×

জাতীয়

এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ১২ জনকে দুদকে তলব

Icon

কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৬:৫২ পিএম

এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ১২ জনকে দুদকে তলব
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোরশেদ খানের সঙ্গে যোগসাজসে আরব বাংলাদেশ ব্যাংকের (এবি ব্যাংক) ৩৮৩ কোটি ২২ লাখ ১০ হাজার ৩৬৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হকসহ পরিচালনা পর্ষদের ১২ পরিচালককে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক সূত্র জানায়, ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক, পরিচালক ফিরোজ আহমেদ, সাবেক পরিচালক এম এ আউয়াল, প্রফেসর ডা. ইমতিয়াজ হোসেনকে আগামী ১ অক্টোবর তলব করা হয়েছে। পরিচালক শিশির রঞ্জন বোস, পরিচালক সৈয়দ আফজাল হাসান উদ্দীন, সাবেক পরিচালক মিশাল কবির ও সাবেক পরিচালক ফাহিমুল হককে ২ অক্টোবর তলব করা হয়েছে। একই বিষয়ে সাবেক পরিচালক মেজবাহুল হক, আনোয়ার জামিল সিদ্দিকী, সাবেক পরিচালক বিবি সাহা রায় ও সাবেক পরিচালক জাকিয়া শাহরুদ খানকে তলব করা হয়েছে ৩ অক্টোবর। সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুদকের উপ-পরিচালক সামছুল আলম স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে অভিযুক্তদের তলব নোটিশ জারি করে দুদক। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৮ জুন এ বিষয়ে রাজধানীর বনানী থানায় প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেডকে লাভবান করার অসৎ উদ্দেশ্যে জামানতবিহীন ব্যাংক গ্যারান্টি ইস্যু ও পরবর্তীতে উক্ত ব্যাংক গ্যারান্টির বিপরীতে প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড কর্তৃক আটটি প্রতিষ্ঠান থেকে গৃহীত ঋণ সুদসহ এবি ব্যাংক মহাখালী শাখার সর্বমোট ৩৮৩ কোটি ২২ লাখ ১০ হাজার ৩৬৩ টাকা পরিশোধের মাধ্যমে আত্মসাৎ করার অভিযোগে সামসুল আলম বাদী হয়ে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই মামলার তদন্তের স্বার্থেই এদের তলব করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক। এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর এই মামলায় মোরশেদ খানকে ১৮ সেপ্টেম্বর তলব করেছে দুদক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, মোরশেদ খান ও অন্যরা প্রতারণা, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে পরস্পরের যোগসাজসে এবি ব্যাংকের মহাখালী শাখার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (বিটিএল) নামে টেলিকম সেবা পরিচালনার লাইসেন্স পায় বর্তমান সিটিসেল। পরের বছর হংকং হাচিসন টেলিকমিউনিকেশন লিমিটেড এ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করলে বিটিএল নাম বদলে হয় হাচসন বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (এইচবিটিএল)। ১৯৯৩ সালে মোরশেদ খানের মালিকানাধীন প্যাসিফিক মটরস ও ফারইস্ট টেলিকম মিলে এইচবিটিএল-এর শেয়ার কিনে নিলে এ কোম্পানির মালিকানায় পরিবর্তন আসে। কোম্পানির নাম বদলে হয় প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড। প্যাসিফিক মটরস যখন সিটিসেলের মালিকানায় আসে, মোরশেদ খান তখন মন্ত্রীর পদমর্যাদায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিনিয়োগ বিষয়ক বিশেষ দূতের দায়িত্বে। আর এইচ এম এরশাদ সরকারের সময়ে সিটিসেল যখন লাইসেন্স পায়, মোরশেদ খান তখন ছিলেন জাতীয় পার্টির কোষাধ্যক্ষ। একমাত্র অপারেটর হওয়ার সুযোগে সিটিসেল বিএনপি সরকারের সময়ে একচেটিয়া ব্যবসা করে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর আরও কোম্পানিকে মোবাইল ফোন সেবার লাইসেন্স দেওয়া হলে সেই একচেটিয়া ব্যবসার অবসান ঘটে। এরপর ধুঁকতে থাকা এই কোম্পানিতে ২০০৪ সালে বিনিয়োগ করে সিঙ্গাপুরের সিংটেল। কিন্তু ব্যবসার আর প্রসার ঘটেনি। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ কোম্পানির ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক মোরশেদ খানের প্যাসিফিক মোটরস লিমিটেড।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App