×

জাতীয়

‘বিএনপি নেতারা জাতিসংঘের সর্বনিম্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করেছেন’

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৬:০৮ পিএম

‘বিএনপি নেতারা জাতিসংঘের সর্বনিম্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করেছেন’

মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা জাতিসংঘের সর্বনিম্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করেছেন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মির্জা ফখরুল সাহেবদের জাতিসংঘে যাওয়া জনগণকে ধোকা দেওয়া ছাড়া অন্য কিছু নয়। তারা জাতিসংঘে গিয়ে জাতিসংঘের সর্বনিম্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারির সঙ্গে দেখা করেছেন। এ লজ্জা তিনি ঢাকতেও পারছেন না। এ জন্য সাংবাদিকরা যখন জিজ্ঞেস করলেন আপনারা কার সঙ্গে দেখা করেছেন উনি তখন আমতা অামতা করছিলেন। আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখলাম।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় তলার কনফারেন্স লাউঞ্জে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত 'গণতন্ত্র, নির্বাচন ও নেতৃত্ব' শীর্ষক অালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, পত্রিকায় দেখলাম মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা জাতিসংঘে যাচ্ছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব নাকি তাদের ডেকেছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব আফ্রিকায়। তারা দেখা করলেন জাতিসংঘের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির সঙ্গে।আমাদের দেশের মন্ত্রণালয়ের সচিব থাকে, তারপর অতিরিক্ত সচিব, উপ-সচিব, যুগ্ম-সচিব, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি তারপর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি। অর্থাৎ বিসিএসের মাধ্যমে কেউ প্রশাসনে চাকরি নিলে সর্বপ্রথম এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হিসেবে নিয়োগ পান। তেমনি জাতিসংঘেরও এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি সর্বনিম্ন বা প্রাথমিক পদবী।

মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেবকে যখন সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করলেন কি আলোচনা হয়েছে তিনি আমতা আমতা করে কিছুই বলতে পারলেন না। অর্থাৎ এগুলো দেশের জনগণের সঙ্গে ভাওতাবাজী ছাড়া অন্য কিছু নয়।

বিদেশি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগে বিএনপির টাকার উৎসের তদন্তের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে এসেছে বিএনপি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ দিয়েছে যাদের ইতিমধ্যেই ২০ হাজার ডলার দেওয়া হয়েছে এবং প্রতি মাসে ৩৫ হাজার ডলার করে দেওয়া হবে। আমি সরকার এবং আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে অনুরোধ করবো বিএনপির এ টাকা কোথা হতে আসছে তদন্তের মাধ্যমে যেন অচিরেই জনগণের সামনে প্রকাশ করা হয়।

রাজনীতিতে কিছু পরিত্যক্ত রাজনীতিবিদ আছে উল্লেখ করে সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ড. কামাল হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্না, আ স ম আব্দুর রব, বদরুদ্দুজা চৌধুরী, আমির খসরু চৌধুরী উনারা হচ্ছে রাজনীতিতে পরিত্যক্ত ব্যক্তিত্ব। এই পরিত্যক্ত রাজনীতিবিদদের নিয়ে ঐক্য করে কোন লাভ হবে না। তাদের নিজেদের এমপি হওয়ারও এলাকায় জনপ্রিয়তা নাই। ওনারা রাত বিরাতে মিটিং করে খবরের জন্ম দিচ্ছেন বটে, নির্বাচন আসলে দেখা যাবে খালেক ভাই আর বাবলা ভাইয়ের কাছে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে গেছে। সুতরাং এদের এই সমস্ত দৌড় ঝাপেও কোন লাভ হবেনা।

বিএনপি নেতাদের প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে আপনাদের যদি কোন বক্তব্য বা অভিযোগ থাকে আপনারা যদি জনগণের জন্য রাজনীতি করেন তাহলে জনগণের কাছে অভিযোগ দিবেন। সমস্ত পৃথিবী ঘুরে বিদেশিদের কাছে অভিযোগ দিচ্ছেন ওরা কি দেশে এসে ভোট দিবে?

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা লায়ন চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App