মুদ্রা পাচারের এক মামলায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরীসহ নয়জনকে দশ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মো. আতাবুল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত অন্য আসামিরা হলেন-বিসমিল্লাহ গ্রুপের চেয়ারম্যান নওরিন হাসিব, গ্রুপের পরিচালক খাজা সোলেমানের বাবা সফিকুল আনোয়ার চৌধুরী, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর আজিজ মুতাক্কি, মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আবুল হোসেন চৌধুরী, ব্যবস্থাপক রিয়াজউদ্দিন আহম্মেদ, নেটওয়ার্ক ফ্রেইট সিস্টেম লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন, জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা মোস্তাক আহমদ খান ও এস এম শোয়েব-উল-কবীর। দণ্ডিত সকল আসামি মামলার শুরু থেকে পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের মামলার অভিযোগ অনুযায়ী পাচার হওয়া ১৫ কোটি ৩৩ লাখ ৬১ হাজার ৬৮৬ টাকার দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ জরিমানাও করেছেন আদালত। ওই অর্থ ৬০ দিনের মধ্যে তাদের রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়েছে। দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল সাংবাদিকদের বলেন, বিসমিল্লাহ গ্রুপের বিরুদ্ধে আরো অনেক মামলা রয়েছে। যার মধ্যে এটিই প্রথম রায়। একাধিক ব্যাংক থেকে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি, মুদ্রা পাচার ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর বিসমিল্লাহ গ্রুপের চেয়ারম্যান নওরিন হাসিব, ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাজা সোলায়মান চৌধুরীসহ ৫৪ জনের বিরুদ্ধে ১২টি মামলা করে দুদক। দুদক পরিচালক ইকবাল হোসেন রাজধানীর রমনা, মতিঝিল ও নিউ মার্কেট থানায় এসব মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের বিভিন্ন সময়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর নিউ মার্কেট থানায় দায়ের করা এ মামলায় ১৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত।