ইতিহাস গড়লেন ২০ বছর বসয়ী নাওমি
কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:৫৫ পিএম
জাপানের টেনিস সেনশেসান নাওমি ওসাকা। চলতি ইউএস ওপেনে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে ওঠেন ২০ বছর বয়সী এই টেনিস তারকা। সেখানে মুখোমুখি হন আমেরিকার ম্যাডিসন কেইসের। আজ শুক্রবার ম্যাডিসনকে ৬-২ ও ৬-৪ গেমে হারিয়ে প্রথম কোনো জাপানি মহিলা টেনিস তারকা হিসেবে ইউএস ওপেনের ফাইনালে উঠেছেন। এর আগে ওসাকা যতবার ম্যাডিসনের মুখোমুখি হয়েছিলেন ততোবারই হেরেছেন। এবার জয়ের মুখ দেখলেন। আর সেই জয় তাকে প্রথমবারের মতো কোনো গ্র্যান্ডস্লামেই ফাইনালে পৌঁছে দিয়েছে। কেইসের বিপক্ষে আজ ওসাকা ১৩টি ব্রেক পয়েন্ট পান। আর সেটাই তাকে লড়াইয়ে এগিয়ে দেয়।
শনিবার ফাইনালে তিনি লড়বেন ২৩বারের গ্র্যান্ডস্লাম বিজয়ী সেরেনা উইলিয়ামসের সঙ্গে। সন্তান প্রসবের পর এই প্রথম তিনিও কোনো গ্র্যান্ডস্লামের ফাইনালে উঠেছেন। এ যাত্রায় সেরেনা মাত্র ৬৬ মিনিটে ৬-৩ ও ৬-০ গেমে হারিয়েছেন লাটভিয়ার টেনিস তারকা আনাসতাসিজা সেভাতোভাকে।
প্রথমবারের মতো গ্র্যান্ডস্লামের ফাইনালে পৌঁছানোর পর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে ওসাকা বলেন, ‘যদিও এটা বললে শুনতে খুব খারাপ শোনাবে, আসলে আমি সেরেনা উইলিয়ামসের বিপক্ষে খেলতে চেয়েছিলাম। তার বিপক্ষে খেলতে পারব সেটা নিয়েই ভাবছিলাম সারাক্ষণ। কারণ, তিনি সেরেনা উইলিয়ামস।’
সেরেনা উইলিয়ামস ১৯৯৯ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম জিতেছিলেন। জাপানের ওসাকার বয়স ২০ বছর। শনিবার সেরেনাকে হারিয়ে দিতে পারলে সেরেনার চেয়ে ১ বছর বেশি বয়সে প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের কৃতিত্ব দেখাবেন।
ওসাকাকে বর্তমান সময়ের অন্যতম ট্যালেন্টেড টেনিস তারকা ভাবা হয়। সম্প্রতি তিনি ইন্ডিয়ান ওয়েলসে প্রথমবারের মতো ডব্লিউটিএ শিরোপা জিতেন। এরপর মিয়ামিতে সেরেনা উইলিয়ামসের বিপক্ষে উল্লেখযোগ্য জয় পান। এখন তার সামনে আরো একবার সেরেনাকে হারানোর সুযোগ।
নিউইয়র্কে হবে ইউএস ওপেনের ফাইনাল। নাওমি ওসাকা জাপানের হলেও মাত্র ৩ বছর বয়সে নিউইয়র্কে আসেন বাবা মায়ের সঙ্গে। ফ্লোরিডায় তার পরিবারের সঙ্গে বেড়ে ওঠেন এখানে। দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী ওসাকার জন্য নিউইয়র্কও বাড়ির মতোই। যেখানে তিনি তার শৈশবের আইডল সেরেনার মুখোমুখি হবেন।
আজ শুক্রবার যদি জাপানের টেনিস তারকা কেই নিশিকোরি ইউএস ওপেনের সেমিফাইনালে ১৩বারের গ্র্যান্ডস্লাম বিজয়ী নোভাক জকোভিচকে হারাতে পারে তাহলে এশিয়ার দেশ জাপানের জন্য হবে ডাবল খুশির উপলক্ষ্য।