×

বিনোদন

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র আবৃত্তি সংঘের পরিবেশনা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৪:৫১ পিএম

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র আবৃত্তি সংঘের পরিবেশনা
একজন স্বপ্নের ফেরিওয়ালা, স্বপ্ন ফেরি করেন, বলেন মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। কষ্টের ফেরিওয়ালা অন্যজন। লাল কষ্ট, নীল কষ্ট, পাথরচাপা সবুজ ঘাসের সাদা কষ্ট আর মাল্টিকালার চারুকষ্ট ফেরি করে বেড়ান। এদের একজন আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। অন্যজন পাঠক নন্দিত কবি হেলাল হাফিজ। গত ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এক মঞ্চে অতিথি তারা দুজন। কেন্দ্রের আলোর ইশকুলের অন্যতম কর্মসূচি আবৃত্তি সংঘের অষ্টম আবর্তন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সাজানো হয় কবি হেলাল হাফিজের কবিতায়। কেন্দ্রের মূল মিলনায়তনে হয় অনুষ্ঠানটি। যে জলে আগুন জ্বলে শিরোনামে আবৃত্তি প্রযোজনাটি গ্রন্থণা ও নির্দেশনা দেন সংঘের সিনিয়র সদস্য ইশরাত রহমান নাদিয়া। নির্দেশনা উপদেষ্টা ছিলেন বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী শিমুল মুস্তাফা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি হেলাল হাফিজ ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। আবৃত্তি সংঘের সদস্যরা তাদের একক ও যৌথ পরিবেশনায় তুলে ধরেন কবির সুবিখ্যাত এখন যৌবন যার, মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়, কথা ছিল একটি পতাকা পেলে, আমার জীবন ভালোবাসাহীন গেলে, পরাণের পাখি আমার, আমার কষ্টেরা বেশ ভালোই আছেন, কষ্ট নেবে কষ্টসহ অনেকগুলো কবিতা। আবৃত্তি সংঘের সদস্যদের মনোজ্ঞ পরিবেশনার পর ছিল আলোচনা পর্ব। কবি হেলাল হাফিজ বলেন জীবনভর তিনি অর্থবিত্ত নয়, মানুষ জমিয়েছেন। পাঠকদের অকুণ্ঠ ভালোবাসায় তিনি ধন্য। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কবি আশা প্রকাশ করেন, অনন্য এ প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম ভবিষ্যতেও ভালোভাবে অব্যাহত থাকবে। কবি নিজের কবিতা আবৃত্তি করেও শোনান। অধ্যাপক আবুদল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, কবিতা মানুষকে সুন্দর করে আর আবৃত্তিশিল্পী কবিতাকে সুন্দর করেন। কোনো রকম প্রাপ্তির আশা না করে নিরন্তর চর্চা ও সনিষ্ঠ সাধনার মাধ্যমেই কেবল ভালো আবৃত্তিশিল্পী হওয়া সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আবৃত্তি সংঘের সমন্বয়ক মাহমুদ হাশিম।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App