে চিৎকারের শব্দ হলে সাক্ষীরা পানিতে নেমে তাসফিয়াকে খুঁজে পাননি। পরদিন সকালে তার লাশ পাওয়া যায়। ভিসেরা রিপোর্টে তাসফিয়ার শরীরে বিষক্রিয়ার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি, ধর্ষণের কোনো প্রমাণও নেই। আসামিদের রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেও হত্যার কোনো প্রমাণ মিলেনি। গত ২ মে নগরীর পতেঙ্গা কর্ণফুলী নদী তীর থেকে সানশাইন গ্রামার স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী তাসফিয়া আমিনের (১৬) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কিন্তু তাসফিয়ার মৃত্যু কিভাবে হয়েছে, এখন পর্যন্ত তা জানতে পারেনি পুলিশ। সেদিন রাতেই তাসফিয়ার বন্ধু আদনান মির্জাকে (১৬) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, গত ১ মে বিকেলে তাসফিয়া নগরীর ওআর নিজাম রোডের বাসা থেকে বেরিয়ে গোলপাহাড় মোড়ে চায়না গ্রিল নামে একটি রেস্টুরেন্টে আদনানের সঙ্গে দেখা করতে যায়। পুলিশের কাছে থাকা সিসিটিভি ফুটেজে তাসফিয়া ও আদনানকে চায়না গ্রিল রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে পৃথক দুটি অটোরিকশায় করে চলে যেতে দেখা যায়। তাসফিয়ার মরদেহ উদ্ধারের পর ৩ মে তার বাবা মোহাম্মদ আমিন বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন আদনান মির্জা, সানশাইন গ্রামার স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র শওকত মিরাজ, এসএসসি পরীক্ষার্থী আসিফ মিজান, আশেকানে আউলিয়া ডিগ্রি কলেজের এইচএসসির ছাত্র ইমতিয়াজ সুলতান ইকরাম এবং কথিত যুবলীগ নেতা মো. ফিরোজ ও তার সহযোগী সোহায়েল ওরফে সোহেল। মামলাটি প্রথমে পতেঙ্গা থানা পুলিশ তদন্ত করে রহস্যের কোনো ক‚লকিনারা করতে পারেনি। পরে নগর গোয়েন্দা পুলিশকে মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App